গবেষণায় দেখা গেছে, বাসি রুটি নিয়মিত খেলে বেশ কিছু রোগ একেবারে সেরে যায়। যেমন, সুগারের কথাই ধরুন। গবেষণা বলছে বাসির রুটির মধ্যে এমন কিছু উপাদান তৈরি হয়ে যায়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, বাসি রুটির আরও অনেক গুণ রয়েছে। ১. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়: একাধিক কেস স্টাডি অনুসারে রুটির মধ্যে থাকা ফাইবার, সময় যত এগতে থাকে, তত শক্তিশালী হয়ে উঠতে শুরু করে। তাই তো বাসি রুটি দুধ দিয়ে খেলে হজম ক্ষমতার মারাত্মক উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও কমে যায়। তাই এবার থেকে রাতের বেলা রুটি থেকে গেলে আর ফেলে দেবেন না। বরং ব্রেকফাস্টে দুধ দিয়ে খেয়ে নেবেন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে। ২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসবে: ঠাণ্ডা দুধ দিয়ে বাসি রুটি খেলে শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হয়, যার প্রভাবে দেহে সোডিয়াম বা নুনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, গরমের সময় শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতেও দুধ-রুটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে! ৩. ডায়াবেটিস রোধ করে: এক্ষেত্রে বাসি রুটি এবং ঠাণ্ডা দুধ কীভাবে কাজ করে তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে ব্লাড সুগারকে কন্ট্রোলে রাখতে বাসি রুটির জুড়ি নেই। তাই আপনার পরিবারে যদি এই রোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে বাসি রুটি খেতে আর নাক শিঁটকোবেন না যেন! ৪. এনার্জি দূর করে: সকাল সকাল মিটিং আছে? হাতে সময় নেই ব্রেকফাস্ট করার? ফিকার নট! আগের দিনের রুটি আর এক গ্লাস ঝটপট খেয়ে বেরিয়ে পরুন। এমনটা করলে পেটটাও খালি থাকবে না। উল্টে এনার্জির ঘাটতিও দূর হবে। ফলে কাজে মন তো বসবেই, সেই সঙ্গে শরীরও চনমনে হয়ে উঠবে। প্রাণ খুলে হাসলে কী হয় জানেন? ৫. ওজন কমায়: চটজলদি অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে বাসি রুটি খাওয়া শুরু করতে পারেন। কারণ এতে উপস্থিত ফাইবার অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়ার পরিমাণ কমে যেতে শুরু করে। আর যেমনটা সবারই জানা আছে যে কম খেলে, ওজন বাড়ার আশঙ্কাও কমে। সেই সঙ্গে দেহে পুষ্টির ঘাটতিও দূর হয়। তাই যারা বাড়ির বাইরে তাকেন, তারা সকাল সকাল রুটি এবং দুধ খেতে পারেন কিন্তু!