এসইও ফ্রেন্ডলী আর্টিকেল লিখার আগে আপনাকে যে বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে –
১। কিওয়ার্ড রিসার্চ :
গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ভিজিটর যে শব্দ বা কিওয়ার্ড লিখে সবচেয়ে বেশি সার্চ দেয়, তার উপর নির্ভর করে কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন এবং এই কিওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে আর্টিকেল লিখুন।
২। এসইও টাইটেল (SEO title) :
কিওয়ার্ড রিসার্চ করে টাইটেলের কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। টাইটেল হলো পোষ্ট বা আর্টিকেলের ২/১ লাইনের সারমর্ম। পোষ্টের টাইটেল হতে হবে ইউনিক। (৬-৭ শব্দ)
৩। আর্টিকেল :
সার্চ ইঞ্জিনে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়, মানস্মত (ইউনিক) কনটেন্ট বা আর্টিকেল এবং আর্টিকেলের কিওয়ার্ড বা শব্দ ৫০০+ । আর, যদি আপনার আর্টিকেল মানস্মত না হয়, তাহলে আপনার আর্টিকেলের কোন গুরুত্ব থাকবে না। মনে রাখবেন, আর্টিকেল হলো ওয়েবসাইটের প্রান। আর্টিকেল কপি করবেন না। কপি করলে আপনার সাইটের এসইও র্যাঙ্কিং কমে যাবে। তাই, অন্যের আর্টিকেল কপি করা থেকে বিরত থাকুন। (কমপক্ষে ৫০০ শব্দের আর্টিকেল নির্বাচন করতে হবে)।
৪। ফোকাস কিওয়ার্ড (Focus keyword) নির্বাচিত করুন।
৫। মেটা ডিসক্রিপশন (Meta Description) :
মেটা ডেসক্রিপশন কমপক্ষে ১৫০ থেকে ২৫০ শব্দের মধ্যে লিখুন। ট্যাগের বানান যেন ভুল হয় না, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। মেটা কিওয়ার্ড দেওয়ার সময় যেন, একই কিওয়ার্ড কয়েকবার ব্যবহার না হয়।
(১৫০-২৫০ Meta Description)
৬। পোষ্ট ট্যাগস (tags) :
পোষ্ট ট্যাগস অন পেজ এসইও হিসেবে কাজ করবে। আপনার পোষ্টে বিদ্যমান ট্যাগ, সার্চ ইঞ্জিনে রেজাল্টে সকল তথ্য তুলে ধরতে সহায়তা করবে।
তাই, পোষ্ট ট্যাগ এসিও তে গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম। (কমপক্ষে ৫-৭টি ট্যাগ)
৭। Heading tag – H1 থেকে শুরু করে H6 পর্যন্ত html ট্যাগ যুক্ত করতে হবে।
সার্চ ইঞ্জিন এলগরিদমের বোল্ড ,ইটালিক, আন্ডারলাইন (Bold,Italic,Underline) এসব ট্যাগ রাখে নাই।
এজন্য, আর্টিকেলের মধ্যে থাকা এসব ট্যাগ ক্রলিং এর সময় সার্চ ইঞ্জিন খুঁজে পায় না। কিন্তু, যদি আপনি আর্টিকেলের মধ্যে সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব ট্যাগ অর্থাৎ Heading tag – H1 থেকে H6 ট্যাগ ব্যবহার করেন, তাহলেই সার্চ ইঞ্জিন ক্রলিং এর সময় এসব ট্যাগ খুঁজে নিবে। কারণ, এসব ট্যাগ সার্চ ইঞ্জিন আর্টিকেলের টাইটেল বা হেডলাইন হিসেবে ধরে নিবে।
৮। ছবিতে ALT Image Tags Keword দিতে হবে :
ALT Image Tags Keword আর্টিকেলেকের বিষয়বস্তুকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় করে তুলে। অলটার ট্যাগ কিওয়ার্ড এসইও তে ব্যাপক ভুমিকা পালন করে। যখন কোন ভিজিটর সার্চ ইঞ্জিনে ইমেজ খুজে, তখন ইমেজের অলটার ট্যাগ কিওয়ার্ড আপনার সাইটের ইমেজ পেতে সাহায্য করবে।
তাই, ইমেজে অলটার ট্যাগ কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন। ইমেএর সাইজের প্রতি খেয়াল রাখুন।
আর একটা কথা মনে রাখবেন, গুগল থেকে নেয়া ইমেজ রিসাইজ ও রিনেম করে নিতে হবে।
৯। আপনার পোষ্ট “SEO good” কিনা তা দেখে নিন।
১০। আর্টিকেলের যে কোনো জায়াগায় নূন্যতম একটি হাইপার লিংক ব্যবহার করুন।
১১। ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল লিংক (Internal & External Link) দিতে হবে :
Internal & External Link লিংক আপনার আর্টিকেলের মান অনেকাংশ র্যাঙ্কিং করতে সাহায্য করবে।
লিংক দুই প্রকার। যথাঃ
১। ইন্টারনাল লিংক (Internal Link) –
যা এক পেজ থেক অন্য পেজের মধ্যে সংযুক্ত করা এবং ভিজিটর বিনিময় করা।
২। এক্সটারনাল লিংক (External Link) –
যা অন্য সাইট থেকে আপনার সাইটের মধ্যে ভিজিটর বিনিময় করা এবং আপনার সাইট থেকে অন্য সাইটে ভিজিটর প্রবেশ করানো।
এভাবেই, আপনার ওয়েব সাইটের আর্টিকেল বা পোষ্টগুলো এসইও ফ্রেন্ডলী আর্টিকেল করতে পারবেন।
কোথায়ও বুঝতে সমস্যা হবে, কমেন্ট করে জানাবেন। আসা করি, সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব।