হজ্জের সময় শুরু হয় শাওয়াল মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথে এবং শেষ হয় যিলহজ্জের দশ তারিখে তথা ঈদের দিনে বা জিলহজ্জের শেষ তারিখে। এটাই বিশুদ্ধ মত। কেননা আল্লাহ্ বলেন, الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَعْلُومَاتٌ “হজ্জের মাস সমূহ সুনির্দিষ্ট জানা।” এখানে বহুবচন أشهر শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। তা হাকীকী অর্থে ব্যবহার হবে। অর্থাৎ এই তিনটি মাসে হজ্জের কাজ চলবে। এ কথার অর্থ এটা নয় যে, এ তিন মাসের যে কোন দিনে হজ্জের কাজ করতে হবে। [অর্থাৎ- শাওয়ালের প্রথমেই কেউ যদি হজ্জের নিয়তে ইহরাম বাঁধে এবং তওয়াফ সাঈ করে, তবে তা হজ্জের জন্যই হল। কিন্তু আরাফাত এবং তৎপরবর্তী কাজের জন্য তো সময় নির্ধারণ করাই আছে।] আর যিলহজ্জের শেষ নাগাদ হজ্জের সময় প্রলম্বিত একথার অর্থ হচ্ছে, হজ্জের তওয়াফ এবং সাঈ যিলহজ্জের শেষ পর্যন্ত বিলম্বিত করা জায়েয আছে। এর পর আর বিলম্বিত করা জায়েয নয়। কিন্তু যদি কোন ওযর থাকে সে কথা ভিন্ন। যেমন হজ্জের তওয়াফ করার পূর্বে কোন নারীর নেফাস শুরু হয়ে গেল। নেফাস অবস্থা শেষ হতে হতে যিলহজ্জ মাস পার হয়ে গেল। তার এই ওযর গ্রহণযোগ্য নেফাস শেষ হলেই সে তওয়াফ ও সাঈ সম্পাদন করবে।
ওমরার জন্য কোন সময় নির্দিষ্ট নেই। বছরের যে কোন সময় উহা সম্পাদন করা যায়। কিন্তু রামাযানে ওমরা করলে হজ্জের সমান ছাওয়াব লাভ করা যায়। হজ্জের মাস সমূহেই নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাবতীয় ওমরা আদায় করেন। হুদায়বিয়ার ওমরা যিল-কা’দ মাসে। কাযা ওমরা আদায় করেছেন যিল-কা’দ মাসে, জে’রানার ওমরাও ছিল যিল-কা’দ মাসে। আর বিদায় হজ্জের সাথের ওমরাও ছিল যিল-কা’দ মাসে। এতে বুঝা যায় হজ্জের মাস সমূহে ওমরা করার আলাদা বৈশিষ্ট ও ফযীলত রয়েছে। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওমরা আদায় করার জন্য এ মাসগুলোকেই নির্বাচন করেছেন।
কামরুল হাসান ফরহাদ, সমন্বয়ক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত আছেন আস্ক প্রশ্ন ডট কমের সাথে। নিজের সমস্যার সমাধানের পন্থা নিজেই খুঁজে বের করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে ভালোবাসেন। প্রশ্ন অ্যানসারকে ভালোবেসে নিয়েছেন নিজে জানার ও অপরকে জানানোর জন্য।