বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে এখন শিশু বিভাগ ও নিউরোলজি বিভাগ রয়েছে। সেখানে কিন্তু তারা পরামর্শের জন্য যেতে পারে। এই ঝাঁকুনিটা একটি সতর্ক সংকেত। ভবিষতে এটি মৃগীরোগ বা এপিলেপসির দিকে মোড় নেবে।
কারণ, একটি বাচ্চার যখন মৃগীরোগ হয়, তার বুদ্ধিমত্তা, তার আচার-আচরণ, তার কথা-বার্তা, তার হাঁটা-চলা সব জিনিসই এর সাথে জড়িত হয়ে পড়ে।
প্রথম কথা হলো, দেখতে হবে বাচ্চাদের কী রকমের খিঁচুনি হচ্ছে। ইজি বলে মস্তিস্কের একটি পরীক্ষা করি। যেমন : হার্টের জন্য তার দিয়ে আপনি ইসিজি করেন। মস্তিস্কেও তার লাগিয়ে পরীক্ষা করা হয়। দেখি, মস্তিস্কে কী ধরনের খিঁচুনি হচ্ছে। যে ওষুধটি ব্যবহার করবেন চিকিৎসক, সেটি কিন্তু অবস্থার ওপর নির্ভর করবে। এক ধরনের ওষুধ সব খিঁচুনিতে কাজ করবে না। কোনো কোনো ওষুধ কিন্তু একে বাড়িয়েও দিতে পারে। আর যদি বেশি খারাপ হয়, সেই ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান, এমআরআই করা হয়। এটা সাধারণত আমরা একটু পরে করি। আর যেহেতু আমাদের দরিদ্র দেশ, অনেক সময় কিছু না করেও চিকিৎসা করে দেই। তারপর যদি সে ভালো হয়ে যায়, তখন কোনো কিছু লাগে না। আর যদি মনে হয় তাতেও হচ্ছে না, তখন রক্তের পরীক্ষা করতে হতে পারে।
কামরুল হাসান ফরহাদ, সমন্বয়ক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত আছেন আস্ক প্রশ্ন ডট কমের সাথে। নিজের সমস্যার সমাধানের পন্থা নিজেই খুঁজে বের করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে ভালোবাসেন। প্রশ্ন অ্যানসারকে ভালোবেসে নিয়েছেন নিজে জানার ও অপরকে জানানোর জন্য।