নারীর প্রতি সহিংসতার কারণ ও প্রতিকার সামাজিক গবেষণায় নারীর প্রতি বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার রূপ ফুটে উঠেছে। ঘরে বাইরে প্রতিনিয়ত এর শিকার হচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত। যেমন- যৌন নিপীড়ন, শিশু ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, পারিবারিক নির্যাতন- যৌতুক, গৃহকর্মী নির্যাতন, কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী কর্তৃক নিপীড়ন, মুজুরীতে বৈষম্য, হত্যা, আত্মহত্যায় প্ররোচণা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, চাকুরীর ক্ষেত্রে বৈষম্য ইত্যাদি নারী সহিংসতার বিভিন্ন রূপ। সত্যিকার অর্থে আজ সারা বিশ্বব্যাপী মানবিক মূল্যবোধের যে অবক্ষয় ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরনের সহিংসতা খুব স্বাভাবিক।
কারণ নৈতিকতার যে ধস নেমেছে তার থেকে আমাদের ছোট্ট মুসলিম রাষ্ট্রটিও বের হয়ে আসতে পারেনি। শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে নৈতিক শিক্ষার বিলোপ সাধন এর প্রধান কারণ। ধর্মীয় শিক্ষা ও পারিবারিক বন্ধনের শিথিলতা, অধিক বস্তবাদী চিন্তা চেতনা, ভোগবাদী মানসিকতা এর জন্য প্রধানত দায়ী। ‘কান টানলে মাথা আসে’ নারী সহিংসতাকে সব সময়ই খ-িতভাবে দেখা হয়েছে। নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে ও মানসিকতাকে উন্নত করতে যে ধর্মীয়বোধ, আল্লাহ ভীতি, পরকালীন জবাবদিহিতা ইত্যাদি বিষয়গুলো প্রধান নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে সেগুলোকেই উপেক্ষা করা হয়েছে বারবার।
যে ধর্মে নারীকে মায়ের মর্যাদায় ভূষিত করা হয়েছে, যার পায়ের নীচে জান্নাত ঘোষিত হয়েছে, সেই শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামকেই সবচেয়ে বেশী অবজ্ঞা করা হচ্ছে এবং নারী স্বাধীনতার প্রধান প্রতিবন্ধক মনে করা হচ্ছে। তথাকথিত প্রগতিবাদী নারী নেত্রীরা মূল বিষয়ের দিকে দৃষ্টি না দিয়ে আনুষঙ্গিক বিষয়ের ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং ধর্মবিরোধী শ্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন অনবরত। যার ফলশ্রুতিতে নারীরা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই চরমভাবে হাবু-ডুবু খাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সবার আগে আমাদের মানসিকতাকে Change করতে হবে। নতুবা নারী মুক্তির পথ হবে সুদূর পরাহত।
#সংগৃহীত.....