আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
262 বার প্রদর্শিত
"পড়াশোনা" বিভাগে করেছেন (44 পয়েন্ট) 152 588 602

1 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (2,796 পয়েন্ট) 157 421 438

পড়ালেখায় মন বসানোর উপায়ঃ

১. মনস্থিরঃ অমনোযোগীতা আনতে পারে এমন সব বিষয় মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। আপনার পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু হাতের কাছেই রাখুন যাতে বারবার উঠতে না হয়। অনেকের বারবার ফোন আসে পড়ার সময়।খুব বেশি দরকার না হলে ফোনবন্ধ করে রাখতে পারেন। পড়তে বসার অন্তত ৫ মিনিট আগ থেকে মনস্থির করুন।

২. শিক্ষকতাঃ আপনি যে বিষয় পড়বেন সেটা অন্য কাউকে শিক্ষা দিন।এমন কাউকে যে সে বিষয়টা সম্পর্কে জানেনা। শিক্ষকতা নিজের জ্ঞান আহরণের জন্য সবচেয়ে উত্তম উপায়। যেমন- আপনি যদি গণিত কম বোঝেন বা গণিত নিয়ে পড়তে চান ভবিষ্যতে আপনার উচিত এখন থেকেই গনিতের উপর শিক্ষা দান করা অন্যদের। এতে আপনার নিজেরও চর্চা থাকবে বিষয়টির উপর।

৩. ইন্দ্রিয় সক্রিয়ঃ আপনার সব ইন্দ্রিয় সক্রিয় করুন। আপনি একটি বিষয় যতই পড়ুননা কেন সারাদিন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি তা মনে রাখতে পারবেন না অথবা বুঝবেন না যতক্ষণ না আপনি বিষয়টি আপনার চারপাশের কিছুর সাথে সম্পৃক্ত করতে পারছেন। চারপাশের জিনিসের সাথে আপনি আহরণ করা জ্ঞান মিলিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন।

৪. সংযোগঃ প্রত্যেকটি বিষয়, ধারণার মাঝে সংযোগ স্থাপন করতে শিখুন। একটি আরেকটির সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আপনার নিজের জ্ঞানের পরিধিও অনেক বাড়বে।

৫. নতুন ধারণা ও পরিচিত ধারণার মাঝে সংযোগঃ আপনি যখন নতুন কোন বিষয় বা তথ্য সম্পর্কে জানবেন তখন তা আপনার বর্তমানের পরিচিত কোন জানা তথ্য বা ধারণার সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করুন। এতে পরীক্ষার সময় আপনার সে নতুন তথ্য ভুলে যাবার আশঙ্কা কম থাকে।

৬. মস্তিষ্কের উপর চাপ না দেয়াঃ পরীক্ষার আগে কিছুদিন পড়লে আপনার মস্তিষ্কের উপর চাপ পড়তে পারে। তাই সবসময় অল্প অল্প পড়ার মাঝে থাকবেন। এতে করে আপনার উপর কোন মানসিক চাপওথাকবেনা আর আপনি পরীক্ষার আগে একটু রিভিশন দিলেই আপনার হয়ে যাবে।

৭. তথ্যের ধরনঃ পড়ার সময় প্রত্যেকটি তথ্যের ধরন বোঝার চেষ্টা করুন। যেমন- যে তথ্য দেয়া আছে সেটা কি গাণিতিক তথ্য, নাকি ঐতিহাসিক কোন তথ্য, নাকি কোন ব্যক্তি বা দেশ সম্পর্কে তথ্য এসব বিষয়ে ভালো করে বুঝে তারপর মুখস্ত করতে হবে। না বুঝে মুখস্ত করলেতা কোনদিন মনে থাকবেনা।

৮. সুদৃঢ় জ্ঞানের ভিতঃ সব সময় পুস্তকি বিদ্যার সাথে সম্পৃক্ত করলে হবেনা। অন্যান্য বিভিন্ন বই থেকে আহরিত জ্ঞানের সাথেও সম্পৃক্ত করতে হবে। সেজন্য দেশ ও দেশের বাইরের অনেক লেখকের বই পড়ার অভ্যাস সব সময় রাখতে হবে। এটা শুধু মাত্র বিনোদনের জন্য নয়, বরং অনেক কিছু সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করা যায় আর নিজের জ্ঞানের ভিত্তিটা অনেক মজবুত ও শক্ত করে গড়ে তোলা যায় যাকে ভিত হিসেবে ধরে আপনি আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে নিতে পারেন।

৯. নিজস্ব রীতিঃ যখন কোন বিষয় পড়বেন তখন নিজের একটা আলাদা রীতি অনুসরণ করার চেষ্টা করুন আর বিষয়টির একটি ছবি আপনার মনের মধ্যে এঁকে নিন। এতে বিষয়টি আপনার খুব সহজেই মনে থাকবে।

১০. নোটঃ আপনার পড়ার মূল লক্ষ্য কিন্তু সেটাকে বুঝে জ্ঞান আহরণ করা আরপরীক্ষায় ভালো করা। কিন্তু আপনি যদি নাই বোঝেন তাহলে ভালোকরার প্রশ্নই আসেনা। তাই যে বিষয়টি বুঝবেন না তার পেছনে একটু বেশি মনোযোগী হন। প্রয়োজনে খাতায় লিখে, করে বোঝেন। কারণ না বুঝে মুখস্ত করে সেটা বেশিক্ষণ মনে রাখা কোন ছাত্রের পক্ষেই সম্ভব নয়।উপরোক্ত ১০টি উপায় মেনে চললে আপনি খুব মনোযোগের সাথে লেখাপড়া করতে পারবেন আশা করি আর আপনার পরীক্ষায়ও আশানুরূপ ফল প্রদানে এটি সহায়ক হবে। বর্তমান যুগে জ্ঞান আহরণ ছাড়া কোন বিকল্প নেই। প্রতিযোগীতার এই যুগে আপনার কাছে যত জ্ঞান থাকবে তাই একসময়আপনার সম্পদ হিসেবে গণ্য হবে।



পাঠ্যবই দেখলেই গুণ গুণ করে গাইতে ইচ্ছে করে ‘আর পারি না; আর পারি না, আমার ভীষণ ক্লান্ত লাগে, আর বসে না, আর বসে না, আমার মন পড়ার ঘরে।’ 


এই রকম চিত্র দেখার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সিনেমা দেখা লাগবে না। প্রায় প্রত্যেকেরই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একজন সদস্যের এই সমস্যা থাকতেই পারে। মূলত এই পাঠ্য বইয়ের প্রতি অনীহা তরুণদের মাঝেই বেশি দেখা যায়। খেলাধুলা, হৈ-হুল্লোড়, আড্ডায়ই বেশি মেতে থাকতে দেখা যায় তরুণদের। আবার অনেকেই আছেন যারা পাঠ্যবইয়ের বাইরে অনেক বই পড়ে থাকেন, কিন্তু পাঠ্যবই ছুঁতে মন সায় দেয় না তাদের। আবার অনেকে পড়াশোনা ছাড়া বাকি সবকিছুকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে পড়াশোনার জন্যই আর সময় খুঁজে বের করতে পারেন না। যা হোক, সব মিলিয়ে যা দাঁড়ায়, তা হচ্ছে—বাইরে পৃথিবীর চকচকে রঙ প্রতিনিয়তই তরুণদের পাঠ্যবই বিমুখ করে তোলে। তাই এবার এই সমস্যা এবং এর প্রতিকার নিয়ে কিছু আলোচনা— প্রথমেই মনোযোগ সবার প্রথমেই মনোযোগ। 

মনোযোগটা থাকতে হবে নিজের প্রতি এবং সময়ের প্রতি। মূলত প্রথমেই যদি এই গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয়ে মনোযোগী হওয়া যায়। তা হলেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অনেক বিরক্তিকর কাজেও নিজেকে মনোযোগী করে গড়ে তোলা যায়। লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগী যদি কোনো কাজকে আপনি উপভোগ না করতে পারেন, তা হলে কোনোভাবেই কাজ দিয়ে আপনার পুরো একাগ্রতা নিশ্চিত হবে না। যদি কোনো কাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আপনি প্রচুর পরিশ্রম করছেন কিন্তু মাঝপথেই থেমে গেলেন। হলফ করে বলতে পারি, উক্ত কাজটি আপনার কোনোদিনই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না। তাই, নিজের লক্ষ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। যখন লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগী হওয়া যায়, তা হলে খুব সহজেই পাঠ্যবইয়ের প্রতি মনোযোগ চলে আসে। কেননা লক্ষ্য পূরণে প্রথম ধাপই হচ্ছে পাঠ্যবই। সহযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা মূলত সম্পূর্ণ মনোযোগ দেয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিবেশ দরকার। 

মানুষের চিন্তাভাবনা অনেকাংশেই পরিবেশের ওপর নির্ভর করে। যেমন- কম্পিউটারে গান চলছে আর আপনি আপনার পড়ার টেবিলে। দুটি কাজের মধ্যে কোন কাজটি আপনি বেছে নেবেন। এই রকম দ্বিধান্বিত পরিবেশে কখনোই পাঠ্যবইয়ের প্রতি মনোযোগী হওয়া যায় না। এর জন্য প্রথমেই দরকার সুষ্ঠু সুন্দর পড়াশোনার পরিবেশ গড়ে তোলা। তালিকা তৈরি করা শৃঙ্খলা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধুমাত্র পড়ার বিষয়েই না জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নতুন ধারণা ও পরিচিত সুশৃঙ্খলতা প্রয়োজন রয়েছে। তাই পড়াশোনার ব্যাপারেও একটি সুশৃঙ্খল তালিকা তৈরি করা যায়। এতে করে সময়ের সম্পর্কে আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়া যায়। তাই প্রথমে একটি লিস্ট করে নেয়া যেতে পারে। একঘেয়েমি থেকে বাঁচতে অনেকক্ষণ ধরে একই কাজ করতে খুব সহজেই একঘেয়েমি ভাব চলে আসে। তাই এর জন্য লিস্ট অনুসারে পড়া উচিত। মাঝে মাঝে বিনোদনেরও দরকার রয়েছে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি উত্তর
15 ফেব্রুয়ারি 2022 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Md Rokibul Hassan (54 পয়েন্ট) 1 3
1 উত্তর
23 জুলাই 2018 "প্রেম-ভালোবাসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 উত্তর
09 জুলাই 2018 "লাইফ স্টাইল" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন rahat jr. (44 পয়েন্ট) 152 588 602
1 উত্তর
04 জুলাই 2018 "প্রেম-ভালোবাসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sirazul islam (2,723 পয়েন্ট) 96 689 745
1 উত্তর
24 ডিসেম্বর 2017 "প্রেম-ভালোবাসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন পিপাস আহমেদ (29 পয়েন্ট) 66 175 181

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,919 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. ratna

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. আবু উবাইদাহ

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  3. Apon

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  4. সালেহ

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  5. আল-আমিন সরকার

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...