জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস সৃষ্টি হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ নিম্নরুপ:
ক. জিহাদবিষয়ক অপপ্রচার : কেউ কেউ জিহাদ বলতে ঐড়ষু ডধৎ বা পবিত্র যুদ্ধ বা জবষরমরড়ঁং ডধৎ বা ধর্মযুদ্ধ বা ঈৎঁংধফব (ক্রসেড) বলে অভিহিত করেন। অথচ এগুলো সব খ্রিস্টান চার্চ ও যাজকদের আবিষ্কৃৃত পরিভাষা। ইসলামী পরিভাষায় জিহাদ অর্থ ‘রাষ্ট্রীয় যুদ্ধ’। মুসলিম রাষ্ট্রের শত্রুদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় যুদ্ধকে ইসলামে জিহাদ বলা হয়। দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যম হলো দাওয়াত। দ্বীন প্রতিষ্ঠা বা দ্বীন প্রচারের জন্য হত্যা, জিহাদ বা যুদ্ধ তো দূরের কথা কোনোরূপ শক্তি প্রয়োগও নিষিদ্ধ। আল্লাহতায়ালা বলেন : “দ্বীনে কোনো জবরদস্তি নেই। ভ্রান্তি থেকে সত্য সুস্পষ্ট হয়েছে। যে তাগুতকে অবিশ্বাস করবে এবং আল্লাহকে বিশ্বাস করবে সে এমন এক মজবুত হাতল ধরবে যা কখনো ভাঙবে না। আল্লাহ সর্বশ্রোতা প্রজ্ঞাময়।” (সূরা আল-বাকারাহ : ২৫৬)
খ. দ্বীনের বিজয়ের ভুল ব্যাখ্যা : আল্লাহতায়ালা কুরআনুল কারীমে দ্বীনকে প্রকাশ বা বিজয় দান করার কথা অনেক আয়াতে বলেছেন। এ দ্বীন বিজয়ের ভুল ব্যাখ্যার কারণেও জঙ্গিবাদের উৎপত্তি হয়। দ্বীনের বিজয় ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা। তবে এ বিজয়ের অর্থ ও পদ্ধতি রাসূলুল্লাহ (স.) ও সাহাবীগণের মাধ্যমে জানতে হবে। আল্লাহতায়ালা বলেন : “তিনিই প্রেরণ করেছেন তাঁর রাসূলকে সঠিক পথের নির্দেশনা ও সত্য দ্বীন-সহ; যেন তিনি তাকে প্রকাশ করেন সকল দ্বীনের উপর; যদিও মুশরিকগণ তা অপছন্দ করে।” (সূরা আত-তাওবাহ : ৩৩)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন : “আল্লাহতায়ালা মুহাম্মদ (স.)-কে সকল ধর্মের সকল তথ্য প্রকাশ করবেন বা জানিয়ে দিবেন; যদিও ইয়াহুদী-খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরা তাদের এ সকল বিষয় প্রকাশ পাওয়া অপছন্দ করত।” আবু হোরায়রা (রা.) ও অন্যান্য মুফাসসিরদের মতে : “শেষ যুগে ঈসা (আ.)-এর পুনরাগমণের মাধ্যমে মহান আল্লাহ এ দ্বীনকে চূড়ান্ত বিজয় ও প্রকাশ দান করবেন। সে সময়ে বিশ্বের সকল মানুষ এ দ্বীন গ্রহণ করবে এবং দ্বীন একমাত্র আল্লাহরই হবে।”
আ ক ম আজাদ আস্ক প্রশ্ন ডটকমের সাথে আছেন সমন্বয়ক হিসাবে। বর্তমানে তিনি একজন শিক্ষক। আস্ক প্রশ্ন ডটকমকে বাছাই করে নিয়েছেন জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম হিসাবে। ভবিষ্যতে একজন বক্তা ও লেখক হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই আশা পূর্ণতা পেতে সকলের নিকট দু'আপার্থী।