পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে ১৭ রাকাতে সীমাবদ্ধ করা হয়ে।
১) হযরত আদম আ: কে রাতের অন্ধকারে
দুনিয়ায় প্রেরণ করা হয়। রাতের অন্ধকার দেখে
তিনি ভীত হয়ে যান। পরে যখন অন্ধকার
দূরিভূত হয়ে গেল, তিনি খুশিতে দুই রাকাত
নামাজ পড়েছিলেন। তাই উম্মতে মুহাম্মাদীর
উপর ফজরের দুই রাকাত নামাজ ফরজ করা
হয়েছে। এই হলো ২ রাকাত।
২) সর্ব প্রথম হযরত ইব্রাহীম আ: যোহরের চার
রাকাত নামাজ আদায় করেছিলেন। হযরত
ইব্রাহীম আ: যখন পুত্র ইসমাইল আ: কে
কোরবানি করার জন্য উদ্যত হলেন অত:পর জবেহ
হলো আল্লাহ প্রেরিত দুম্বা। এজন্য শুকরিয়া
আদায় স্বরুপ তিনি চার রাকাত নামাজ
পড়েছিলেন। এই হলো. ২+৪=৬ রাকাত।
৩) আছরের নামাজ সর্ব প্রথম হযরত ইউনুস আ:
পড়েছিলেন। তিনি মাছের পেট থেকে মুক্তি
পেয়েছিলেন আসরের সময়। তাই তিনি
কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য চার রাকাত নামাজ
অাদায় করেছিলেন। অাল্লাহ পাক অামাদের
জন্য এই চার রাকাত নামাজ আমাদের জন্য
ফরজ করে দিয়েছেন। এই হলো, ২+৪+৪=১০ রাকাত।
৪) হযরত ইয়াকুব অা: সর্ব প্রথম মাগরিবের
নামাজ পড়েছিলেন। হযরত ইউসুফ আ: এর দেয়া
জামা যখন হযরত ইয়াকুব আ: চোখে মুখে ঘসে
ছিলেন, তৎক্ষণাৎ তাঁর দৃষ্টি শক্তি ফিরে পান
এবং ইউসুফ আ: কে জীবিত ও ইসলামের উপর
কায়েম পান। এই তিন অবস্থার কৃতজ্ঞতা স্বরুপ
তিনি তিন রাকাত নামাজ পড়েছিলেন। যা
আল্লাহপাক আমাদের জন্য ফরজ করেছেন। এই হলো, ২+৪+৪+৩=১৩ রাকাত।
৫) হযরত মুসা আ: নীলনদ অতিক্রম করে ফেরাউন
থেকে মুক্তি পাবার পর কৃতজ্ঞতা স্বরুপ চার
রাকাত নামাজ পড়েন। যা আল্লাহপাক আমাদের জন্য ফরজ করেছেন। এইজন্য এই (২+৪+৪+৩+৪= ) ১৭ রাকাত নামাজকে আমাদের উপর ফরজ করেন।