চালাক ও বুদ্ধিমানের মধ্যে পার্থক্য
১. চালাক হলো, যে ব্যক্তি তার মেধা ও বোধ শক্তির অপব্যবহার করে। আর বুদ্ধিমান হলো, যে ব্যক্তি তার মেধা ও বোধ শক্তির সদ্ব্যবহার করে।
২. চালাক ব্যক্তি তার জ্ঞান বুদ্ধির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার করে। আর বুদ্ধিমান ব্যক্তি তার জ্ঞান বুদ্ধির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার করে।
৩. চালাক ব্যক্তি তার আচার আচরণে স্বকীয়তা ও সততাকে চরমভাবে বিসর্জন দেয়। পক্ষান্তরে বুদ্ধিমান ব্যক্তি তার আচার আচরণে স্বকীয়তা ও সততাকে সচতেনভাবে পরিশীলিত পন্থায় রক্ষা করে থাকে।
৪. চালাক ব্যক্তি মিথ্যাচার ও শঠতায় পারঙ্গম হয়ে থাকে। আর বুদ্ধিমান ব্যক্তি মিথ্যাচার ও শঠতা থেকে যত্নের সাথে দূরত্ব বজায় রাখে।
৫. চালাক মানুষগুলো মেধা ও বোধ শক্তি ব্যবহারে ত্বরাপ্রবণ হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে বুদ্ধিমান মানুষগুলো তাদের মেধা ও প্রজ্ঞা ব্যবহারে মন্থর, নির্চঞ্চল ও স্থির গতি সম্পন্ন হয়ে থাকে।
৬. চালাক মানুষগুলো তাদের মেধার উপস্থিত ব্যবহারে বেশ পারঙ্গম হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে বুদ্ধিমান মানুষগুলো উপস্থিত বুদ্ধি সম্পন্ন হলেও বোধ ও বুদ্ধির উপস্থিত বহিঃপ্রকাশ ঘটান না। বরং এ ক্ষেত্রে তারা সচেতনতার সাথে ধীর স্থিরতার পরিচয় দেন।
৭. বর্তমানে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে চালাক মানুষের কদর বেশি। পক্ষান্তরে এ ক্ষেত্রগুলোতে বুদ্ধিমানেরা হন অবহেলিত ও অবমূল্যায়িত।
৮. চালাক মানুষগুলো উপস্থিত স্বার্থ উদ্ধারে তুষ্ট থাকে। ভবিষ্যতের পরিণতি নিয়ে ভাবতে চায় না। পক্ষান্তরে বুদ্ধমান মানুষগুলো ভবিষ্যত পরিণতিকে সামনে রেখে দূরদর্শিতার সাথে বোধ ও বুদ্ধির স্বার্থক প্রয়োগ ঘটায়।
৯. চালাক মানুষগুলোর যাবতীয় কার্যক্রম নানা রকম স্বার্থকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। পক্ষান্তরে বুদ্ধিমান মানুষগুলোর যাবতীয় কার্যক্রম দেশ জাতি ও মানুষের কল্যাণকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়।
১০. সারকথা চালাক মানুষগুলো হয় ঘৃণিত পাপাচারী। পক্ষান্তরে বুদ্ধিমান মানুষগুলো হয় নন্দিত পুণ্যার্থী। যদিও প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় চালাক মানুষগুলোই হয় নন্দিত আর বুদ্ধিমান মানুষগুলো হয় অবহেলিত। কারণ বর্তমান সমাজে বুদ্ধি বিদ্যার মূল্য নেই। মূল্য আছে শঠতা ও অসত্যের।