সাধারণ মানুষরা যেটা বোঝে, আমি হয়তো অজ্ঞান হয়ে গেলাম। তারপর আমার হাত পা ঝাঁকুনি দিল, খিঁচুনি হলো- সেটাকেই সাধারণত মৃগীরোগ বলে। তবে এর বাইরেও অনেক রকম রয়েছে।
যেমন : আমি চুপচাপ থাকতে পারি। আমি চুপচাপ হয়ে গেলাম কিছুক্ষণের জন্য। এটিও কিন্তু এক ধরনের মৃগীরোগ। এটাকে আমরা এবসেন্স সিজার বলি।
আবার কেউ হয়তো শুধু ঢোক গিলছে। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি হচ্ছে। আবার হতে পারে কারো হয়তো হঠাৎ করে মেজাজ বিগড়ে গেল। চিৎকার করল অথবা দৌঁড়াদৌঁড়ি করল বা মেজাজ খারাপ করল।
কিছুক্ষণ পর একদম সে স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে। কেউ কেউ আছে ভিন্ন ধরনের ঘ্রাণ পায়। কেউ কেউ কানের ভেতর ফিসফিস কথা শুনতে পারে। অনেকে দেখবেন বলে যে আমি ভূত দেখেছি-সেগুলোও কিন্তু এক ধরনের এপিলেপসি।
তবে ছোট বাচ্চাদের যে এপিলেপসি হয়, একে একদম এপিলেপসি হিসেবে বলব না। কিন্তু আমরা জানি কোন বাচ্চাগুলো পরে মৃগীর মধ্যে যেতে পারে। আবার অনেক সময় গ্লুকোজ কমে খিঁচুনি হয়, সেটি এপিলেপসির মধ্যে পড়বে না। খিঁচুনি মানেই যে এপিলেপসি সেটি নয়। তবে এপিলেসির মধ্যে খিঁচুনি হয়।
একটি ছোট বাচ্চা, যার জন্মের পর খিঁচুনি হয়, তাদের মধ্যে অনেকের কিন্তু শরীর কাঁপে, চোখ উল্টে যায়। উপরের দিকে তাকায়। কেউ হয়তো একটা ঝাঁকুনি দেয়। ঝাঁকুনিটা কিন্তু বেশির ভাগ সময় মায়েরা বুঝতে পারে না। এই ঝাঁকুনি এমন একটি বিষয়, যার চিকিৎসা না হলে পরবর্তীকালে এই বাচ্চাগুলোর অনেক সমস্যা হতে পারে।
কামরুল হাসান ফরহাদ, সমন্বয়ক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত আছেন আস্ক প্রশ্ন ডট কমের সাথে। নিজের সমস্যার সমাধানের পন্থা নিজেই খুঁজে বের করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে ভালোবাসেন। প্রশ্ন অ্যানসারকে ভালোবেসে নিয়েছেন নিজে জানার ও অপরকে জানানোর জন্য।