ইংল্যান্ডের অধিবাসী Sir Francis Gold আবিষ্কার করেন পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের আঙ্গুলের ছাপ ভিন্ন রকম, কেবল গত ঊনবিংশ শতাব্দিতে এ গুরত্বপূর্ণ বিষয়টি অর্থাৎ অঙ্গুলির ছাপের অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলো আবিষ্কৃত হয়েছে। মানুষ এর আগে এগুলোকে কোন সাধারণ গুরত্বহীন বক্ররেখা হিসেবেই ভাবতো। শরীরের অন্যান্য প্রত্যঙ্গের মতো অতি স্বাভাবিক এক অস্তিত্ব রুপে গ্রহন করেছিল মানব সমাজ ,এর গভীরতম তাৎপযের্র প্রতি তেমন কেউ ভ্রুক্ষেপ করেনি। যুগান্তকারী এ আবিষ্কারের পর অর্থাৎ ১৮৮০ সাল হতেই আঙ্গুল-ছাপ একটি বৈজ্ঞানিক সনাক্তকরন সংকেতরুপে বিভিন্ন কাজে ব্যবহ্রত হতে শুরু করে। প্রতিটি মানুষের আংগুল বহন করে ভিন্ন ডিজাইন:- এমন কোনো ব্যক্তি পৃথিবীতে পাওয়া যাবে না যার আঙ্গুলে ছাপ অন্য কোনো ব্যক্তির সাথে সম্পূর্ন মিলে যাবে। এমনকি হুবহু একই রূপ যমজ সন্তানের পর্যন্ত প্রত্যেকেরই রয়েছে অনন্য সাধারণ ভিন্ন অঙ্গুলের রেখাসমূহ। ভিন্ন-দৃষ্টিতে বলা যায় মানুষের স্বরুপ তাদের অঙ্গুলি সমূহে সংকলনভুক্ত অর্থাৎ সংকেতিক কোডের সাহায্যে লেখা রয়েছে। আধুনিক কম্পিউটার জগতে ব্যবহৃত রেখা-সঙ্কেত অথবা Bar code সিস্টেমের সঙ্গে তুলনা করা চলে মানুষের আংগুলের সংকলনের এই সুচারু গঠনটিকে। ফিঙ্গার-প্রিন্টের রেখা সমূহের উপর গুরত্ব প্রদান করার ব্যাপারে একটি বিশেষ অর্থ একটাই প্রত্যেকের অঙ্গুলীর রেখাসমূহ অমিশ্র ও অদ্বিতীয়। প্রতিটি মানুষ, মৃত কিংবা জীবিত , এরূপ প্রত্যেকেরই ভিন্ন ডিজাইনের অনন্য আঙ্গুলের আঁকিবুকি রয়েছে। আর তাই অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে উক্ত রেখাসমূহকে মানুষের পরিচয়ের জন্য সন্দেহাতীতভাবে গ্রহন করে নেয়া হয়েছে আর বহুমাত্রিক উদ্দেশ্যেই তা পৃথিবীর সর্বত্র ব্যবহার করা হয়।