মাথা চুলকানোর প্রতিকার :
মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে চুলকানোর সমস্যা হতে পারে। এছাড়া খুশকি, ময়লা ইত্যাদির কারণেও মাথা চুলকায়। এই সমস্যার রয়েছে ঘরোয়া প্রতিকার। রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, মাথার ত্বক বেশি চুলকালে তা থেকে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত চুলকানোর সমস্যার মূল কারণ হতে পারে শ্যাম্পু। শ্যাম্পু যদি মাথার ত্বক শুষ্ক করে ফেলে তাহলে এখনি বদলে ফেলতে হবে পুরাতনটি। বেছে নিতে পারেন বেবি শ্যাম্পু।
এছাড়াও রয়েছে আরও কিছু সমাধান।
ঠাণ্ডা পানি: গরম পানি মাথার ত্বকের প্রয়োজনীয় তেল ধুয়ে ফেলে। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় ও মাথা চুলকানোর সমস্যা হয়। তাই চুল ধুতে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করা উচিত। ঠাণ্ডা পানি ব্যবহারে সমস্যা হলে কুসুম গরম পানি (অল্প পরিমাণ গরম পানি, ঠাণ্ডা পানি বেশি) দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে মাথার ত্বকের চুলকানি কমে আসবে।
লেবুর রস: চুলের জন্য লেবু অত্যন্ত উপকারী। তবে সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করা জরুরি। তাজা লেবুর রস মাথার ত্বকে লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষার পর শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। তাছাড়া টক দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
নারিকেল তেল: চুল ও মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এই তেল অত্যন্ত উপকারী। সপ্তাহে অন্তত একবার নারিকেল তেল ব্যবহারে চুলকানি কমবে এবং চুলও সুন্দর হবে। তেল লাগিয়ে অন্তত ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করে তারপর শ্যাম্পু করুন।
চুল পরা রোধ করনীয় :
** চুল পড়া বন্ধ করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খান অথবা ই ক্যাপ নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে চুলে লাগান। ক্যাস্টর অয়েল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যাবহার করতে পারেন।চুল পরা কমে যাবে।
** যেসব চুলের গোরা চটচটে ও উপরিভাগ রুক্ষ সেসব চুল সাধারনত মিশ্র প্রকৃতির চুল।এরকম চুলে সপ্তাহে অন্তত 3 দিন শ্যাম্পু করুন ও কন্ডিশনার ব্যাবহার করুন।শ্যাম্পুর আগে কুসুম গরম তেলে লেবুর রস মিশিয়ে
হালকা মাসাজ করে নিবেন।চুল ভাল থাকবে। চুল পড়া রোধ করতে হলে অবশ্যই এর কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা প্রয়োজন। নিজে নিজে চিকিৎসা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।