G, E, 3G, H, H+, LTE এগুলো সবই নেটওয়ার্ক- এর সংস্করণ।
মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময়, আপনার পার্শ্ববর্তী নেটওয়ার্ক-এর উপর নির্ভর করে G, E, 3G, H, H+, LTE উঠে থাকে।
G থেকে LTE প্রযুক্তি ও এর গতিসীমা নিয়ে কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল ।

G = GPRS (General Packet Radio Service- জেনারেল প্যাকেট রেডিও সার্ভিস)
* জিপিআরএস প্রতি সেকেন্ডে 56-114 kbit ডাটা প্রদান করতে সক্ষম।
আপনার মোবাইল স্ক্রিনে যদি ‘G’ লেখা উঠে থাকে তবে আপনি ইন্ট (সর্বনিম্ন) কোয়ালিটি ব্যবহার করছেন।
এক্ষেত্রে, আপনার নেট স্পিড থাকবে খুবই কম।
E = EDGE (Enhanced Data Rate for GSM Evolution- উন্নত ডাটা রেট GSM বিবর্তনের জন্য)।
যদি E লেখা থাকে তার মানে আপনি GPRS এর চেয়ে ভালো কোয়ালিটির ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। E এর প্রতি সেকেন্ডে 400kbit পর্যন্ত ডাটা প্রদান করতে সক্ষম ।
এটিই মূলত 2G ইন্টারনেট। বাংলাদেশের প্রায় সব এলাকাই 2G বা EDGE কাভারেজ সম্পন্ন।
3G = 3.5G HSDPA (High Speed Downlink Packet Access- হাই স্পিড ডাউনলিংক প্যাকেট অ্যাক্সেস) , HSDPA এর মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে 7.2 Mbit ডাটা পাওয়া সম্ভব HSUPA (High Speed Uplink Packet Access- হাই স্পিড আপলিংক প্যাকেট এক্সেস), HSUPA প্রতি সেকেন্ডে 5.8 mbit আপলোড স্পীড পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে 3G চালু হলেও মোবাইল অপারেটরগুলা এর চেয়ে উন্নত সংস্করণের ইন্টারনেট চালু করেছে।
যার কারণে 3G কাভারেজ এলাকায় নেট ব্রাউজ করলে মোবাইল স্ক্রিনে H অথবা H+ উঠে।
* যার গতি হল GSM এবং EDGE এর চেয়ে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংস্করণ।
H = 3.5G / HSDPA (High Speed Downlink Packet Access- হাই স্পিড ডাউনলিংক প্যাকেট অ্যাক্সেস), HSDPA এর মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে 7.2 Mbit ডাটা পাওয়া সম্ভব।
HSUPA (High Speed Uplink Packet Access- হাই স্পিড আপলিংক প্যাকেট এক্সেস), HSUPA প্রতি সেকেন্ডে 5.8 mbit আপলোড স্পীড পাওয়া যায় ।
3.75G / HSPA (High Speed Packet Access- হাই স্পিড প্যাকেট এক্সেস)।
HSPA প্রযুক্তিতে প্রতি সেকেন্ডে 21থেকে 28 mbit স্পিড পাওয়া সম্ভব।
H+ = 3.8G, 3.85G, 3.9G (Pre-4G)
HSPA+ (Evolved High Speed Packet Access- প্রসূত হাই স্পিড প্যাকেট এক্সেস), HSPA+ প্রযুক্তিতে প্রতি সেকেন্ডে 168mbit পর্যন্ত স্পিড পাওয়া সম্ভব ।
LTE= LTE (Long Term Evolution) দীর্ঘ মেয়াদী বিবর্তন।
LTE প্রযুক্তিতে প্রতি সেকেন্ডে 299.6 Mbit পর্যন্ত গতি পাওয়া সম্ভব ।
3G/3.G+ এর চেয়ে দ্রুত গতির ইন্টারনেট হল LTE বা 4G , যা আমাদের দেশে বাণিজ্যিকভাবে এখনও চালু হয়নি।
বাংলালায়নসহ অন্যান্য ওয়াইম্যাক্স কোম্পানিগুলো LTE চালু করতে চাচ্ছে কিন্তু নরমাল মোবাইল অপারেটর গুলোর কারনে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
- আপনি যদি 3G নেটওয়ার্ক এলাকায় অবস্থান করেন তবে আপনার মোবাইলে 3g লেখা দেখাবে।
- আপনি যদি 3.5g বা 3.75G নেটওয়ার্ক এলাকায় অবস্থান করেন তবে আপনার মোবাইলে H লেখা দেখাবে।
- আর আপনি যদি 3.8G বা 3.9G নেটওয়ার্ক এলাকায় অবস্থান করেন তবে আপনার মোবাইলে H+ লেখা দেখাবে।