আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
230 বার প্রদর্শিত
"ইসলাম ধর্ম" বিভাগে করেছেন (1,670 পয়েন্ট) 99 1322 1427

1 উত্তর

2 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (1,776 পয়েন্ট) 12 112 134
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার অপকারিতা ও পাপ : আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা অতি বড় গোনাহের কাজ। এর ফলে পারস্পরিক বন্ধন নষ্ট হয়, বংশীয় সম্পর্ক ক্ষুণ্ণ হয়, শত্রুতা ও বিদ্বেষ বৃদ্ধি পায়, বিচ্ছিন্নতা ও একে অপরকে পরিত্যাগ করা অবধারিত হয়। এটা পারস্পরিক সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি, হৃদ্যতা ও ভালবাসা দূর করে, অভিশাপ ও শাস্তি ত্বরান্বিত করে, জান্নাতে প্রবেশের পথকে বাধাগ্রস্ত করে, হীনতা ও লাঞ্ছনা আবশ্যক করে। এছাড়া এর কারণে মানবমনে চিন্তা ও পেরেশানী বৃদ্ধি পায়। কেননা মানুষ যার নিকট থেকে ভাল ব্যবহার, কল্যাণ ও সুসম্পর্ক কামনা করে, তার পক্ষ থেকে কোন বিপদ আসলে সেটা অধিক পীড়াদায়ক ও অসহনীয় হয়। এতদ্ব্যতীত পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের বর্ণনামতে জ্ঞাতি সম্পর্ক ছিন্ন করার কিছু পাপ ও অপকারিতা নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।- ১. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী অভিশপ্ত : কুরআন মাজীদে আল্লাহ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীকে অভিশপ্ত বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন আল্লাহ বলেন, ﻓَﻬَﻞْ ﻋَﺴَﻴْﺘُﻢْ ﺇِﻥْ ﺗَﻮَﻟَّﻴْﺘُﻢْ ﺃَﻥ ﺗُﻔْﺴِﺪُﻭْﺍ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﺗُﻘَﻄِّﻌُﻮْﺍ ﺃَﺭْﺣَﺎﻣَﻜُﻢْ، ﺃُﻭْﻟَﺌِﻚَ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻟَﻌَﻨَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻓَﺄَﺻَﻤَّﻬُﻢْ ﻭَﺃَﻋْﻤَﻰ ﺃَﺑْﺼَﺎﺭَﻫُﻢْ- ‘তবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হ’লে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। আল্লাহ এদেরকে লা‘নত করেন এবং করেন বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন’ (মুহাম্মাদ ৪৭/২২-২৩) । এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আব্দুর রহমান ইবনু নাছের আস-সা‘দী বলেন, এতে দু’টি বিষয় রয়েছে। ১. আল্লাহর আনুগত্য আবশ্যকীয় করে নেয়া এবং তাঁর আদেশকে যথার্থভাবে পালন করা। এটা কল্যাণ, হেদায়াত ও কামিয়াবী। ২. আল্লাহর আনুগত্য থেকে বিমুখ হওয়া, তাঁর নির্দেশ প্রতিপালন না করা। যার দ্বারা দুনিয়াতে কেবল বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। আর এ বিপর্যয় সৃষ্টি হয় পাপাচার ও অবাধ্যতামূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে এবং জ্ঞাতি বন্ধন ছিন্ন করার কারণে। তারাই ঐসকল লোক যারা পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার মাধ্যমে। আল্লাহ স্বীয় রহমত থেকে তাদেরকে দূর করে দিয়ে এবং তাঁর ক্রোধের নিকটবর্তী করে তাদের অভিসম্পাত করেন’।[7] অন্যত্র তাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﻨْﻘُﻀُﻮْﻥَ ﻋَﻬْﺪَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِ ﻣِﻴْﺜَﺎﻗِﻪِ ﻭَﻳَﻘْﻄَﻌُﻮْﻥَ ﻣَﺎ ﺃَﻣَﺮَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺑِﻪِ ﺃَﻥْ ﻳُﻮْﺻَﻞَ ﻭَﻳُﻔْﺴِﺪُﻭْﻥَ ﻓِﻲ ﺍﻷَﺭْﺽِ ﺃُﻭْﻟَﺌِﻚَ ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻌْﻨَﺔُ ﻭَﻟَﻬُﻢْ ﺳُﻮْﺀُ ﺍﻟﺪَّﺍﺭِ ‘যারা আল্লাহর সাথে দৃঢ় অঙ্গীকারে আবদ্ধ হবার পর তা ভঙ্গ করে, যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখতে আল্লাহ আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায় তাদের জন্য আছে লা‘নত এবং তাদের জন্য আছে মন্দ আবাস’ (রা‘দ ১৩/২৫) । ২. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ক্ষতিগ্রস্ত ফাসেকদের দলভুক্ত: জ্ঞাতি সম্পর্ক বিনষ্টকারী পাপাচারী ও ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত। তাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ﻭَﻣَﺎ ﻳُﻀِﻞُّ ﺑِﻪِ ﺇِﻻَّ ﺍﻟْﻔَﺎﺳِﻘِﻴْﻦَ، ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﻨﻘُﻀُﻮْﻥَ ﻋَﻬْﺪَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِ ﻣِﻴْﺜَﺎﻗِﻪِ ﻭَﻳَﻘْﻄَﻌُﻮْﻥَ ﻣَﺎ ﺃَﻣَﺮَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺑِﻪِ ﺃَﻥْ ﻳُﻮْﺻَﻞَ ﻭَﻳُﻔْﺴِﺪُﻭْﻥَ ﻓِﻲ ﺍﻷَﺭْﺽِ ﺃُﻭﻟَـﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟْﺨَﺎﺳِﺮُﻭْﻥَ- ‘বস্ত্তত তিনি ফাসেকদের ব্যতীত কাউকে বিভ্রান্ত করেন না। যারা আল্লাহর সাথে দৃঢ় অঙ্গীকারে আবদ্ধ হবার পর তা ভঙ্গ করে, যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখতে আল্লাহ আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে এবং দুনিয়ায় অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায়, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত’ (বাক্বারাহ ২/২৬-২৭) । ৩. পার্থিব শাস্তি ত্বরান্বিত হওয়া ও পরকালীন শাস্তি বাকী থাকা : আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার কারণে পরকালে কঠোর শাস্তি তো রয়েছেই। তাছাড়া দুনিয়াতেও তাদের দ্রুত শাস্তি হবে। আবু বকর (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ﻣَﺎ ﻣِﻦْ ﺫَﻧْﺐٍ ﺃَﺟْﺪَﺭُ ﺃَﻥْ ﻳُﻌَﺠِّﻞَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻟِﺼَﺎﺣِﺒِﻪِ ﺍﻟْﻌُﻘُﻮﺑَﺔَ ﻓِﻰ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻣَﻊَ ﻣَﺎ ﻳَﺪَّﺧِﺮُ ﻟَﻪُ ﻓِﻰ ﺍﻵﺧِﺮَﺓِ ﻣِﺜْﻞُ ﺍﻟْﺒَﻐْﻰِ ﻭَﻗَﻄِﻴْﻌَﺔِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻢِ ‘আল্লাহ তা‘আলা বিদ্রোহী ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর ন্যায় অন্য কাউকে পৃথিবীতে দ্রুত শাস্তি দেয়ার পরও পরকালীন শাস্তিও তার জন্য জমা করে রাখেননি’।[8]অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ﻣَﺎ ﻣِﻦْ ﺫَﻧْﺐٍ ﺃَﺣْﺮَﻯ ﺃَﻥْ ﻳُّﻌَﺠِّﻞَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻟِﺼَﺎﺣِﺒِﻪِ ﺍﻟْﻌُﻘُﻮْﺑَﺔَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ، ﻣَﻊَ ﻣَﺎ ﻳَﺪَّﺧِﺮُ ﻟَﻪُ ﻓِﻲ ﺍﻵﺧِﺮَﺓِ ﻣِﻦْ ﻗَﻄِﻴْﻌَﺔِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻢِ ﻭَﺍﻟْﺒَﻐْﻲِ . ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন এবং বিদ্রোহের মত দুনিয়াতেই ত্বরিৎ শাস্তির উপযুক্ত আর কোন পাপ নেই। পরকালে তার জন্য যে শাস্তি সঞ্চিত রাখা হবে, তা তো আছেই’।[9] ৪. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর সাথে আল্লাহ সম্পর্ক ছিন্ন করেন : যে ব্যক্তি আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করে মহান আল্লাহ তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ﺧَﻠَﻖَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺍﻟْﺨَﻠْﻖَ، ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻓَﺮَﻍَ ﻣِﻨْﻪُ ﻗَﺎﻣَﺖِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻢُ ﻓَﺄَﺧَﺬَﺕْ ﺑِﺤَﻘْﻮِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻟَﻬَﺎ ﻣَﻪْ . ﻗَﺎﻟَﺖْ ﻫَﺬَﺍ ﻣَﻘَﺎﻡُ ﺍﻟْﻌَﺎﺋِﺬِ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘَﻄِﻴْﻌَﺔِ . ﻗَﺎﻝَ ﺃَﻻَ ﺗَﺮْﺿَﻴْﻦَ ﺃَﻥْ ﺃَﺻِﻞَ ﻣَﻦْ ﻭَﺻَﻠَﻚِ ﻭَﺃَﻗْﻄَﻊَ ﻣَﻦْ ﻗَﻄَﻌَﻚِ . ﻗَﺎﻟَﺖْ ﺑَﻠَﻰ ﻳَﺎ ﺭَﺏِّ . ﻗَﺎﻝَ ﻓَﺬَﺍﻙِ ﻟَﻚِ . ﻗَﺎﻝَ ﺃَﺑُﻮ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺍﻗْﺮَﺀُﻭﺍ ﺇِﻥْ ﺷِﺌْﺘُﻢْ ‏( ﻓَﻬَﻞْ ﻋَﺴَﻴْﺘُﻢْ ﺇِﻥْ ﺗَﻮَﻟَّﻴْﺘُﻢْ ﺃَﻥْ ﺗُﻔْﺴِﺪُﻭْﺍ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭْﺽِ ﻭَﺗُﻘَﻄِّﻌُﻮْﺍ ﺃَﺭْﺣَﺎﻣَﻜُﻢْ ‏) . ‘আল্লাহ তা‘আলা যখন সমস্ত সৃষ্টি জগতকে সৃষ্টি করলেন, তখন ‘রেহেম (আত্মীয়তা)’ উঠে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কোমর ধরল। আল্লাহ তা‘আলা জিজ্ঞেস করলেন, কি চাও? সে বলল, এটা হ’ল আত্মীয়তা ছিন্নকারী হ’তে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনার স্থান! তিনি বললেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, যে তোমার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবে, আমি তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখব। আর যে তোমাকে ছিন্ন করবে, আমিও তাকে ছিনণ করব? রেহেম বলল, জ্বী হ্যাঁ, প্রভু! তিনি বললেন, এটা তো তোমারই জন্য। অতঃপর আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেন, ইচ্ছা হ’লে পড়তে পার, ‘তবে কি (হে মুনাফিক সমাজ!) তোমরা আধিপত্য লাভ করলে পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন সমূহকে ছিন্ন করবে’ (মুহাম্মাদ ৪৭/২২) ।[10] রাসূল (ছাঃ) আরো বলেন, ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺃَﻧَﺎ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦُ ﻭَﻫِﻰَ ﺍﻟﺮَّﺣِﻢُ ﺷَﻘَﻘْﺖُ ﻟَﻬَﺎ ﺍِﺳْﻤًﺎ ﻣِﻦَ ﺍﺳْﻤِﻰْ ﻣَﻦْ ﻭَﺻَﻠَﻬَﺎ ﻭَﺻَﻠْﺘُﻪُ ﻭَﻣَﻦْ ﻗَﻄَﻌَﻬَﺎ ﺑَﺘَﺘُّﻪُ . ‘আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, আমিই রহমান (দয়ালু), আমি আমার নাম (রহমান) থেকেই ‘রাহেম’ (আত্মীয়তার বন্ধন)-এর নাম নির্গত করেছি। সুতরাং যে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখবে, আমি তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখব এবং যে তাকে ছিন্ন করবে, আমি তাকে আমা হ’তে ছিন্ন করব’।[11] ৫. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

2 টি উত্তর
1 উত্তর
1 উত্তর
21 মে 2018 "ইসলাম ধর্ম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন At Munna (1,670 পয়েন্ট) 99 1322 1427
1 উত্তর
11 মে 2018 "কৃষি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Siddique (4,388 পয়েন্ট) 273 1555 1592

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,930 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. rjsiraz

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. Hasan১

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  3. তামিম আল আদনানী

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  4. Tarun

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  5. Rasel rana

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...