নিউক্লিক এসিড ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত অতি ক্ষুদ্র পরজীবী যা শুধুমাত্র জীবিত কোষেই জীবনের কিছু কিছু লক্ষণ প্রকাশ করে তারাই ভাইরাস। ‘ভাইরাস’ অর্থ বিষ। ইলেকট্রোন অণুবীক্ষণ যন্ত্রছাড়া এদের দেখা যায় না। ভাইরাস দেহে কোষ প্রাচীর, পলজমালেমা, সংগঠিত নিউক্লিয়াস, সাইটোপলজম ইত্যাদি কিছুই নেই। তাই ভাইরাস দেহকে অকোষীয় বলে। এরা শুধুমাত্র প্রোটিন আবরণ ও নিউক্লিক এসিড (ডিএনএ বা আরএনএ) নিয়ে গঠিত। ভাইরাসের মাথা, লেজ ও স্পর্শকতন্ত থাকে। ভাইরাস, রিকেটস, ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল, প্রোটোজোয়া ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের অণুজীব আমাদের পরিবেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এরা অধিকাংশই আমাদের উপকার করে। তবে কিছুকিছু অণুজীব আছে যারা আমাদের দেহে রোগ সৃষ্টি করে। এরা সরলতম জীব। এর দেহ প্রধানত আমিষ ও নিউক্লিক এসিড দ্বারা গঠিত। আমিষ আবরণ থেকে নিউক্লিক এসিড বের হয়ে গেলে এরা জীবের সকল লক্ষণ হারিয়ে ফেলে। তবে মজার ব্যাপার হল যে, যেই মাত্র এদের একত্র করা হল অমনি এরা জীবনের সব লক্ষণ ফিরে পাবে।