তোমাদের অনেকেরই এটি প্রশ্ন, ‘প্রোগ্রামিং শিখতে চাই, কোন ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে শুরু করব’? সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্যই এই পোস্ট।
তোমার বয়স যদি ১০-এর নিচে হয়, অর্থাৎ, তুমি যদি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থী হও, তোমার জন্য বেশ কিছু অপশন রয়েছে। তার মধ্যে আমার মতে এমআইটি’র স্ক্রাচ একটা ভালো টুল, তোমার প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করার জন্য।
তুমি যদি হাই স্কুলের শিক্ষার্থী হও, তাহলে তোমার জন্য দুইটা অপশন, সি অথবা পাইথন। পাইথন দিয়ে শুরু করা সহজ। এটি বেশ আধুনিক একটি ল্যাঙ্গুয়েজ। এটি শেখার পরে তুমি গুই (গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস) সমৃদ্ধ ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন, গেমস (পাইগেমস), কিংবা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারবে। কাজগুলো করে বেশ মজাও পাবে। আর তুমি যদি বীজগণিতে বেশ পাকা হও, তুমি সি শিখতে পারো। সি শিখলে তুমি ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে পারবে (পাইথন সেখানে ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না)। আবার কলেজে আইসিটি কোর্সে সি আছে, তাই সেটাও তোমার আগেভাগে করা হয়ে যাবে। তবে সি দিয়ে কিন্তু ডেস্কটপ অ্যাপ, গেমস কিংবা ওয়েব অ্যাপ বানানো খুব কষ্ট, তাই সেগুলা সহজে করা যাবে না। প্রোগ্রামিং করতে হলে যে সেগুলো করতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। ইন্টারনেটে হাজার হাজার প্রোগ্রামিং সমস্যা আছে, যেগুলো তুমি সি দিয়ে সমাধান করতে পার। অবশ্য অনেক অনলাইন জাজে এখন পাইথন দিয়েও প্রবলেম সলভ করা যায়। আর সেগুলোর সমাধান করতে করতে তিন-চার বছর কাটিয়ে দেওয়া কোনো ব্যাপারই না। আর বিশ্বমানের প্রোগ্রামার হতে হলে টুকটাক অ্যাপ, গেমস্ এসব তৈরি না করে প্রবলেম সলভিংয়েই জোর দেওয়া উচিত।
তুমি যদি কলেজের শিক্ষার্থী হও, তাহলে অবশ্যই সি শেখো। কারণ কলেজের আইসিটি কোর্সে এমনিতেই সি শিখতে হবে। তাই দুইটা ল্যাঙ্গুয়েজ একই সময়ে শেখার কোনো দরকার নাই।
তুমি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থী হও, তাহলে সি দিয়ে শুরু করাটাই ভালো। ভালোমতো সি শিখলে বুঝতে পারবে যে কম্পিউটার আসলে কিভাবে কাজ করে। এটা আমার নিজস্ব মতামত, কেউ কেউ অবশ্য পাইথন দিয়ে শুরু করার পক্ষে। বিশেষ করে বিদেশে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এখন পাইথন দিয়ে প্রোগ্রামিং শেখায়।
তুমি যদি কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থী না হও, কিন্তু অন্য কোনো প্রয়োজনে কিংবা শখের বশে প্রোগ্রামিং শিখতে চাও, তাহলে আমি পাইথন শিখতে বলব। কারণ একে তো এই ল্যাঙ্গুয়েজ শেখা সহজ। এছাড়া বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক প্রোগ্রামে আর ডাটা অ্যানালাইসিসে পাইথনের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দিন দিন।
কিছু দরকারি লিঙ্ক :