চাকরীর বাজারে মেয়েদের বেতন আজকের দিনেও বিতর্কিত একটি বিষয়, এমনকি পশ্চিমা দেশগুলোতেও। আপনি আটটি বিষয় পলো করুন,
০১. সিইও
চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বা সিইও একটি কোম্পানির যাবতীয় কার্যক্রম সাজানো, পরিচালনা এবং সমন্বয় করে থাকেন। তাদের লক্ষ্য থাকে নিজের যোগ্যতা দিয়ে কোম্পানিকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো।
নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই এটি সর্বোচ্চ পদগুলোর একটি। পাবলিক, প্রাইভেট উভয় ধরণের কোম্পানিতেই এই পদের প্রচলন রয়েছে।
যদিও তাদের আয় অন্যান্য ম্যানিজিং পজিশনের তুলনায় বেশি, তাদের প্রচুর মানসিক কনফ্লিক্টের মাঝে এবং দীর্ঘসময় ধরে কাজ করতে হয়। কোম্পানির সফলতার জন্য যা করা লাগে তার সবই তার মাধ্যমে সংঘটিত হয়।
একজন ফিমেল সিইও’র গড় বার্ষিক বেতন ৯৭,৫৫২ মার্কিন ডলার।
০২. ফার্মাসিস্ট
ডাক্তারের পেসক্রাইব করা ঔষধ ম্যানেজ ও রোগীদের নিকট পৌঁছানোই ফার্মাসিস্টদের প্রধান কাজ। ঔষধের যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে রোগিকে উপদেশ দেয়ার কাজটিও তাদের। ফার্মাসিস্টগন হাসপাতাল বা ক্লিনিকের পাশাপাশি বিভিন্ন ফার্মেসীতে কাজ করে থাকেন।
ফার্মাসিস্ট হতে অবশ্যই ব্যাচেলর অব ফার্মেসী কিংবা সমমানের ডিগ্রীধারী হতে হয়, এছাড়াও প্রত্যেক ফার্মাসিস্টদের লাইসেন্সধারী হতে হয়। ইন্টার্নশিপ বা লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে এই লাইসেন্স অর্জন করতে হয়।
মহিলা ফার্মাসিস্টদের গড় বার্ষিক বেতন ৯৫,৬২৮ মার্কিন ডলার।
০৩. নার্স প্র্যাকটিশনার
নার্স প্র্যাকটিশনারগন বিভিন্ন রোগীদের সেবার সমন্বয় করে থাকেন। তা্রা সাধারণত নিজের অধীনে কিংবা কোনো ফিজিশিয়ানের অধীনে কাজ করেন। রোগিকে প্রাথমিক বা বিশেষ পরিচর্যা প্রদান কিংবা একাধিক সাধারণ নার্সদের পরিচালনা করার দায়িত্বও তার।
নার্স প্র্যাকটিশনারদের তার স্পেশালিটির সাথে সম্পর্কিত যেকোন একটি মেডিকেল ডিগ্রী থাকা আবশ্যক।
একজন মহিলা নার্স প্র্যাকটিশনারের গড় আয় বছরে ৯১,১৫৬ মার্কিন ডলার।
০৪. কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ম্যানেজার
কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ম্যানেজার বা ইনফরমেশন টেকনোলজি ম্যানেজার বিভিন্ন কম্পিউটার-সম্পর্কিত প্রজেক্ট সমন্বয় ও পরিচালনা করে থাকেন। সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, ওয়েব ডিজাইন, ডাটাবেজ ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে কোম্পানি বা ফার্মের কৌশল সাজানো এবং প্রয়োহ করা তাদের প্রধান কাজ।
আইটি ম্যানেজাররা সাধারনত কম্পিউটার সায়েন্স, ইনফরমেশন টেকনোলজি, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা অনুরূপ কোনো ক্ষেত্র থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রী এবং প্রয়োজনে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করে থাকেন।
মহিলা আইটি ম্যানেজারদের বার্ষিক আয় গড়ে ৮৭,৩৬০ মার্কিন ডলার।
০৫.উকিল
উকিলরা তাদের ক্লায়েন্টদের স্বপক্ষে আইনি বিবাদে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে থাকেন। তাদের পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টদের মধ্যে সাধারন জনগন, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, অলাভজনপক প্রতিষ্ঠান এবং সরাকারী প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য।
উকিল হতে গেলে ৪ বছর মেয়াদী ব্যচেলর ডিগ্রী এবং ৩ বছর মেয়াদী ল’স্কুল ট্রেইনিং এর প্রয়োজন হয়। চূড়ান্ত পার্মিশন পাও্যার আগে তাকে বার কাউনিসল কর্তৃক আয়োজিত পরীক্ষায় পাশ করতে হয়।
একজন মহিলা উকিলের গড় বার্ষিক আয় ৮৪,১৮৮ মার্কিন ডলার।
০৬. সফটওয়্যার ডেভেলপার
সফটওয়্যার তৈরি, প্ল্যানিং, কোডিং, উন্নয়ন, ডিবাগিং ইত্যাদি কর্মসাধন করাই সফটওয়্যার ডেভেলপারদের কাজ। এই ক্ষেত্রটিতে মহিলাদের সংখ্যা খুব কম হলেও ইদানীং তা দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে।
এই জবের জন্য সাধারনত কম্পিউটার সায়েন্স বা সফটওয়্যার ডিগ্রী চাওয়া হলেও যোগ্যতাবলে কোনো ডিগ্রী ছাড়াও চাকুরী পাওয়া সম্ভব।
মহিলা সফটওয়্যার ডেভেলপারদের গড় বার্ষিক আয় ৫০,৭৫৬ মার্কিন ডলার প্রায়।
০৭. সহকারী ফিজিশিয়ান
সহাকারী ফিজিশিয়ান (PA) রোগীদের মেডিক্যাল স্ট্যাটাস পরীক্ষা, রোগ নির্ণয় করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেন।তারা রোগীর অবস্থা নিয়ে ফিজিশিয়ান, সার্জন কিংবা স্পেশালিস্টদের সাথে আলোচনা করে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
সহকারী ফিজিশিয়ানরা প্রধা্নত হাসপাতাল বা ক্লিনিকে কাজ করেন।
একজন মহিলা সহকারী ফিজিশিয়ানের গড় বার্ষিক বেতন ৮০,৪৪৪ মার্কিন ডলার।
০৮. ইঞ্জিনিয়ার
ইঞ্জিনিয়াররা কেমিক্যাল, ইলেক্ট্রিক্যাল, কম্পিউটার, মেকানিক্যাল কিংবা বিভিন্ন আর্কিটেকচারাল স্ট্রাকচার ডিজাইন, মডিফাই এবং রিপেয়ার করে থাকেন। তাদের অবশ্যই কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে ব্যাচেলর ডিগ্রী থাকে।
মহিলা ইঞ্জিনিয়াররা প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৭২,৮৫২ মার্কিন ডলার আয় করে থাকেন।