দাঁড়ি গজানোর সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি :
দাড়ি গজানোর ঘরোয়া উপায়ঃ
বয়সন্ধিকালের বা বয়সন্ধিকালোত্তীর্ণ ছেলেদের মুখে দাড়ি গজায়। একজন পুরুষের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার বয়স সাধারণত ১২ থেকে ১৫ বছর। অর্থাৎ, এই বয়সেই ছেলেদের শরীরে অনেক পরিবর্তন হয়ে
থাকে, যার একটি হচ্ছে মুখে দাড়ি-গোঁফ ওঠা। এক্ষেত্রে পুরুষ হরমোন টেস্টস্টেরনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার মুখে একটি প্রশ্নই বারবার ঘুরপাক কাচ্ছে সেটি হল, বয়স তো অনেক হল আমার তাহলে মুখে দাঁড়ি গজায় না কেন?
কারন হচ্ছে, এন্ড্রোজেন নামক হরমোন আছে আর এই হরমোনের কাজ হচ্ছে মুখে দাড়ি বুকে লোম গজানো এবং কণ্ঠস্বর ভারি করে তোলা। এন্ড্রোজেন ক্ষরণ না হলে মুখে দাড়ি উঠবে না। এটি একটি শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তবে আপনার বয়স যদি হয় ২০ বছর এর কম সেক্ষেত্রে দাঁড়ি গজানোর সম্ভাবনা এখনও রয়েছে। এমনও হতে পারে কারও কারও কিছুটা বয়স হলে পরে দাঁড়ি গজায়।
এক্ষেত্রে আপনি নিম্নে দেওয়া কিছু টিপস অনুসরণ দেখতে পারেন। এছাড়া একজন ভাল হরমোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
উইকিহাউ অবলম্বনে ইন্ডিয়া টাইমস বাতলে দিয়েছে দ্রুত দাড়ি বড় করার কিছু প্রাকৃতিক উপায় ।
১. আমলকীর তেল দ্রুত দাড়ি গজাতে সাহায্য করে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট আমলকীর তেল দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২. দিনে দুবার মৃদু ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুতে হবে। মুখ ধোয়ার সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। পরিষ্কার ত্বক দাড়ির বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে দেবে।
৩. ইউক্যালিপটাস দাড়ি বড় করতে সাহায্য করে। ইউক্যালিপটাস সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করুন।
৪. দাড়ি ভালোভাবে এবং দ্রুত গজানোর জন্য কিন্তু ভালোভাবে ঘুম হওয়া জরুরি। এটি ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
৫. কিছু ভিটামিন এবং মিনারেল দ্রুত দাড়ি গজাতে সাহায্য করে। খাদ্যতালিকায় ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই- সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।
৬. প্রতিদিন ২ দশমিক ৫ মিলিগ্রাম বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন। এটি চুল গজাতে কাজে দেবে। তবে যেকোনো ওষুধ গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৭. মানসিক চাপ কম থাকলে দাড়ি দ্রুত গজায়। তাই ধ্যান করে বা যোগব্যায়াম করে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।
৮. প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। মাছ, মাংস, ডিম বাদাম ইত্যাদি খান। এতে দাড়ি দ্রুত গজাবে।
৯. মুখের ম্যাসাজ রক্তের চলাচলকে বাড়ায়। এটি চুল গজাতে সাহায্য করে। তাই প্রায়ই মুখে ম্যাসাজ করুন। এ ছাড়া ছয় মাস পরপর দাড়ি ট্রিমিং করুন।