খিযির (আঃ) এখন বেঁচে নেই। আল্লাহপাক স্বীয় রাসূল (ছাঃ)-কে বলেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মৃত্যুবরণ করবে, যেমন (তোমার পূর্বের) নবীগণ মৃত্যুবরণ করেছেন’ (যুমার ৩৯/৩০)। তিনি বলেন, তোমার পূর্বে কোন মানুষকে আমি স্থায়ী জীবন দান করিনি (আম্বিয়া ২১/৩৪)। তিনি বলেন, ‘তুমি কোথাও আল্লাহর নিয়মের ব্যতিক্রম পাবে না’ (ফাত্বির ৩৫/৪৩)। অতএব যদি দুনিয়া কারু জন্য চিরস্থায়ী হ’ত, তাহ’লে শ্রেষ্ঠ মানুষ ও শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) চিরস্থায়ী জীবন লাভ করতেন। তিনি যখন মৃত্যুবরণ করেছেন, তখন অন্যদের বেঁচে থাকার প্রশ্নই ওঠে না। খিযির (আঃ) ‘আবে হায়াৎ’ পান করে আজও বেঁচে আছেন বলে যে কথা চালু আছে, এগুলি ‘ইস্রাঈলিয়াত’ (الإسرائيليات) -এর অন্তর্ভুক্ত। আবু জা‘ফর আল-মুনাদী এ বিষয়ে বিস্তারিত গ্রন্থ রচনা করেছেন, যেখানে এসবের অসারতা প্রমাণ করা হয়েছে (দ্রঃ ফাৎহুল বারী ৮/২৬৮ পৃঃ, হা/৪৭২৬-এর ব্যাখ্যা ‘তাফসীর’ অধ্যায় ৩নং অনুচ্ছেদ)।
খিযির (আঃ) বেঁচে আছেন এবং প্রতি বছর হজ্জের মৌসুমে তিনি সাক্ষাৎ করেন’ এ বিষয়ে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে সবই বানোয়াট বা ভিত্তিহীন (ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ১/৩৩৭; ঐ, তাফসীর সূরা কাহফ ৮২ আয়াতের আলোচনা দ্রষ্টব্য)।
আ ক ম আজাদ আস্ক প্রশ্ন ডটকমের সাথে আছেন সমন্বয়ক হিসাবে। বর্তমানে তিনি একজন শিক্ষক। আস্ক প্রশ্ন ডটকমকে বাছাই করে নিয়েছেন জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম হিসাবে। ভবিষ্যতে একজন বক্তা ও লেখক হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই আশা পূর্ণতা পেতে সকলের নিকট দু'আপার্থী।