আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
614 বার প্রদর্শিত
"ইসলাম ধর্ম" বিভাগে করেছেন (44 পয়েন্ট) 152 588 602

2 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (0 পয়েন্ট) 4 5 15
সম্পাদিত করেছেন

খতনা করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। এটি শিআরে ইসলাম অর্থাৎ ইসলামের মৌলিক নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ফিতরাত (তথা নবীগণের সুন্নত) পাঁচটি- খতনা করা, নাভীর নিচের পশম পরিষ্কার করা, বগলের পশম উঠানো, মোঁচ ছোট করা এবং নখ কাটা। (সহীহ বুখারী, হাদীস- ৬২৯৭) শারীরিকভাবে শক্ত-সামর্থ্যবান হওয়ার পরই সুবিধাজনক সময় ছেলের খতনা করিয়ে দেওয়া অভিভাবকের দায়িত্ব। আর কোনো কারণে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে যদি খতনা না করা হয় অথবা বয়স্ক হওয়ার পর কেউ ইসলাম গ্রহণ করে তাহলেও তার খতনা করা জরুরি। ইবনে শিহাব যুহরী (রঃ) বলেন, কোনো ব্যক্তি যখন ইসলাম গ্রহণ করত তখন সে বড় হলেও তাকে খতনা করার আদেশ করা হত। (আলআদাবুল মুফরাদ, হাদীস- ১২৫২) খতনার উত্তম সময়ের ব্যাপারে ফকীহগণ বলেন, শিশুর শারীরিক উপযুক্ততা ও তার বালেগ হওয়ার কাছাকাছি বয়সে পৌঁছার আগেই বা এর মাঝামাঝি সময়ে যেমন, ৭-১০ বছর বা অনুর্ধ্ব ১২ বছরের মধ্যে করে নেওয়া উত্তম। আর খতনা উপলক্ষ্যে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করার প্রমাণ নেই। তাছাড়া বর্তমানে যে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের রেওয়াজ শুরু হয়েছে তা অবশ্যই বর্জনীয়। এছাড়া এতে গান-বাদ্য ইত্যাদি শরীয়তবিরোধী কোনো কিছু থাকলে তা তো সম্পূর্ণ নাজায়েয হবে। (ফাতহুল বারী ১১/৯২, ৯/৫০৩, ১০/৩৫৫, ৪/৪১৩; রদ্দুল মুহতার ৬/৭৫১-৭৫২, ৬/২৮২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ২/১৩২; আলবাহরুর রায়েক ৭/৯৫-৯৬)



তথ্যসূত্রঃ এখানে। ধন্যবাদ।

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (134 পয়েন্ট) 1 7

ইসলাম ধর্মে মুসলমানি বা খতনা করানো হয় সুন্নাত হিসেবে। এটা করলে দৈহিক & আত্মীক তথা ধর্মীয় অনেক উপকার আছে। প্রথমতঃ ধর্মীয় উপকার হল- সুন্নাত আদায়ের কারণে সওয়াব অর্জন। 

আর দ্বিতীত দৈহিক উপকারঃ চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতেও এতে অনেক উপকার বিদ্যমান। লিঙ্গের অনেক রোগ-সম্ভাবনা কমে যায়। যে কারণে বর্তমানে ইহুদি খৃস্টানরাও খতনা করে।

মুসলমানরা আসলে এটাকে সুন্নাত এবং ইবাদত হিসেবেই করে থাকেন। যে কারণে কেউ খতনা না করলে তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়। পাশাপাশি খতনা ব্যাতিত যেহেতু পবিত্র হওয়া কষ্টসাধ্য, তাই বিশুদ্ধ ইবাদতের জন্যও একজন মুসলিম খতনা করে থাকেন।           

এটার ইতিহাস হল- হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম সর্বপ্রথম খতনা করেন। মজার বিষয় হল, তিনি নিজেই নিজের খতনা করেন। এরপর থেকে এটা সুন্নাতে ইবরাহিমি হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। আর আমাদের ইসলামে ইবরাহিম আলাইহিস সালামের অনেক সুন্নাত পালন করা হয়। সে হিসেবে ধারাবাহিক পরম্পরায় আমাদের পর্যন্ত চলে এসেছে।

আর বনী ঈসরাইল বা খ্রিস্টানেরাও যেহেতু ইব্রাহিম আলাইহিসসালাম এর বংশধ্বর, তাই তাদের মধ্যেও খতনার এই পদ্ধতি প্রচলিত আছে।       

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

2 টি উত্তর
3 টি উত্তর
2 টি উত্তর
11 জুলাই 2018 "ইসলাম ধর্ম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন rahat jr. (44 পয়েন্ট) 152 588 602
1 উত্তর
24 এপ্রিল 2018 "অভিযোগ এবং অনুরোধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন ইউনুস (1,234 পয়েন্ট) 34 133 147

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,919 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. ratna

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. আবু উবাইদাহ

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  3. Apon

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  4. সালেহ

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  5. আল-আমিন সরকার

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...