কোথাও কেটে গেলে প্রাথমিকভাবে যা করণীয়ঃ
১. কেটে গেলে কীসে কাটছে, তাতে নজর রাখুন। লোহা বা জং ধরা ধারালো, নোংরা বস্তু ইত্যাদি কিছুতে কাটলে চিকিৎসকের পরামর্শের সঙ্গে অবশ্যই সংক্রমণরোধী টিটেনাস ইঞ্জেকশন নিন।
২. একটা পরিষ্কার কাপড় বা গজ দিয়ে কাটা স্থানটি চেপে ধরে রাখুন। টানা ২০ থেকে ৩০ মিনিট চাপ দিয়ে ধরে রাখলে রক্ত জমাট বেঁধে রক্তপাত বন্ধ করে দেবে। এক টুকরো বরফ পেঁচিয়েও ধরে রাখতে পারেন। কাটা জায়গাটা উঁচু করে রাখুন, এতে খুব সহজেই রক্ত জমাট বাঁধবে।
৩. রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে নিন। সাবান বা আয়োডিন ও আয়োডিনজাত অ্যান্টিসেপটিক অনেক সময় জ্বালা করে। অনেকেই নানা সুগন্ধী সাবান দিয়ে জায়গাটা পরিষ্কার করেন। সেটা না করে বরং ব্যবহার করুন অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল সাবান। তাছাড়া ডেটোল বা স্যাভলন, ভায়োডিন দিয়েও জায়গাটি পরিস্কার করতে পারেন।
৩. ধোয়া হয়ে গেলে পাতলা স্তরে অ্যান্টিবায়োটিক মলম দিয়ে ঢেকে দিন। নিওমাইসিন বা এ জাতীয় মলম সব সময় বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসাসামগ্রী হিসেবে থাকা উচিত। এবার একটা পাতলা গজ বা ব্যান্ডেজ দিয়ে আটকে দিন। কাটাছেঁড়ায় তুলো দেওয়া আমাদের অনেকের অভ্যাস। তবে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে, কাটাছেঁড়ায় তুলো দিলে, তুলোর আঁশ ত্বকে আটকে যায়, তাই তুলোর পরিবর্তে গজ কাপড় বা ব্যান্ডেজ ব্যবহারই ভাল।
৪. হালকা কাটাছেঁড়া নিয়ে বাইরে বেরতে হলে তা ব্যান্ডেজে ঢেকে রাখুন। কিন্তু বাড়িতে থাকাকালীন কিছুটা সময় মলম বা ওষুধ লাগিয়ে খোলা হাওয়ায় রাখুন ক্ষতস্থান। এতে ক্ষত শুকোবে তাড়াতাড়ি।
৫. সাধারণ গজ ব্যান্ডেজ বা স্টিকারযুক্ত ব্যান্ডেজ, যা-ই হোক, প্রতিদিন অন্তত একবার তা পরিবর্তন করতে হবে। যদি জায়গাটা ফুলে যায় ও লাল দেখায়, ব্যথা বেড়ে যায় বা ভিজে যেতে থাকে, জ্বর আসে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৬. আধঘণ্টা চেপে রাখার পরও রক্ত বন্ধ না হলে ক্ষত ছয় মিলিমিটার পুরু হলে সেলাই লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে জরুরি বিভাগে চলে যান।
৭. ডায়াবিটিস থাকলে অনেক সময় ক্ষত শুকোতে দেরি হয়। কিন্তু ডায়াবিটিসে আক্রান্ত নন এমন কারও দীর্ঘ দিন ক্ষত না শুকোলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কেটে যাওয়ার পর রক্তপাত বন্ধ না হলে, ক্ষতে জ্বালা দেখা দিলে চিকিৎসককে জানান। Md. Masud Rana, অত্যন্ত সহজ সরল মনের মানুষ। জীবনে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। লক্ষ্যে পৌছানোর জন্যে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ইচ্ছা রয়েছে ভালো মানুষ হওয়ার। নিজের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধশালী করতে এবং অর্জিত জ্ঞান দ্বারা অন্যকে সমস্যার সমাধান দেওয়ার লক্ষ্যে আস্ক প্রশ্নকে বেছে নিয়েছেন নিত্য সঙ্গী হিসেবে।