আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
435 বার প্রদর্শিত
"চাকরি" বিভাগে করেছেন (187 পয়েন্ট) 13 78 80
করেছেন (-174 পয়েন্ট) 17 228 236
কিসে ব্যার্থ হয়?

1 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (1,496 পয়েন্ট) 14 32 43


সফলতার দ্বার প্রান্তে পৌঁছেও আপনি কি ব্যর্থতার সম্মুখীন হচ্ছেন? তাহলে বুঝতে হবে কিছু সাধারন ভুলের কারনে আপনি আপনার লক্ষে পৌছাতে পারছেন না। জীবনে সফল হতে কে না চায়? কিন্ত তাই বলে কি সবাই সফল হতে পারে? পারে না! কারণ জীবনে চলার পথ সব সময় সহজ হয় না। বন্ধুর এই পথের সচেতনতার সাথে এগিয়ে যেতে হয়। আসলে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিই তার সফলতার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া বারবার ব্যর্থ হওয়ার পেছনে একটি অন্যতম কারণ হলো সবকিছুর জন্য নিজেকে সবসময় দোষারপ করা। এবং আবার চেস্টা করা থেকে বিরত থাকা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে শতকরা কতভাগ মানুষ ব্যর্থ হয় তা নিয়ে একটা পরিসংখ্যান করা হয়। এই পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রজেক্টের ক্ষেত্রে ৭০%, প্রথম ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে ৮০% এবং নতুন প্রডাক্ট লঞ্চিং এর ক্ষেত্রে ৯৫% মানুষ তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। এই ব্যর্থতার পেছনে কিছু কারণ থাকে। এক্ষেত্রে আপনি যদি সচেতন ও মনোযোগী হোন এবং অন্যদের করা ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারেন তাহলেই কারণগুলো খুব সহজেই এড়িয়ে যেতে পারবেন।
তাই আপনার কাংখিত লক্ষ্য অর্জন করতে বা সফল হওয়ার ক্ষেত্রে যে ভুলগুলো করা থেকে বিরত থাকবেন তা নিয়েই আজকের পোস্ট। তো চলুন জেনে নিই সেরকম ৬টি ভুলের কথাঃ

১। লক্ষ্য ঠিক না করা

জীবনে সফল না হওয়ার সবথেকে বড় কারণ হলো জীবনে লক্ষ্য ঠিক না থাকা। বেশিরভাগ মানুষই লক্ষ্য ঠিক না করেই সফল হতে চায়। কিন্ত জীবনে কোন লক্ষ্য না থাকলে কেবল পরিশ্রম করে কোন লাভ হয় না। তাই আপনার লক্ষ্য পানির মতো সচ্ছ এবং পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। কারণ কেবল তখনই আপনি সেটি অর্জন করার জন্য একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা করতে পারবেন। 

২। যথেষ্ট যোগাযোগের অভাব

কখনও কখনও লক্ষ্যটি ঠিক থাকলেও সেই লক্ষ্যের সাথে পর্যাপ্ত যোগাযোগের অভাবে মানুষ সফল হতে পারে না। কেন লক্ষ্যটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই লক্ষ্য পূরণ হলে আপনি কি কি অর্জন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানা থাকলে আপনি আপনার লক্ষ্যে আরও দৃঢ় হতে পারবেন। কখনও কি ভেবে দেখেছেন আপনি কিভাবে লক্ষ্যের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখছেন? একটি দলের সাথে কাজ করলে লক্ষ্যের সাথে যোগাযোগের অভাব আপনার দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। যদি আপনার দল না জানে তাদের লক্ষ্য কি, তবে তারা কাজটির গুরুত্ব বুঝতে পারবে না। ফলে তাঁরা সৃজনশীল, উদ্ভাবনী কাজ করা থেকে বিরত থাকবে। তাই পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগের নেটওয়ার্ক তৈরি করুন। এটি তাদেরকে আরও ভালভাবে কাজ করতে অনুপ্রানিত করবে। তাঁরা বুঝতে পারবে তাদের একটি লক্ষ্য আছে। এতে তাদের কাজ করার আগ্রহ অনেক বেড়ে যাবে। যা আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে এবং সফল হতে সাহায্য করবে। অলস ব্যক্তিরা বিচক্ষনতার সাথে তাদের অর্থের সঠিক ব্যবস্থাপনা করতে পারেনা। এই ধরনের অলস ব্যক্তিদের সাথে সময় কাটালে আপনিও জীবনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গুলো সঠিকভাবে গ্রহন করতে পারবেন না। তাই নিজের খাতের লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার বিষয়টি সবসময় গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় রাখবেন। 

৩। ব্যর্থতাকে ভয় পাওয়া

আপনার আর সাফল্যের মধ্যে আরেকটি বড় বাঁধা হচ্ছে ব্যর্থতাকে ভয় পাওয়া। আপনার জীবনে শুধু সাফল্য থাকবে এমনটা কখনই সম্ভব হয় নি এবং হবেও না। আপনি ব্যর্থ হবেন এটাই স্বাভাবিক। এই সত্যটিকে মেনে নিতে না পারলে আপনি কখনও সফল হতে পারবেন না। সফলতা আসলেও তার দীর্ঘস্থায়িত্ব হবে না। কোন কাজ করার আগেই কাজের ফলাফল নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করলে আপনার সাফল্য বাঁধাগ্রস্থ হবে। আপনার ব্যর্থতা নিয়েই জীবন। তাই ব্যর্থ হতে ভয় পাবেন না। 

৪। সঠিক পরিকল্পনার অভাব

যেকোন কাজ করার আগে পরিকল্পনা করতে হয়। এমন অনেক মানুষ আছে যাদের লক্ষ্য ঠিক থাকলেও পরিকল্পনার অভাবে তাঁরা সফল হতে পারছেন না। আপনি নিশ্চই তাদের মতো হতে চান না। একটি ভালো পরিকল্পনা আপনাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন, সফল হওয়ার জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে। যথেষ্ট পরিমানে আত্মবিশ্বাস থাকলেও পরিশ্রম আপনাকে স্বাভাবিকভাবে অনুসরন করবে। যখন মানুষ জানে যে, সে সফল হবেই। তখন সে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে ভয় পায়না। তাঁরা তখনই হাল ছেড়ে দেয় যখন তাঁরা সফল হওয়ার উপায় দেখতে পায় না। 

৫। দেড়িতে শুরু করা

প্রত্যেক কাজেরই একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। তাই পরিকল্পনার সাথে মানিয়ে সময়কে কাজে লাগাতে হবে। আপনি কোন কাজটি কখন শুরু করবেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি হচ্ছে কিনা তা দেখাও জরুরি। নয়তো আপনি ব্যর্থতার দিকেই এগিয়ে যাবেন। ধরুন, আপনি কোন প্রডাক্ট বাজারে ছাড়বেন। সেক্ষেত্রে সেটিকে বাজারে ছাড়ার আগে সব কাজ কিভাবে করতে হবে তা বুঝে নিতে হবে। এরপর ঠিক করতে হবে আপনি কত তারিখের মধ্যে কাজটি শেষ করতে পারবেন। নাহলে হয়ত, আপনার প্রডাক্ট বাজারে বাজারজাত করা হবে কিন্ত আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন না। এর অর্থ এই নয় যে, আপনাকে আক্রমনাত্মক হতে হবে। কিন্ত আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, সব কাজের জন্যই একটি নির্দিষ্ট সময় প্রয়োজন। আপনি যতই চেস্টা করুন না কেন, কখনই সেই সময়ের বাইরে কিছু করতে পারবেন না। 

৬। পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে চলা

কিছু মানুষ আছে যারা মনে করেন, তাদের পরিকল্পনায় কোন ভুল নেই। লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য যে পথ বেছে নিয়েছেন তাতে অটল থাকা ভাল। কিন্ত তা যদি আপনাকে সফলতার পথে না নিয়ে যায়। তবে আপনাকে পথ পরিবর্তন করতে হবে। নতুন নতুন পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে চলার জন্য নিজেকে সব সময় তৈরি রাখতে হবে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
29 মার্চ 2018 "প্রেম-ভালোবাসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন আব্দুল করিম (44 পয়েন্ট) 1 6 6
1 উত্তর
19 এপ্রিল 2018 "অভিযোগ এবং অনুরোধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hasib (1,776 পয়েন্ট) 12 112 134
1 উত্তর
17 সেপ্টেম্বর 2019 "চাকরি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন কামরুল হাসান ফরহাদ (5,894 পয়েন্ট) 385 2011 2190
1 উত্তর
26 সেপ্টেম্বর 2019 "ইসলাম ধর্ম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন কামরুল হাসান ফরহাদ (5,894 পয়েন্ট) 385 2011 2190

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,930 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. rjsiraz

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. Hasan১

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  3. তামিম আল আদনানী

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  4. Tarun

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  5. Rasel rana

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...