আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
539 বার প্রদর্শিত
"মাধ্যমিক পড়াশোনা" বিভাগে করেছেন (723 পয়েন্ট) 41 121 135

2 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (1,776 পয়েন্ট) 12 112 134
বিষয়টি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত একটি রহস্যময় ব্যাপার ছিল। আবহাওয়া নির্ণয়ের জন্য কেবলি সেদিন যখন রাডার আবিষ্কৃত হলো, তার পর পরই জানা গেল বৃষ্টি উৎপন্ন হওয়ার পর্যায়গুলো । সে অনুসারে বৃষ্টি উৎপন্ন হয় তিনটি পর্যায়ে। এমনকি ১৬০০শ শতাব্দির সূচনা লগ্নে বিজ্ঞানী ফ্লেজ মিলিটেস তিনি Hydrological science সম্পর্কে সর্বপ্রথম যে তত্বটি উপস্থাপন করেছিলেন তা ছিল অসম্পূর্ন। বেশ কয়েকটি ধাপের বর্ননা তারঁ তত্বে অনুপস্থিত ছিল তার মধ্যে মেঘে ঠান্ডা বায়ুর উপস্থিতি ও বাস্পের স্তরীভূত হওয়ার ব্যাপারটি উল্লেখ ছিলনা যা কুরআন ১৪৩০ বৎসর আগে উল্লেখ করেছে। প্রথমতঃ বাস্পীভূত জল রৌদ্র বা বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে উপরে বাতাসে উঠে আসে, এরপর মেঘমালা উৎপন্ন হয় আর অবশেষে বৃষ্টিকণা দেখা দেয়। কোরআনে প্রদত্ত বৃষ্টি উৎপাদনের বর্ণনাটি ঠিক এ পদ্ধতিরই উল্লেখ করেছে। একটি আয়াতে আল্লাহ তাআলা ব্যাপারটি এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ 030.048 ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳُﺮْﺳِﻞُ ﺍﻟﺮِّﻳَﺎﺡَ ﻓَﺘُﺜِﻴﺮُ ﺳَﺤَﺎﺑًﺎ ﻓَﻴَﺒْﺴُﻄُﻪُ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ ﻛَﻴْﻒَ ﻳَﺸَﺎﺀُ ﻭَﻳَﺠْﻌَﻠُﻪُ ﻛِﺴَﻔًﺎ ﻓَﺘَﺮَﻯ ﺍﻟْﻮَﺩْﻕَ ﻳَﺨْﺮُﺝُ ﻣِﻦْ ﺧِﻼﻟِﻪِ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺃَﺻَﺎﺏَ ﺑِﻪِ ﻣَﻦْ ﻳَﺸَﺎﺀُ ﻣِﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ﺇِﺫَﺍ ﻫُﻢْ ﻳَﺴْﺘَﺒْﺸِﺮُﻭﻥَ তিনি আল্লাহ, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, অতঃপর তা মেঘমালাকে সঞ্চারিত করে। অতঃপর তিনি মেঘমালাকে যেভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তাকে স্তরে স্তরে রাখেন। এরপর তুমি দেখতে পাও তার মধ্য থেকে নির্গত হয় বৃষ্টিধারা। তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদেরকে ইচ্ছা পৌঁছান; তখন তারা আনন্দিত হয়। (কোরআন, ৩০: ৪৮) এবার চলুন আয়াতে বর্ণিত এই পর্যায়গুলো আরো প্রযুক্তিগতভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখিঃ প্রথম পর্যায়ঃ ‘‘তিনি আল্লাহ, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন ’’ সমুদ্রের ফেনায় উৎপন্ন বায়ুর অসংখ্য বুদ্বুদ্ বিরামহীনভাবে ফেটে গিয়ে পানির কণাসমূহকে আকাশের দিকে বিক্ষিপ্ত করে। এরপর লবণে পরিপূর্ণ এই কণাগুলো বাস্পীভূত হয়ে উপরে অর্থাৎ বায়ুমন্ডলে উঠে যায়। এই কণাগুলো (এরোসল নামে) পানির ফাঁদ হিসেবে কাজ করে আর নিজেদের চারদিকে পানি বাষ্প জড়ো করে উৎপন্ন করে মেঘকণা। তৈরী মেঘে পানি কণাগুলো বাতাসে ঝুলে থাকে আর পরে সেগুলো ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি সৃষ্টি করে। এসবগুলো পর্যায়ই কোরআনে বর্ণিত আছে। দ্বিতীয় পর্যায়ঃ ”অতঃপর তিনি মেঘমালাকে যেভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন” বাতাসে ভাসমান লবণ স্ফটিক কিংবা ধূলিকণার চারদিকের পানি কণিকা ঘনীভূত হয়ে উৎপন্ন হয় মেঘমালা। কেননা মেঘমালায় বিদ্যমান পানি কণাগুলো অত্যন্ত ক্ষুদ্র (.০১-.০২মিলি মিটার ব্যাস) হওয়ায় মেঘসমূহ বাতাসে ঝুলে থাকে আর আকাশে ছড়িয়ে পড়ে। এভাবেই মেঘে পরিপূর্ণ হয়ে ঢেকে যায় আকাশ। তৃতীয় পর্যায়ঃ ‘‘ তুমি দেখতে পাও তার মধ্য থেকে নির্গত হয়ে আসে বৃষ্টিধারা ।’’ লবণ স্ফটিক কিংবা ধূলিকণার চারিদিকে ঘিরে বিদ্যমান পানিকণাগুলো ঘন ও ভারী হয়ে তৈরি করে বৃষ্টির কণা। এরপর বাতাসের চেয়ে ভারী বৃষ্টিকণাগুলো মেঘ থেকে সরে আসে এবং বৃষ্টিধারা হিসেবে মাটিতে নেমে আসতে শুর করে। আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি যে, বৃষ্টি উৎপাদনের প্রতিটি ধাপই কোরআনের আয়াতসমূহে বর্ণিত রয়েছে। অধিকম‧ একদম সঠিক অনুক্রমে বা একটার পর আরেকটি পর্ব অত্যন্ত সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ভূপৃষ্ঠে বিদ্যমান অন্যান্য বিষয় বা বস‧র ন্যায় এ বিষয়টির সবচেয়ে সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন মহান আল্লাহ তাআলা আর এভাবেই মানুষ বৃষ্টির পর্যায়গুলো উদঘাটন করার শত শত বছর পূর্বেই আল্লাহ তাআলা সে সম্বন্ধে মানুষকে অবগত করেন। অন্য একটি আয়াতে বৃষ্টির উৎপাদন সম্পর্কে নিম্নের তথ্যটি দেয়া হয়েছেঃ 024.043 ﺃَﻟَﻢْ ﺗَﺮَ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺰْﺟِﻲ ﺳَﺤَﺎﺑًﺎ ﺛُﻢَّ ﻳُﺆَﻟِّﻒُ ﺑَﻴْﻨَﻪُ ﺛُﻢَّ ﻳَﺠْﻌَﻠُﻪُ ﺭُﻛَﺎﻣًﺎ ﻓَﺘَﺮَﻯ ﺍﻟْﻮَﺩْﻕَ ﻳَﺨْﺮُﺝُ ﻣِﻦْ ﺧِﻼﻟِﻪِ ﻭَﻳُﻨَﺰِّﻝُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ ﻣِﻦْ ﺟِﺒَﺎﻝٍ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻣِﻦْ ﺑَﺮَﺩٍ ﻓَﻴُﺼِﻴﺐُ ﺑِﻪِ ﻣَﻦْ ﻳَﺸَﺎﺀُ ﻭَﻳَﺼْﺮِﻓُﻪُ ﻋَﻦْ ﻣَﻦْ ﻳَﺸَﺎﺀُ ﻳَﻜَﺎﺩُ ﺳَﻨَﺎ ﺑَﺮْﻗِﻪِ ﻳَﺬْﻫَﺐُ ﺑِﺎﻷﺑْﺼَﺎﺭِ তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ মেঘমালাকে সঞ্চালিত করেন। তারপর মেঘগুলোকে একত্র করেন এবং পরে তা পুঞ্জীভূত করেন স্তরে স্তরে ; অতঃপর তুমি দেখতে পাও যে, সে মেঘের মধ্য থেকে নির্গত হয় বৃষ্টি। আর তিনি আসমানসি ত পাহাড়সদৃশ মেঘমালা থেকে বর্ষণ করেন শিলা সরিয়ে দেন। সে মেঘের বিদ্যুতের চমক এমন, যেন মনে হয় দৃষ্টিশক্তি প্রায় কেড়ে নেয়। (সূরা নূরঃ ৪৩) বিজ্ঞানীগণ মেঘমালার প্রকার পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে বৃষ্টির মেঘ উৎপত্তির এক ******** ফলাফলের মুখোমুখী হন। সুনির্দিষ্ট সিস্টেম ও পর্যায়সমূহের মধ্য দিয়ে তৈরী হয় ও আকার ধারণ করে বৃষ্টির মেঘমালা। স্তরে স্তরে মেঘমালা এক ধরণের মেঘ যা নিম্নের পর্যায়গুলোতে ধাপে ধাপে বিন্যাস হয়। ১নং পর্যায়ঃ মেঘমালাসমূহ সঞ্চালিত হয়ে থাকে বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে মেঘমালা বাহিত হয়ে থাকে। ২নং পর্যায়ঃ সংযোগীকরণ, পুঞ্জীভূতকরণএর পর বায়ুবাহিত ক্ষদ্র ক্ষুদ্র মেঘমালা একত্রিত হয়ে তৈরি করে বৃহত্তর মেঘ। ৩নং পর্যায়ঃ বাস্পীকৃত হওয়া ছোট ছোট মেঘমালা একত্রে সংযুক্ত হলে বিশাল মেঘমালার মাঝে Updraft বেড়ে যায়। এই Updraft মেঘমালার প্রান্তভাগের চেয়ে অভ্যন্তরভাগে বেশী জোরালো। এ প্রক্রিয়াতে মেঘগুলো খাড়াখাড়িভাবে বা লম্বালম্বিভাবে জমা হয়ে বাড়তে থাকে। এভাবেই মেঘমালাসমূহ স্তরে স্তরে সজ্জিত হয়। মেঘের এই খাড়া বৃদ্ধি মেঘকে বায়ুমন্ডলের শীতলতর সানের দিকে টেনে নিয়ে যায়, সেখানেই উৎপন্ন হয় পানিবিন্দু আর শিলা - এগুলোই বৃহৎ থেকে বৃহত্তর হয়ে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় আকাশে। যখন এই শিলা ও পানি বিন্দুগুলি বেশী ভারী হয়, যখন মেঘের এই ওজন আর বহন করতে পারে না তখন মেঘ থেকে এরা মাটিতে পতিত হতে থাকে বৃষ্টি, শিলা ইত্যাদিরূপে। মেঘের Updraft এর ফলে স্তরে স্তরে মেঘমালা লম্বালম্বিভাবে বৃদ্ধি পায়। লম্বালম্বি বৃদ্ধির ফলে মেঘদেহটিকে বায়ুমন্ডলের অধিকতর ঠান্ডা অঞ্চলে টেনে নিয়ে যায় যেখানে বৃষ্টি কণা, শিলাবৃষ্টি ‣তরি হতে থাকে, বৃদ্ধি পেতে থাকে। যখন বৃষ্টিকণা আর শিলাবৃষ্টি অতিরিক্ত ভারী হয়ে যায় তখন মেঘের এই Updraft আর মেঘমালাসমূহকে ধারণ করতে না পারায় মেঘগুলো হতে বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি নীচে পতিত হতে থাকে। ১৪০০ বছর আগে পবিত্র কোরআনে সূরা নূরের ৪৩ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছিলেন, ’’ .....তারপর মেঘগুলোকে একত্র করেন এবং পরে তা পুঞ্জীভূত করেন স্তরে স্তরে : অতঃপর তুমি দেখতে পাও যে সে মেঘের মধ্য থেকে নির্গত হয় বৃষ্টি।’’ প্লেন, উপগ্রহ. কম্পিউটার এমনতর উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আবহাওয়াবিদগণ কেবলি অতি সম্প্রতি মেঘ উৎপাদন, গঠন আর কার্যাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন - এ বিষয়টি আমাদের অবশ্যই স্মরণ রাখা উচিত। এটি স্পষ্ট যে, আল্লাহ এমন একটি তথ্য দিয়েছেন যা ১৪০০ বছর পূর্বে মানুষের জানা ছিল না। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মেঘমালাসমূহ (পুঞ্জীভূত মেঘমালা) বায়ু প্রবাহের মাধ্যমে বাহিত হয়ে সংযুক্ত হয় যা নীচের আয়াতটিতে বর্ণিত রয়েছেঃ ’’..... আল্লাহ মেঘমালাকে সঞ্চালিত করেন। তারপর মেঘগুলোকে একত্র করেন এবং পরে তা পুঞ্জীভূত করেন স্তরে স্তরে.........।’’ সংগৃহীত
0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (44 পয়েন্ট) 155 588 602

বৃষ্টি একধরনের তরল, যা আকাশ থেকে মাধ্যাকর্ষণের টানে ভূপৃষ্ঠের দিকে পড়ে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মেঘের সৃষ্টি করে। এই ফোঁটাগুলি যথেষ্ট পরিমাণে ভারি হলে তা পৃথিবীর বুকে ঝরে পড়ে - একেই বলে বৃষ্টি। 
বজ্রমেঘের মধ্যে থাকা পানির কণা ভেঙে নেগেটিভ চার্জ ও পজিটিভ চার্জ সৃষ্টি হয়ে থাকে। নেগেটিভ চার্জ থাকা মেঘের সঙ্গে পজিটিভ চার্জ রয়েছে—এমন আলাদা আরেকটি মেঘের সংঘর্ষ হলে বিজলি চমকায়। আবার একই মেঘের মধ্য থেকেও বিজলি চমকাতে পারে। তবে মাটিতে নেগেটিভ চার্জ থাকে। তাই পজিটিভ চার্জ থাকা মেঘ মাটি বা ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি চলে এলে বজ্রপাত সৃষ্টি। এই ব্রজপাত প্রকৃতির জন্যও ক্ষতিকর এবং প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে থাকে।
সূত্র : ইন্টারনেট 

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
1 উত্তর
28 জুন 2018 "রূপচর্চা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন rahat jr. (44 পয়েন্ট) 155 588 602
1 উত্তর
16 ডিসেম্বর 2017 "টিউটোরিয়াল" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Md Mizan (142 পয়েন্ট) 27 119 123

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,930 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. rjsiraz

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. Hasan১

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  3. তামিম আল আদনানী

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  4. Tarun

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  5. Rasel rana

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...