আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন, ব্যভিচার শুধু গুপ্তাঙ্গের মাধ্যমেই সংঘটিত হয় না; দৃশ্যমান অঙ্গের মাধ্যমেও সংঘটিত হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, চক্ষু ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। হৃদয় ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। চক্ষুর ব্যভিচার হলো কুদৃষ্টি। আর হৃদয়ের ব্যভিচার হলো, ব্যভিচারের কল্পনা। গুপ্তাঙ্গ হয় চোখের ব্যভিচার ও কল্পনার ব্যভিচারকে কার্যে পরিণত করে অথবা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। (মুসনাদে আহমদ ৮৩৫৬) অন্য বর্ণনায় হাত, পা ও মুখের ব্যভিচারের কথাও বিবৃত হয়েছে। সুতরাং হৃদয় দ্বারা যদি পরনারীর সাথে ব্যভিচারের কল্পনা করা হয় তাহলে সেটা হৃদয়ের যিনা-ব্যভিচার হবে। এবং এতে পাপ লিখিত হবে। তবে যদি আপন স্ত্রীর সাথে মিলনের কল্পনা করা হয় তবে এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে সে মিলন কল্পনাও রুচিসম্মত হওয়া চাই। বীর্য জলে স্ত্রীদেহকে সিঞ্চিত করে দেয়া রুচিসম্মত মিলন কল্পনা নয়। সারকথা, নিজের বৈধ স্ত্রীকে নিয়ে যৌন কল্পনা বা যৌন ফ্যান্টাসি করা বিধিসম্মত। পর নারীকে নিয়ে এমনটি করা আদৌ বিধিত নয়।