আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
368 বার প্রদর্শিত
"ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে করেছেন (3,352 পয়েন্ট) 98 556 631

1 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (8,268 পয়েন্ট) 94 556 689
ইসলাম সত্য ধর্ম হবার উপর অসংখ্য প্রমাণ বিদ্যমান। আল্লাহ তাআলা মানুষকে বুদ্ধি বিবেক দিয়েছেন। সেই বিবেক বুদ্ধি দিয়ে যাচাই করলে। সেই সাথে সকল ধর্মমতের ধর্মীয় গ্রন্থগুলো যাচাই করলেই সেই সত্য প্রকাশিত হয়ে যাবে। যেহেতু ধর্ম একটি জীবন ব্যবস্থা। চাই ধর্মগ্রন্থ না থাকলে সেটি মূলত কার্যকরী ধর্ম হিসেবে বাকি থাকে না। তাই যেসব ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থ রয়েছে আমরা প্রথমে সেসবকে ধর্ম হিসেবে ধরে নিতে পারি। তারপর সেগুলোকে আল্লাহর দেয়া বুদ্ধি বিবেক ও যুক্তি দিয়ে যাচাই করতে পারি। যদি আকল সঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে অবশ্যই ইসলাম সত্য ধর্ম তা প্রমাণিত হয়ে যাবে। কয়েকটি উদাহরণ উপস্থাপন করা হল, আপনি উক্ত ভাইটিকে বলুন! চলুন আমরা ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থগুলো নিয়ে আলোচনা করি। যুক্তির বিচারে যে ধর্ম সত্য হবে, আমরা সেটিকেই মানবো। ইসলামই ধর্ম সত্য হবার প্রমাণ-১ কোন ধর্মগ্রন্থ তার ধর্মকে সবার জন্য ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে? যে ধর্মগ্রন্থে তাদের ধর্মকে সবার ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে, আমরা কেবল সেই ধর্মই মানবো। আর বাকিগুলোর ক্ষেত্রে বুঝে যাবো, সেগুলো সবার জন্য নয়, বরং নির্দিষ্ট জাতি গোষ্ঠির জন্য সীমাবদ্ধ ধর্ম। এ বিষয়ে একমাত্র ইসলামই টিকে যাবে। আর কোন ধর্ম টিকবে না। কারণ ইসলামের ধর্মগ্রন্থ কুরআন ছাড়া আর কোন ধর্মগ্রন্থে তাদের ধর্মকে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরণ করা হয়েছে কথাটি নেই। কেবল ইসলাম ধর্মের ধর্মগ্রন্থ কুরআনেই একথাটি বিদ্যমান। ইহুদীদের ধর্মগ্রন্থ তৌরাত। উক্ত তৌরাতের ৫টি অংশ। যথা-পয়দায়েশ, হিজরত, লেবীয়, শুমারী ও দ্বিতীয় বিবরণ এর কোথাও মুসা আঃ ও ইহুদী ধর্ম সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হবার কথা নেই। বরং বারবার শুধু বনী ইসরাঈলীদের কথাই বর্ণিত হয়েছে। যা দ্বারা পরিস্কার যে, ইহুদী ধর্ম সমগ্র মানবজাতির জন্য নয়, বরং শুধুই বনী ইসরাঈলীদের জন্যই প্রেরিত হয়েছে। যদি খৃষ্টানদের ইঞ্জিল খুলেন। ইঞ্জিলের মোট চারটি পার্ট রয়েছে, যথা মথি, মার্ক, লুক ও ইউহান্না। কোথাও একথা বর্ণিত হয়নি যে, খৃষ্ট ধর্ম সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে। বরং পরিস্কার শব্দে সেখানে এসেছে যে, তা শুধু বনী ইসরাঈলীদের জন্য এসেছে। উদাহরণত: ঈসা সেই বারজনকে এ সমস্ত আদেশ দিয়া পাঠাইলেন, “তোমরা অ-ইহুদীদের নিকট বা শমরীয়দের কোন গ্রামে যাইও না, বরং ইস্রায়েল জাতির হারান মেষদের নিকটে যাইও। {ইঞ্জিল শরীফ, মথি-১০:৫-৭] আরেক স্থানে এসেছেঃ একজন কেনানীয় স্ত্রীলোক এসে চিৎকার করে বলতে লাগল, “হে প্রভু, দাউদের বংশধর,আমার উপর রহম করুন। ভূত আমার মেয়েটিকে ভীষণ ভাবে ধরিয়াছে।” ঈসা কিন্তু তাহাকে একটা কথাও বলিলেন না। তখন তাহার সাহাবীরা আসিয়া অনুরোধ করিয়া বলিলেন, “উহাকে বিদায় করিয়া দিন, কারণ সে আমাদের পিছনে চীৎকার করিতেছে”। উত্তরে ঈসা বলিলেন, আমাকে কেবল ইস্রায়েল বংশের হারান মেষদের নিকটেই পাঠান হইয়াছে।” [ইঞ্জিল শরীফ, মথি ১৫: ২২-২৪] তাছাড়া হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের কোথাও তাদের ধর্মকে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হবার কথা বর্ণিত হয়নি। কিন্তু কুরআনে কারীমের একাধিক স্থানে ইসলাম ধর্মকে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হবার প্রমাণ নিহিত। যেমন- ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺭْﺳَﻠْﻨَﺎﻙَ ﺇِﻟَّﺎ ﺭَﺣْﻤَﺔً ﻟِّﻠْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ‏[ ٢١ : ١٠٧ আমি আপনাকে সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি। [সূরা আম্বিয়া, ২১: ১০৭] ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺭْﺳَﻠْﻨَﺎﻙَ ﺇِﻟَّﺎ ﻛَﺎﻓَّﺔً ﻟِّﻠﻨَّﺎﺱِ ﺑَﺸِﻴﺮًﺍ ﻭَﻧَﺬِﻳﺮًﺍ ﻭَﻟَٰﻜِﻦَّ ﺃَﻛْﺜَﺮَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ ‏[ ٣٤ : ٢٨ আমি আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্যে সুসংবাদাতা ও সতর্ককারী রূপে পাঠিয়েছি;কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না। [সূরা সাবা, ৩৪:২৮] উপরোক্ত আয়াত ছাড়াও আরো অনেক আয়াত আছে, যা প্রমাণ করে, ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাঃ সমগ্র মানবজাতির প্রেরিত হয়েছেন। আর কোন নবী বা ধর্ম সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে মর্মে ধর্মগ্রন্থগুলোতে উদ্ধৃত হয়নি। যা প্রমাণ করে ইসলামই সবার জন্য বর্তমানে পালনীয় ধর্ম। ইসলামই ধর্ম সত্য হবার প্রমাণ-২ ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআন ছাড়া পৃথিবীর বুকে দ্বিতীয় কোন ধর্ম নেই, যে ধর্মের কিতাবটি যেভাবে নাজিল হয়েছে, তা তার আপন ভাষায় অবিকৃত অবস্থায় সর্বত্র পাওয়া যায়। পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে কুরআন তুলে নিন। আরব, আজম, স্প্যানিশ, ডেনিশ, ইরাক, ইরান, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, চিন, জাপান, উগান্ডা, আফ্রিকা, আমেরিকা, ফরাসী, যেকোন দেশে গমণ করুন। সারা বিশ্বের সর্বত্র কুরআন যে ভাষায় নাজিল হয়েছে, সেই ভাষায় হুবহু অবিকৃত আকারে সংরক্ষিত পাবেন। কিন্তু ইহুদীদের তৌরাত, খৃষ্টানদের বাইবেল, হিন্দুদের বেদ আর বৌদ্ধদের ত্রিপিটক এমন পাবেন না। বরং তা কোন ভাষায় তাদের ধর্মের অবতারের উপর নাজিল হয়েছে? সে ভাষায় উক্ত কিতাবের কোন অস্তিত্বই পাবেন না। আরেক একেক ভাষায় একেক বাইবেল পাবেন। একেক ভাষায় একেক বেদ পাবেন। এতদূর যেতে হবে না। আপনি তৌরাত ও যবুর ও ইঞ্জিলের বাংলাদেশী ভার্সনই একাধিক প্রকাশনীরটি খুলে দেখুন না। দেখবেন একটির ভাষা আরেকটির সাথে মিল নেই। প্রচুর গড়মিল। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ। ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। পবিত্র কুরআনে তা পাবেন না। সারা বিশ্বের কুরআনের আরবী পাঠ একই। গুহার ভিতরে যদি কোন কুরআন পাওয়া যায়, সেই কুরআন, রাজ প্রসাদে থাকা কুরআন একই ভাষায়, একই শব্দে, একই সূরা আয়াতে উদ্ধৃত আছে। কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন নেই। যা পরিস্কার প্রমাণ করে, ইসলামই একমাত্র অবিকৃত ও সত্য ধর্ম।
আ ক ম আজাদ আস্ক প্রশ্ন ডটকমের সাথে আছেন সমন্বয়ক হিসাবে। বর্তমানে তিনি একজন শিক্ষক। আস্ক প্রশ্ন ডটকমকে বাছাই করে নিয়েছেন জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম হিসাবে। ভবিষ্যতে একজন বক্তা ও লেখক হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই আশা পূর্ণতা পেতে সকলের নিকট দু'আপার্থী।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

3 টি উত্তর
05 জুলাই 2018 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sirazul islam (2,723 পয়েন্ট) 96 693 745
0 টি উত্তর
03 এপ্রিল 2018 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Mehedi Hasan (3,352 পয়েন্ট) 98 556 631
1 উত্তর
1 উত্তর
11 সেপ্টেম্বর 2019 "সাধারণ জ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sajjad Jayed (10,126 পয়েন্ট) 381 2763 3127

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,930 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. rjsiraz

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. Hasan১

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  3. তামিম আল আদনানী

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  4. Tarun

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  5. Rasel rana

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...