জন্মের সময় বাচ্চাদের শরীরের হালকা রোম থাকে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ তা কড়া হয়ে উঠে। ছেলেমেয়েদের যৌবনোদ্গম ঘটে এগারো থেকে ১৩ বছর বয়সের মধ্যে। এই বয়সেই দেহের বিভিন্ন যৌন গ্রন্থীগুলো বাড়তে দেখা যায়। পুরুষদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ আর অন্যান্য যৌনগ্রন্থি এন্ড্র্রোজেন (androgen) নামে এক রকম যৌন হরমোন তৈরি করে শরীরে ছাড়তে থাকে। মেয়েদের বেলায় তাদের অণ্ডাশয় থেকে যে যৌন হরমোন বের হয় তার নাম এস্ট্রোজেন (oestrogen)। যৌবনোদ্গমে এন্ড্রোজেনের কাজ হলো মুখে, বুকে চুল দাড়ির জন্ম দেওয়া, কণ্ঠস্বর ভারি করে তোলা। আর এস্ট্রোজেনের কাজ হলো মেয়েদের স্তনের আকার বড় করা। স্ত্রী-পুরুষ উভয়েরই শরীরে এই হরমোনগুলো অনেক অদল-বদল ঘটায়। একদিকে মেয়েদের শরীর যেমন কমনীয় হয়ে উঠে, অন্যদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে হয় কিছুটা কর্কশ। এক ধরনের এস্ট্রোজেনের নাম হলো প্রোজেস্ট্রোজেন (progestrogen) যার কাজ হলো গর্ভ নিয়ন্ত্রণ করা। তাহলে দেখা যাচ্ছে, এন্ড্রোজেন ক্ষরণ না হওয়ার ফলে মেয়েদের দাড়ি গোঁফ হয় না।
আ ক ম আজাদ আস্ক প্রশ্ন ডটকমের সাথে আছেন সমন্বয়ক হিসাবে। বর্তমানে তিনি একজন শিক্ষক। আস্ক প্রশ্ন ডটকমকে বাছাই করে নিয়েছেন জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম হিসাবে। ভবিষ্যতে একজন বক্তা ও লেখক হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই আশা পূর্ণতা পেতে সকলের নিকট দু'আপার্থী।