মুরগির চেয়ে হাঁসের কম রোগ হয়। যদিও তারা রোগ থেকে মুক্ত নয়। কিছু হাঁসের জাতের রোগের জন্য সফল হাঁস চাষের জন্য প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যে কোনো বয়সের হাঁস রোগ দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে। কিছু রোগের মৃত্যুহার বেশী। সাধারণত হাঁসের রোগের জীবাণু সংক্রামিত হাঁসের থেকে আরেকটা হাঁসে ছড়িয়ে যায়। সুতরাং, উপযুক্ত হাঁস রোগ প্রতিরোধ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে যাতে করে হাঁস উৎপাদনশীল এবং স্বাস্থ্যকর থাকতে পারে যা সর্বোত্তম উৎপাদন নিশ্চিত করবে। হাঁস প্লেগ, হাঁস ভাইরাস হেপাটাইটিস ইত্যাদি প্রধান ক্ষতিকারক হাঁস রোগ।
রোগের লক্ষণ
-
হাঁস কোনো লক্ষণ ছাড়াই হঠাৎ মারা যেতে পারে।
-
খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারে।
-
ঘন ঘন জল খাওয়া।
-
ঠোঁটের রঙের পরিবর্তন হতে পারে।
-
হাঁসের পালক অবিন্যস্ত হয়ে যায়।
-
পাখনা বেশী ঝুলে যেতে পারে।
-
প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে হাঁসের স্বাভাবিকের চেয়ে কম ডিম দেওয়া।
-
কিছু রোগ সংক্রামিত হাঁস আলোর মধ্যে তাদের চোখ খুলতে পারে না। এবং তারা আলো দেখলে ভয় পায়।
-
তরল পদার্থ তাদের নাক এবং মুখ থেকে প্রবাহিত হতে পারে।
-
জল তাদের চোখ থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রবাহিত হতে পারে।
-
হাঁসের পেট খারাপ হতে পারে।
-
মাথা, ঘাড় এবং হাঁসের শরীরে ঝাঁকুনি দেখা যেতে পারে।
-
পা এবং পাখনা অবশ হয়ে উঠতে পারে।
-
বুকের উপরে ভর করে বসে থাকে।
-
তারা এক জায়গায থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
সংক্রামিত শিশু হাঁস মারা যেতে পারে।