আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
242 বার প্রদর্শিত
"ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে করেছেন (44 পয়েন্ট) 155 588 602

কোনো মানুষ বা জিন-পরী কি কোনো মানুষের বিয়ে জাদুটোনা করে তালাবদ্ধ করে রাখতে পারে? অর্থাৎ বিয়ে হবে না, এমন অবস্থা করে রাখা যায়? যদি যায়, সে ক্ষেত্রে কী করা উচিত? এ পর্যন্ত ৭০ জায়গা থেকে পাত্রপক্ষ আমাকে দেখতে এসেছে, কিন্তু বিয়ে হয়নি। পরে একদিন এক জিন হুজুরের কাছ থেকে জানতে পারলাম, বিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সে জন্য বিয়ে হচ্ছে না। তার কথা শুনে আটবার জাদুটোনা কাটিয়েছি। কিন্তু কোনো ফল পাইনি। এখন আমার কী করা উচিত? দয়া করে উত্তর দেবেন? পারিবারিক ও মানসিক অশান্তিতে ভুগছি। মানুষ আমাকে নিয়ে উপহাস করে।

1 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (2,796 পয়েন্ট) 158 421 438



এটা বাস্তব কথা বলেছেন। এটি আসলেই অশান্তির বিষয়। এখন কথা হচ্ছে, জাদু করতে পারে। জাদুর মাধ্যমে কারো ক্ষতিও করতে পারে। জাদুর মাধ্যমে এ ধরনের কারো ক্ষতি করার কেউ যদি চেষ্টা করে, সেটা করাও সম্ভব; অসম্ভব নয়। জাদুর একটা প্রভাব স্বীকৃত। এটি আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কোরআনের মধ্যে বলেছেন। কিন্তু এর মাধ্যমে মানুষের তাকদিরের পরিবর্তন হয় না। এটি খেয়াল রাখতে হবে, এর মাধ্যমে তার তাকদিরের পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এটি জাদু। এর মাধ্যমে মানুষের কিছু ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। একমাত্র আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের হুকুমেই তা সম্ভব।



পরে আপনি যে কাজটি করেছেন, সেটি হলো কথিত জিন হুজুর আবিষ্কার করে নিয়েছেন। এই জিন হুজুরের কাছে যাওয়ার কারণে শেষে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যে ক্ষতি আপনার হয়েছে, তা আপনি নিজেই বলেছেন যে আপনি আটবার জাদু কাটিয়েছেন। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। এ ক্ষেত্রে ওই জিন হুজুর জাদুটোনা কাটিয়ে দেননি। তিনি এক ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। এই প্রতারণার কারণে আপনি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এখন আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে, আপনাকে সত্যিকার তওবা করতে হবে যে, এটি অন্যায় কাজ হয়েছে। কারণ এটি কুফরি কাজ। আল্লাহর রাসূল (সা.) হাদিসের মধ্যে বলেছেন, ‘সে মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর যা নাজিল হয়েছে, তার সঙ্গে কুফরি করল।’

আর ওই জিন হুজুরকে বিশ্বাস করার কোনো সুযোগই ছিল না। এই ব্যক্তির কোনো কথাই বিশ্বাসযোগ্য নয়। তার কাছে গিয়ে আপনি যে বক্তব্য বিশ্বাস করেছেন, এ বিশ্বাসটুকু কুফরি। এখন আপনাকে প্রথমে তওবা করতে হবে। এর পর আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা চেয়ে বেশি বেশি করে যেসব সময়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বান্দাদের দোয়া কবুল করে থাকেন, ওই সময়ে বেশি বেশি করে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। শেষ রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করেন। ইনশাআল্লাহ আপনার যে সমস্যা রয়েছে, তা আল্লাহতায়ালা সমাধান করে দেবেন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

2 টি উত্তর
13 ডিসেম্বর 2017 "প্রেম-ভালোবাসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Manik Raj (801 পয়েন্ট) 15 51 119
7 টি উত্তর
01 জানুয়ারি 2018 "অন্যান্য" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ayaan (2,796 পয়েন্ট) 158 421 438
2 টি উত্তর
19 মার্চ 2018 "প্রেম-ভালোবাসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন AP Support Team (196 পয়েন্ট) 60 224 231

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,930 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. rjsiraz

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. Hasan১

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  3. তামিম আল আদনানী

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  4. Tarun

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  5. Rasel rana

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...