1. নিয়মিত দুই লিটার পানি পান করুন। তবে কিডনীর সমস্যাতে আক্রান্ত ব্যাক্তিরা চিকিৎসকের পরামর্শে পানি পান করুন। অতিরিক্ত তেল, মশলা, চর্বি জাতীয় খাবার, অতিরিক্ত ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, পরিহার করুন। একবারে অতিরিক্ত খাবার না খেয়ে ধীরে ধীরে ভালোভাবে চিবিয়ে খান।
2. মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন হতাশা, কষ্ট, খাবার সময় মনোযোগ দিয়ে খান। হঠাৎ করে অতিরিক্ত খাবার নিয়ন্ত্রণ ঠিক নয়। ধীরে ধীরে খাবারের পরিমাণ কমান। আবার একবারে খুব বেশি খাওয়া ঠিক নয়।
3. অতিরিক্ত রাত জেগে কাজ করাটা পরিহার করুন। যতোটা সম্ভব সঠিক সময়ে খাবার কান। বছরে অন্তত একবার পুরো পেটে Ultrasonography of whole abdomen টেস্ট করান। এতে লুকায়িত সমস্যা থাকলে ধরা পড়বে।
4. সব ধরনের মাদকদ্রব্য পরিহার করুন। ধুমপান থেকে বিরত থাকুন এবং খাবার সাথে সাথে ঘুমাবেন না। নিয়মিত হাটুন। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
5. কোন ওষুধ খাবার পরে হজমে সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
6. চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত একই ওষুধ দীর্ঘ বছর যাবৎ খাবেন না।
7. টাইফয়েড, ডেঙ্গুজ্বরের পরে বা পেটের বড় কোন অপারেশানের পরে হজম শক্তি কমে যায় অনেকের। এই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
8. বদহজম মারাত্বকভাবে কোন সমস্যা নয়। তবে বছরের পর বছর এই সমস্যা তীব্র হতে থাকলে, অবহেলা করাটা উচিৎ হবে না। কারণ অনেক লুকায়িত অসুখের উপসর্গ হলো বদহজম। তাই নিজের প্রতি দৃষ্টি দিন।
সূত্রঃ ডা. ফারহানা মোবিন
মেডিকেল অফিসার (গাইনী এন্ড অবস্)
Md. Mizan প্রশ্ন ডট কম এর প্রতিষ্ঠাতা। মানুষের সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যেকে লক্ষ্য করেই ২০১৭ সালে প্রশ্ন অ্যানসারস প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি একজন ডিপ্লোমা কম্পিউটার ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত আছেন।