ATP = Adenosine Triphosphate (অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেট) হল শক্তি জমা করে রাখে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য বিক্রিয়ায় শক্তি সরবরাহ করে।
আমাদের বাড়িতে সব ক্ষমতা কার হাতে?
বাবার।তাইনা?ঠিক সেভাবেই জীবজগতেও শক্তির মূল উৎস সূর্য।বাবা যেমন সবকিছু দিয়ে আমাদের বড় করে তোলেন সূর্যও ঠিক সেটাই করে।তবে,বাবা যেমন তার উপার্জন সন্তানের কাছে ঠিকভাবে পৌঁছানোর জন্য মায়ের সাহায্য নেন।তেমনি সূর্যও প্রাণীজগতের কাছে তার শক্তি পৌঁছানোর জন্য গাছের সাহায্য নেয়।মা অর্থাৎ গাছ যদি সেই শক্তি যথাযথ প্রক্রিয়াকরণ না করে তাহলে সন্তান তথা প্রাণীজগৎ ঠিকভাবে সে শক্তি পাবে না।আবার মায়ের যেমন নিজের কিছু চাহিদা আছে,গাছেরও কিছু চাহিদা আছে। এই জীবন পরিচালনা করার জন্য যে শক্তি সে শক্তি তৈরি আর ব্যবহারের কৌশলকে বিজ্ঞানের ভাষায় জীবনীশক্তি বলে।
মা,বাবার থেকে যে শক্তি পায় অর্থাৎ গাছ সূর্যের থেকে যে শক্তি পায় তাকে একটু প্রক্রিয়াকরণ করে রাসায়নিক শক্তিতে পরিণত করে প্রথমে ATP ও NADPH2 নামক জৈব যৌগে আবদ্ধ করে।
ATP এর একটা সহজ নাম দেয়া যাক।আমি দিলাম A-amader T-taka P-poisa. তুমি তোমার মত NADPH2 এর একটা নাম দাও দেখি!
শুধুমাত্র এ দুটো জিনিসে তো আর এত বড় সংসার চলে না।তাই মায়ের আরো বেশ কিছু উচ্চশক্তি সমৃদ্ধ যৌগ বা সম্পদ প্রয়োজন হয়,যেগুলো জমা থেকে অন্য কাজে শক্তি যোগায়।যেমন-ATP,GTP,NAD,NADP,FADH2 ইত্যাদি।
আগেই বলেছি ATP হল আমাদের টাকা-পয়সা।তাই এর কাজ সবথেকে বেশী। নিজের জিনিসের কথাই আলাদা।কি বলেন?
এই ATP শক্তি জমা করে রাখে আর প্রয়োজন অনুসারে তা সরবরাহ করে।অনেকটা ব্যাংকে টাকা রাখার মত।এজন্য ATP কে বলা হয় জৈবমুদ্রা বা Biological Coin বা শক্তিমুদ্রা। ATP কিন্তু এমনি এমনি আসে না।ADP নামক যৌগ বাবার পরিশ্রম বা সৌরশক্তি গ্রহণ করে ATP তে পরিণত হয়।টাকা-পয়সা আনতে একটু তো শক্তি লাগবেই।আর এই যে ADP থেকে ATP তৈরি হল, সেই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ফটোফসফোরাইলেশন।কোনো কাজে শক্তি দরকার হলে এই ATP ভেঙে ADP ও ip তৈরি হয়ে শক্তি উৎপন্ন করে।