বয়স বৃদ্ধি রোধ, হার্ট সুস্থ রাখা, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ত্বক এবং চুল সুস্থ রাখতে ভিটামিন ই অপরিহার্য। বাদাম, কর্ লিভার অয়েল, পালং শাক, সানফ্লাওয়ার সিডস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে। এই ভিটামিন-ই আমাদের জন্য খুবই উপকার। সুতরাং কর্মব্যস্ত নারীদের সাথে সাথে পুরুষদের এই সকল খাদ্য গ্রহন করে ভিটামিন-ই ঘাটতি পূরণ করা উচিত। ১) সূর্যমুখীর বীজ সূর্যমুখী বীজ আমাদের দেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে অনেক পরিমাণে ভিটামিন ই। প্রতি ১০০ গ্রাম সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে ৩৬.৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই। এই বীজ থেকে যে তেল তৈরি করা হয় তা সাধারণত সালাদ, স্যুপ বা গার্নিশে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া অন্যান্য রান্নাতেও সূর্যমুখীর তেল ব্যবহার করা যায়। এতে কোনো কোলেস্টেরল নেই, রক্তচাপ ও হৃদরোগীরা অনায়াসে তা খেতে পারেন। ২) লাল মরিচের গুঁড়া জেনে একটু অবাকই হতে পারেন, সর্বোচ্চ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে লাল মরিচের গুঁড়া। যদিও আমরা অনেকে গুড়া মরিচ খেতে ভয় পাই। কিন্তু প্রতি ১০০ গ্রাম লাল মরিচের গুঁড়ায় রয়েছে ২৯.৮৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই। আমাদের রোজকার খাবারে আমরা মরিচের গুঁড়া কম বেশি ব্যবহার করে থাকি। তাই আমাদের শরীরে ভিটামিন ই-এর অভাব মোটামুটি ঘটে না। ৩) কাঠবাদাম বাদাম আমরা মোটামুটি সবাই খায়। আমন্ড বা কাঠবাদাম ভিটামিন ই-এর জন্য বেশি জনপ্রিয়। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঠবাদামে রয়েছে ২৬.২২ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই। দাম বেশি বলে কাঠবাদাম খাবার হিসেবে খুব বেশি প্রচলিত নয়। সাধারণত ক্ষীর, পায়েস, মিষ্টি, সন্দেশ, হালুয়াসহ অন্যান্য খাবার তৈরিতে উপকরণ হিসেবে কাঠবাদাম ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কাঠবাদামের দুধ ও মাখনও ভিটামিন ই-এর ভালো উৎস। ৪) জলপাইয়ের আচার ভিটামিন ই-এর একটি উত্কৃষ্ট উত্স হিসেবে ধরা হয় কাঁচা জলপাইকে। সেই হিসেবে কাঁচা জলপাইয়ের আচার হলো ভিটামিন ই-এর একটি ভালো উত্স। প্রতি ১০০ গ্রাম জলপাইয়ের আচারে রয়েছে ৩.৮১ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই। ৫) পালং শাক রান্না করা পালং শাক আয়রন, ক্যালসিয়াম ও খনিজ পদার্থের আধার হিসেবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করে থাকে। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই-ও। প্রতি ১০০ গ্রাম রান্না করা পালং শাকে রয়েছে ৩.৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই। কিন্তু অনেক বেশি কড়া ভাজি করলে ভিটামিন কমে যায়। ৬) ভেষজ ভেষজের মধ্য বেসিল ও অরিগানোতে রয়েছে সর্বোচ্চ ভিটামিন ই। প্রতি ১০০ গ্রাম বেসিল ও অরিগানোতে রয়েছে ৭.৪৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই। পাস্তা, পিজা, সালাদ ও স্যান্ডউইচ তৈরির উপকরণ হিসেবে বেসিল এবং অরিগানো ব্যবহার করা হয়। ৭) শুকনো এপ্রিকট এপ্রিকটকে বলা হয় খাদ্যআঁশ ও নানা ভিটামিনের উত্কৃষ্ট উত্স। প্রতি ১০০ গ্রাম শুকনো এপ্রিকটে রয়েছে ৪.৩৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই। ৮) কচুর মূল আয়রন ও ক্যালসিয়ামের সর্বোত্কৃষ্ট উত্স হলো কচুর মূল। এটি আমাদের দেশে অতি সহজলভ্য একটি খাবার। আলুর বিকল্প হিসেবেও কচুর মূল খাওয়া যায়। সর্বোচ্চ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাদ্য তালিকার দশ নম্বরে রয়েছে কচুর মূল। প্রতি ১০০ গ্রাম কচুর মূলে রয়েছে ২.৯৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই। সুতরাং ভিটামিনের ঘাতটি পূরণে কচুর মুলের অসাধারন উপকারিতা।