Unesco এর কাজঃ
ঐতিহাসিক জায়গাগুলোর নামকরণঃ
সারা পৃথিবীর বিশেষ স্থানগুলো চিহ্নিত করা ও সে সম্পর্কে প্রচারের দায়িত্ব ইউনেস্কোর৷ ‘মানবতার জন্য অসামান্য গুরুত্ব’ বহন করে এমন স্থানই সাধারণত বিবেচিত হয়৷ মানুষের তৈরি অথবা প্রাকৃতিক, যেটিই হোক না কেন, সেই সাইটগুলোকে তালিকাভুক্ত করে আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে সেগুলোর আইগত সুরক্ষা দেয়া হয়৷ উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মধ্যে রোমের কলোসিয়াম, মিশরের পিরামিড এবং চীনের প্রাচীর অন্যতম৷
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসঃ
শিক্ষাবিষয়ক কার্যক্রমগুলোর মধ্যে ইউনোস্কোর প্রধান কাজ হলো ‘বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস’ পালন৷ ব্যক্তি ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরতেই প্রতিবছর ৮ সেপ্টেম্বর এই দিবস পালন করা হয়৷ উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষেত্রে মেয়েদের মধ্যে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়াও এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য৷ এছাড়া, পড়াশোনায় উৎসাহিত করতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও স্কুলে বিভিন্ন উপকরণও সরবরাহ করা হয়৷
হলোকস্টের স্মরণঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইসরায়েলবিরোধীদের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে ইউনেস্কো ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছে৷ তবে হলোকস্ট নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে আসছে ইউনেস্কো৷ দর্শনার্থীদের জন্য নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প দেখার ব্যবস্থা করে এবং আগ্রহীদের বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাসামগ্রী দিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা সেরকম দুটো কাজ৷
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলাঃ
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলি রক্ষার স্বার্থেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে ইউনেস্কো৷ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং তা মোকাবেলা করাতে বহুমুখী পদক্ষেপের প্রসার ঘটাতে ইউনেস্কোর ‘ম্যান অ্যান্ড দ্য বায়োস্ফিয়ার প্রোগ্রাম’ কাজ করে৷
বিপন্ন ভাষাকে রক্ষাঃ
হারিয়ে যেতে বসেছে এমন ভাষা শনাক্ত ও তা সংরক্ষণের চেষ্টা করে ইউনেস্কো৷
মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের সুরক্ষাঃ
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী যেসব সাংবাদিক মত প্রকাশে বাধাগ্রস্ত হন বা যখন কেউ প্রেসের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে, ইউনোস্কো তখন নিন্দা জানায়৷ সাংবাদিকদের ওপর নানা হুমকি, এমনকি তাঁদের হত্যা সংক্রান্ত বিষয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবেদন প্রকাশ ও সচেতনতা তৈরি করে থাকে৷ বিপজ্জনক এলাকায় থাকা সাংবাদিকদের নিরাপত্তার প্রশিক্ষণও দেয় তারা৷