উৎস অনুযায়ী প্রোটিনকে ২
ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
প্রাণিজ প্রোটিন: যে
প্রোটিনগুলো প্রাণিজগৎ
থেকে পাওয়া যায় তাদেরকে
প্রাণিজ প্রোটিন বলে।
যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ
ইত্যাদি। এই প্রোটিনকে
প্রথম শ্রেণীর প্রোটিন
বলে। উদ্ভিজ্জ প্রোটিন:
উদ্ভিদ জগৎ থেকে প্রাপ্ত
প্রোটিনকে উদ্ভিজ্জ
প্রোটিন বলে। যেমন: ডাল,
বাদাম, সয়াবিন, শিমের বিচি
ইত্যাদি। উদ্ভিজ্জ
প্রোটিনকে দ্বিতীয়
শ্রেণীর প্রোটিন বলে। ১
গ্রাম প্রোটিন থেকে চার
কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া
যায়। দৈনিক প্রয়োজনীয়
ক্যালরির ২০-২৫ ভাগ
প্রোটিন জাতীয় খাদ্য
থেকে গ্রহণ করা উচিত।
প্রতিদিন খাবারে উদ্ভিজ্জ
প্রোটিনের পাশাপাশি কিছু
প্রাণিজ প্রোটিনও গ্রহণ
করতে হবে। আমাদের দেহের
অস্থি, পেশি, বিভিন্ন
দেহযন্ত্র, রক্ত কণিকা
থেকে শুরু করে দাঁত, চুল, নখ
পর্যন্ত প্রোটিন দিয়ে
গঠিত। প্রোটিন শিশুদের
দৈহিক বৃদ্ধি সাধন ও দেহ গঠন
করে। আমাদের দেহের কোষগুলো
প্রতিনিয়তই
ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এই
ক্ষয়প্রাপ্ত স্থানে নতুন
কোষগুলো গঠন করে ক্ষয়পূরণ
করতে ও কোনো ক্ষতস্থান
সারাতে প্রোটিনের ভূমিকা
রয়েছে। যখন দেহে ফ্যাট ও
কার্বোহাইড্রেটের অভাব
দেখা যায় তখন প্রোটিন
তাপশক্তি উৎপাদনের কাজ
করে। রোগ সৃষ্টিকারী
রোগজীবাণুকে প্রতিরোধ
করার জন্য আমাদের দেহে
তাদের প্রতিরোধী পদার্থ
বা অ্যান্টিবডি তৈরী করা
প্রোটিনের একটি
গুরুত্বপূর্ণ কাজ। মানসিক
বিকাশ বা মস্তিষ্কের
বিকাশের জন্য প্রোটিন
অপরিহার্য। দেহে
প্রোটিনের অভাব হলে
বর্ধনরত বয়সের শিশুদের
স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত
হয়। দীর্ঘদিন ধরে খাদ্যে
প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে
কোয়াশিয়রকর রোগ হয়।
দেহের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা ও মেধা ও বুদ্ধি কমে
যায়। তাই প্রোটিন
জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা
প্রয়োজন