কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর সহজ উপায়
কম্পিউটার ধীরগতির হয়ে পড়লে কাজের ক্ষেত্রে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তবে খুব সহজেই কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে কম্পিউটারকে গতিশীল করতে পারেন।
কম্পিউটারের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ডাটাগুলোকে এক জায়গায় এনে পিসির পারফরম্যান্স বা অ্যাকসেস গতি বাড়িয়ে দেয় ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট ফিচারটি। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার মাই কম্পিউটারের প্রতিটি ড্রাইভের ডিফ্রাগমেন্ট করা হলে পিসির গতি অনেক বেড়ে যায়।
ডিস্ক ক্লিনআপ ফিচারটির ব্যবহারও পিসির গতি বাড়াতে সাহায্যে করে। মাই কম্পিউটারে যে কোনো ড্রাইভে মাউসের রাইট বাটনে ক্লিক করলে প্রোপার্টিজ অপশন আসবে। এখানে থেকে ডিস্ক ক্লিনআপ ব্যবহার করুন। প্রতিটি ড্রাইভেই মাসে অন্তত দুদিন ডিস্ক ক্লিনআপ করা হলে পিসির গতি বাড়বে।
কম্পিউটারের ডেস্কটপে অতিরিক্ত ফাইল বা ফোল্ডার রাখলে, তা কম্পিউটারের গতি কমিয়ে ফেলে। তাই পিসির গতি বাড়িয়ে নিতে ডেস্কটপে বেশি ফাইল না রাখাই সুবিধাজনক।
কম্পিউটার থেকে মুছে ফেলা ফাইল রিসাইকেল বিনে জমা হয়। রিসাইকেল বিনে জমা হওয়া বেশি সংখ্যক ফাইলও পিসির গতি কমিয়ে ফেলে। তাই নিয়মিত রিসাইকেল বিন পরিস্কার রাখা জরুরি।
কম্পিউটারে কখনো থিম ইনস্টল করা উচিত নয়, থিম কম্পিউটারকে ধীরগতির করে দেয়। এছাড়া অ্যানিমেটেড ওয়ালপেপার, ভয়েস ক্লক ইত্যাদি ইনস্টলও কম্পিউটারকে ধীরগতি করে।
বিভিন্ন সফটওয়্যারের পোর্টেবল ভারসন পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে পোর্টেবল ভারসন ব্যবহার করলে কম্পিউটার আরো বেশি দ্রুতগতিসম্পন্ন থাকবে।
Ctrl+Alt+Delete চেপে Task Manager খুলুন, তারপর Processes-এ ক্লিক করলে অনেকগুলো প্রোপ্রাম-এর তালিকা আসবে। এর মধ্যে বর্তমানে যে প্রোগ্রামগুলো কাজে লাগছে না, সেগুলো নির্বাচন করে End Process-এ ক্লিক করে বন্ধ করে দিন। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যাতে উইন্ডোজের কোনো প্রোগ্রাম যেন বন্ধ না হয়, ভুলক্রমে হলে কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন।
কম্পিউটারের র্যাম কম থাকলে কম্পিউটার ধীরগতির হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়িয়ে কম্পিউটার গতি কিছুটা বাড়ানো যায়। ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়ানোর জন্য প্রথমে ‘মাই কম্পিউটার’-এ মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে ‘প্রোপার্টিজ’-এ যান। তারপর ‘এনভান্স’-এ ক্লিক করে ‘পারফরম্যান্স’ এর ‘সেটিংস’-এ যেতে হবে। এখন ‘চেঞ্জ’-এ ক্লিক করে নতুন উইন্ডো এলে সেটির ‘ইনিশিয়াল সাইজ’-এ র্যামের সাইজের দ্বিগুণ এবং ‘ম্যাক্সিমাম সাইজ’-এ র্যামের সাইজের চারগুণ করে দিন।
কম্পিউটার ধীরগতির হয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ, ভাইরাস। সুতরাং অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার কম্পিউটার গতিশীল রাখার অন্যতম প্রধান উপায়।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট