পানিতে ডোবা ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসা
পানিতে ডোবা ব্যক্তিকে উদ্ধার করার পর পরই প্রাথমিক চিকিত্সা দিতে পারলে মৃত্যুর হার অনেক কমে যাবে। যেকোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষই এই চিকিত্সা দিতে পারেন।
— শ্বাসযন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বেশির ভাগ মৃত্যু ঘটে। তাই প্রথমেই শ্বাসযন্ত্র চালু করতে হবে।
— পর পর দুবার এভাবে শ্বাস দেওয়ার পর নাড়ি পরীক্ষা করুন। নাড়ি না পাওয়া গেলে দুই হাত একসঙ্গে করে বুকের ওপর জোরে চাপ দিন। চাপ দেওয়ার সময় আপনার এক হাত অপর হাতের ওপর থাকবে।
— ছন্দবদ্ধ নিয়মে এ দুটি কাজ চালিয়ে যান। ৩০ বার বুকে চাপ, তারপর দুবার শ্বাস—এই হলো একটি ছন্দ। এভাবে টানা পাঁচবার দিতে হবে।
— নাড়ির স্পন্দন ফিরে এলে আর বুকে চাপ দেওয়ার দরকার নেই।
— এই চিকিত্সা করার সময় রোগী বমি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাকে একদিকে কাত করে দিন ও নাক-মুখ পরিষ্কার করে দিন।
— রোগীর জ্ঞান ফিরে এলেও তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। কেননা, তাকে অতি দ্রুত অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন, বারডেম। দিতে পারলে মৃত্যুর হার অনেক কমে যাবে। যেকোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষই এই চিকিত্সা দিতে পারেন।
— শ্বাসযন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বেশির ভাগ মৃত্যু ঘটে। তাই প্রথমেই শ্বাসযন্ত্র চালু করতে হবে।
— পর পর দুবার এভাবে শ্বাস দেওয়ার পর নাড়ি পরীক্ষা করুন। নাড়ি না পাওয়া গেলে দুই হাত একসঙ্গে করে বুকের ওপর জোরে চাপ দিন। চাপ দেওয়ার সময় আপনার এক হাত অপর হাতের ওপর থাকবে।
— ছন্দবদ্ধ নিয়মে এ দুটি কাজ চালিয়ে যান। ৩০ বার বুকে চাপ, তারপর দুবার শ্বাস—এই হলো একটি ছন্দ। এভাবে টানা পাঁচবার দিতে হবে।
— নাড়ির স্পন্দন ফিরে এলে আর বুকে চাপ দেওয়ার দরকার নেই।
— এই চিকিত্সা করার সময় রোগী বমি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাকে একদিকে কাত করে দিন ও নাক-মুখ পরিষ্কার করে দিন।
— রোগীর জ্ঞান ফিরে এলেও তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। কেননা, তাকে অতি দ্রুত অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
আর যদি শিশু হয় তবে --
পানিতে ডুবে যাওয়া শিশুকে অনেক সময় উদ্ধার করা গেলেও দেখা যায় তাকে বাঁচানো যায় না। এর প্রধান কারণ হচ্ছে অজ্ঞতা। অনেকে জানেই না, শিশু পানিতে ডুবে গেলে বা পানি খেলে কী করতে হবে। চিকিৎসকদের মতে, সঠিক জ্ঞান থাকলে পানিতে ডুবে গেলেও শিশুকে সহজেই বাঁচানো সম্ভব। প্রথমেই যা যা করতে হবে---
১. শিশু যেহেতু বড় মানুষের মতো সামর্থ্যবান নয় এবং বেশিক্ষণ শ্বাস না নিয়ে বাঁচতে পারে না, তাই পানিতে ডুবে যাওয়ার পর তাকে যত দ্রুত সম্ভব পানি থেকে উদ্ধার করতে হবে।
২. উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে শুকনা স্থানে নিয়ে আসতে হবে।
৩. প্রথমেই কাত করে শুইয়ে দিতে হবে এবং পিঠে আস্তে আস্তে চাপড় দিয়ে পানি বের করার চেষ্টা করতে হবে।
৪. এরপর দেখতে হবে শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিকভাবে চলছে কি না এবং নাড়ির গতি ঠিক আছে কি না। না চললে তার মুখের সঙ্গে মুখ লাগিয়ে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এর আগে তার নাক-মুখ পরিষ্কার করে দিতে হবে।
৫. শিশু যদি বমি করতে চায়, তাহলে তাকে বমি করতে সহায়তা করা উচিত। এতে শিশুর ভেতরের পানি বেরিয়ে আসে। তবে বমি করানোর সময় তাকে কাত করে ধরতে হবে।
৬. সব ভেজা কাপড় দ্রুত খুলে ফেলে গরম কাপড় দিয়ে পুরো শরীর ঢেকে দিতে হবে।
৭. পানিতে ডুবে যাওয়ার পর শিশু মারা যাওয়ার আরও একটি বড় কারণ হচ্ছে শিশুর ভয় পাওয়া। শিশুকে উদ্ধারের পর পর যদি সম্ভব হয় তাকে অভয় দিতে হবে। তবে পানিতে শিশু ডুবে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিষয়ে কিছু না জেনে নিজে নিজে কিছু না করাই উত্তম।
৮. পানিতে ডোবা শিশুকে উদ্ধারের পর যত দ্রুত সম্ভব তাকে কাছের হাসপাতালে নিয়ে দ্রুত জরুরি চিকিৎসা দিতে হবে। কেননা, ডুবে যাওয়ার পর থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই সময়ের মধ্যে শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে, বুকে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে এবং হার্টফেল করতে পারে।
ওপরের এই কয়েকটি বিষয় জানা থাকলে পানিতে ডুবে যাওয়ার পরও আপনার শিশুকে আবার ফিরে পেতে পারেন।