ইয়েল ইউনির্ভাসিটি ক্যান্সার সেন্টারের গবেষকদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এক মুঠো করে বাদাম খাওয়া শুরু করলে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। শুধু তাই নয়, যারা ইতিমধ্যেই এই রোগে ভুগছেন, তাদের শরীরে নতুন করে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
প্রায় ৮২৬ জন কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর উপর এই গবেষণা চালিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানতে পরেছেন নিয়মিত বাদাম খাওয়া শুরু করলে দেহে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে ক্যান্সার সেল ধ্বংস হতে থাকে। শুধু তাই নয়, শরীরে বাসা বেঁধে থাকা ছোট-বড় সব ধরনের রোগের নিকেশ ঘটার সম্ভবনাও প্রায় ৪৬ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই তো এতদিন যে মুকুট আপেলের মাথায় ছিল, তা এখন এক প্রকার ছিনিয়ে নিয়েছে বাদাম।
সম্প্রতি একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে অল্প খরচে চিকিৎসকে দূরে রাখতে বাদামের কোনও বিকল্প নেই। একাধিক খনিজ এবং ভিটামিনে পরিপূর্ণ এই খাবারটি একাধিক মারণ রোগ থেকে আপনাকে দূরে রাখে এবং সেই সঙ্গে আপনার হয়ে ওঠে চাঙ্গা ও দীপ্তিময়, বৃদ্ধি পায় আয়ু। এত দূর পড়ার পর নিশ্চয় এবার বাদামের গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে ইচ্ছা করছে? তাহলে আর অপেক্ষা কেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক বাদাম নামক “সুপার ফুড” টি ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি আর কী কী ভাবে আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য় করে থাকে ।
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর করে: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এমন একটি উপাদান যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে নানাবিধ সংক্রমণকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আরও নানা উপকারে আসে। যেমন, অ্যাক্সিডেটিভ ট্রেস কমিয়ে কোষেদের ক্ষত রোধ এবং ত্বক ও শরীরের বয়স কমাতেও সাহায্য করে।
২. কোষের সজিবতা রক্ষা করে: বাদামে উপস্থিত প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ই দেহ কোষের কর্মক্ষমতার বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের যাতে কোনও ভাবে ক্ষতের সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে বয়স বাড়লেও শরীরের উপর তার কোনও প্রভাব পরে না।
৩. ওজন কমায়: বাদাম খাওয়ার পর খিদে একেবারে কমে যায়। ফলে মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে শরীরে প্রয়োজন অতিরিক্ত ক্যালরি জমে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও কমে।