আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
243 বার প্রদর্শিত
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (113 পয়েন্ট) 54 243 252
সম্পাদিত করেছেন

1 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (1,972 পয়েন্ট) 32 99 141

image

এইডস বা Acquired ImmunoDeficiency Syndrome প্রাণঘাতী মারাত্মক একটি রোগ। এইডস একটি সংক্রামক রোগ যা এইচআইভি (Human Immunodeficiency Virus) ভাইরাসের সংক্রমণের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এই রোগটি মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয় ধীরে ধীরে। এরফলে দেহে বাসা বাঁধে নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস সহ মারাত্মক নানা রোগ, এমনকি ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে দেখা যায় অনেককেই।

দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি যে এখন পর্যন্ত এইচআইভি/এইডসের কোন কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি আবিস্কার হয়নি। এবং সেকারণে এই রোগে আক্রান্তের অর্থ শুধুমাত্র মৃত্যু। তাই এইডস প্রতিরোধের সবচাইতে ভালো উপায় হচ্ছে সচেতনতা এবং এই বিষয়ে সতর্ক থাকা। আমাদের কিছু ভুলের কারণে আমাদের দেহ আক্রান্ত হতে পারে এই মরণব্যাধিতে। তাই সচেতন থাকুন সবসময়।

এইডসে আক্রান্তের প্রতিটি ধাপে এই রোগের লক্ষণ একেকভাবে প্রকাশ পেয়ে থাকে। এইদসের লক্ষণকে চিকিৎসকগণ সংক্রমণের ৩ টি পর্যায়ে বিভক্ত করেন। এবং প্রতিটি পর্যায়ের লক্ষণই ভিন্ন ধরণের। চলুন দেখে নিই প্রাথমিক পর্যায়, সংক্রমণ পরবর্তী পর্যায় এবং শেষ পর্যায়ের লক্ষণগুলো।

সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ের লক্ষণগুলো

১) দেহে লালচে দানা উঠা

২) প্রচণ্ড মাথা ব্যথা

৩) জ্বর

৪) গলা ভাঙ্গা

৫) লিম্ফগ্রন্থি ফুলে উঠা

সংক্রমণ পরবর্তী পর্যায়ের লক্ষণগুলো

১) কোনো কারণ ছাড়া দ্রুত দেহের ওজন কমতে থাকা

২) জ্বরের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া

৩) কাশি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হওয়া

৪) হাড়ের জয়েন্টগুলো ফুলে উঠা

৫) ডায়রিয়ায় আক্তান্ত হওয়া

সংক্রমণের শেষ পর্যায়ের লক্ষণগুলো

১) ৩ মাসের বেশি সময় ধরে হাড়ের জয়েন্টগুলো ফুলে থাকা

২) মুখ কিংবা জিহ্বা বাঁকা হয়ে যাওয়া। মাঝে মাঝে সাদা সাদা দাগ পরতে দেখা যায়।

৩) দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা শুরু হয়। সবকিছু অস্পষ্ট এবং বিকৃত দেখতে পাওয়া

৪) দীর্ঘদিন ধরে ডায়রিয়ার সমস্যা থেকে যাওয়া

৫) টানা ২-৩ সপ্তাহ বা এরচাইতে বেশি সময় ধরে অনেক বেশি জ্বর থাকা

৬) মাথা ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়া

৭) শুকনো কাশি এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া

৮) রাতের বেলা অনেক বেশি ঘাম হওয়া

৯) প্রচণ্ড দুর্বলতা বোধ করা

বড়দের ক্ষেত্রে যেসকল লক্ষণগুলো দেখা দেয় শিশুদের ক্ষেত্রে তা ভিন্ন হয়ে থাকে।

১) দৈহিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক হারে না হওয়া

২) ওজন বৃদ্ধি না পাওয়া

৩) কানের সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, টনসিল ইত্যাদিসহ নানা ছোটোখাটো সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করা

৪) হাঁটতে সমস্যা হওয়া

৫) বুদ্ধি ও মেধা বিকাশে দেরি হওয়া।

সূত্রঃ bd24live

Md. Mizan প্রশ্ন ডট কম এর প্রতিষ্ঠাতা। মানুষের সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যেকে লক্ষ্য করেই ২০১৭ সালে প্রশ্ন অ্যানসারস প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি একজন ডিপ্লোমা কম্পিউটার ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত আছেন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

2 টি উত্তর
27 এপ্রিল 2018 "শরীর চর্চা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন শামীম মাহমুদ (7,799 পয়েন্ট) 982 2941 3067
1 উত্তর
07 অক্টোবর 2019 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Siddique (4,388 পয়েন্ট) 251 1537 1592
1 উত্তর
09 মে 2018 "সাধারণ জ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন At Munna (1,670 পয়েন্ট) 95 1294 1427
1 উত্তর
22 অক্টোবর 2019 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Siddique (4,388 পয়েন্ট) 251 1537 1592

28,149 টি প্রশ্ন

29,678 টি উত্তর

3,146 টি মন্তব্য

3,867 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. মনিরুজ্জামান

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. ajhar

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...