চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্ট্রোক-এর অর্থ হলো প্রকট স্নায়ু রোগ। মস্তিষ্কের কোষগুলোর কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিরবচ্ছিন্ন রক্ত সরবরাহ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মস্তিষ্কই পুরো দেহের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্ক প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং গ্লুকোজের সরবরাহ পায়। কোন কারণে এই সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটলে সে অংশের কোষগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটিই ব্রেইন স্ট্রোক নামে পরিচিত।
স্ট্রোকের কারণে শরীরের কোন একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ঐ অংশ শরীরের যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে চালিত করত তা অবশ হয়ে যেতে পারে। মস্তিষ্কের ডান অংশ শরীরের বাম অংশকে পরিচালিত করে, আর বাম অংশ শরীরের ডান অংশকে পরিচালিত করে। কাজেই স্ট্রোকের কারণে মস্তিষ্কের কোন একটি অংশ পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীরের বিপরীত অংশ অবশ হয়ে যেতে পারে।
শরীরের এক দিক অচল হয়ে গেলে বলা হয় হেমিপ্লেজিয়া (hemiplegia) আর অবশ হলে তাকে হেমিপেরেসিস (hemiparesis) বলা হয়। তবে শরীরের কোন অংশ স্ট্রোকের কারণে অচল হয়ে গেলেও তা আবার ধীরে ধীরে সেরে উঠতে পারে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ নিউরোলজিস্টের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে ফিজিওথেরাপীও নেবার প্রয়োজন হতে পারে।
ব্রেইন স্ট্রোক কোন ভাবেই হৃদরোগ নয়। তবে রোগীর যদি উচ্চরক্তচাপ থাকে, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগ থাকে তবে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বেশি বেড়ে যায়
রক্ত জমাট বেঁধে কিংবা রক্তনালি সরু হয়ে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহে এই ব্যাঘাত ঘটতে পারে। আবার রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাতের মাধ্যমেও স্ট্রোক হতে পারে।
কামরুল হাসান ফরহাদ, সমন্বয়ক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত আছেন আস্ক প্রশ্ন ডট কমের সাথে। নিজের সমস্যার সমাধানের পন্থা নিজেই খুঁজে বের করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে ভালোবাসেন। প্রশ্ন অ্যানসারকে ভালোবেসে নিয়েছেন নিজে জানার ও অপরকে জানানোর জন্য।