প্রথম শপথ
আল্লাহ্ আল্লাহ্র পক্ষ থেকে নবুয়াত লাভের পর বিশ্ব নবী মোহাম্মদ (সাঃ) গোপনে ইসলামের দয়াত দিতেন এর তিন বছর পর আল্লাহ্র পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে দয়াওয়াতের হুকুম আসলে প্রকাশ্যেই দাওয়াত দিতে থাকলেন। তখন সাধারণ মুসলমানের উপর নির্যাতন আসতে লাগল। তিনি চিন্তা করলেন ইসলামের এই দাওয়াত সকল গোত্রের মাঝে ছরিয়ে দিতে হবে। এই জন্য হজরাত মোহাম্মাদ (সাঃ) কোন এক হজ্জ মওসুমে আন্যান্য সময়ের মত আরব গোত্রসমূহের মাঝে ইসলামের বানী পোঁছে দেওয়ার উদ্দেশে বের হলেন। এই কর্মব্যস্ততা এক পর্যায়ে আকাবা নামক স্থানে একদল আনসারের সংগে সাক্ষাৎ হলে তিনি তাদের আল্লাহ্র পথে দাওয়াত দিলেন। এবং তারা নবী করিম (সা:) এর কাছে ভাল ব্যবহার পেয়ে তাঁকে নবী হিসেবে চিনতে পারলেন এবং ঈমান গ্রহন করলেন। এরপর তারা নবী করিম (সাঃ) এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মদীনায় এসে নবী করিম (সাঃ) এর অমায়িক চরিত্র ও ইসলামের অমিয় বানী মদিনার ইথারে ইথারে ছড়িয়ে দিল। পরবর্তী বছর হজ্জ মওসুমে বারজন আনসার মক্কায় আকাবা নামক স্থানে এসে নবী করিম(সাঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করে এই মর্মে বায়া’আত করেন যে আমরা আল্লাহ্র সাথে কোন শরীক স্থির করব না, চুরি করব না, ব্যভিচার করব না, সন্তান হত্যা করব না, সজ্ঞানে মিথ্যা রচনা করে রটাব না এবং সৎ কাজে বাধা দিব না। তখন নবী করিম (সাঃ) বললেনঃ যুদি তোমরা এ অংগীকার পূর্ণ কর, তবে তোমাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। আর যদি তোমরা কোনটা লঙ্ঘন কর তবে তিনি চাইলে শাস্তি দেবেন নয় ক্ষমা করে দেবেন। এই বায়াতকে আঁকাবার প্রথম এবং বায়াতে নিসা বলা হয়।
প্রথম শপথের বিষয়বস্তু সমূহঃ
ক) আল্লাহ্র সাথে কোন শরীক স্থির না করা।
খ) চুরি না করা।
গ) ব্যভিচার না করা।
ঘ) কন্যা সন্তান হত্যা না করা।
ঙ) সজ্ঞানে মিথ্যা রচনা না রটানো এবং
চ) সৎ কাজে বাধা না দেয়া।