পর্ন ছবি দেখার কুফলঃ
১. মন নয়, শুধুই শরীর
প্রেমের সম্পর্ক হারিয়ে যাচ্ছে। সবটাই শরীরসর্বস্ব হয়ে উঠছে। শরীরের চাহিদা মেটাতেই অপরের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হচ্ছে। ফলে ভেঙেও যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি। বিয়ের পর, অনেক ক্ষেত্রেই যৌনতায় অতৃপ্তি তৈরি হচ্ছে। এবং শেষ পর্যন্ত ছাড়াছাড়ি পর্যন্ত গড়াচ্ছে।
২. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি অশ্রদ্ধা
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষ (পড়ুন অশিক্ষিত পুরুষ) অশ্রদ্ধার চোখে দেখতে শুরু করছে মেয়েদের। ভাবছে নারী বোধহয় শুধুই ভোগ্যবস্তু। শুধু সহবাসের জন্য নারীর প্রয়োজন। সমাজে নারীর গুরুত্ব হারাচ্ছে। ফলে বাড়ছে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা। যে দেশে অশিক্ষিতের সংখ্যা বেশি, সেখানে এর কুফলই বেশি আসবে, তাতে সন্দেহ কী। কারণ ভালোমন্দ বুঝে নেওয়ার ক্ষমতা এই অশিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে নেই। অথচ হাতে আছে সিডি, ডিভিডি, পেন-ড্রাইভ, ইন্টারনেট।
৩. সামাজিক মূল্যবোধ হারাচ্ছে
সৃষ্টিশীলতা, সৃজনশীলতা ধ্বংস হচ্ছে। সারাক্ষণই যৌনতা ঘুরছে অল্পবয়সী, না বুঝে ওঠা ছেলে মেয়েদের মধ্যে। বাঁধন হারাচ্ছে সবকিছুর। সামাজিক মূল্যবোধ হারাচ্ছে। নারী হলেই হলো। সম্পর্ক দেখছে না। ছাত্রী, পাড়ার বোন, ভাবি- বাদ যাচ্ছে না কিছুই। এমনকী রেহাই পাচ্ছে না ছোটো ছোটো শিশু। সবার দিকেই লোলুপ দৃষ্টি। সামাজিক অবনমন হয়েই চলেছে দিন কে দিন।
৪. অশ্রাব্য ভাষা ও ইঙ্গিত বাড়ছে
ছোটো ছোটো ছেলেরা পর্ন ছবি দেখে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। নারী দেখলেই অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলছে। ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলছে। লজ্জা, শঙ্কা, ভয়, ডর- কিছুই থাকছে না। মনে করছে পৃথিবীর সবই হাতের মুঠোয়।
৫. পর্ন ছবির যৌনতাকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা
নীল ছবির রগরগে যৌনতাকে অনুকরণ করার চেষ্টা করছে। কখনও সেটা ভয়ংকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ভারতের নির্ভয়াকাণ্ডের মতো বীভৎস ঘটনার সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।
তথ্যসুত্রঃকালের কণ্ঠ