ইসলামের দৃষ্টিতে ছেলে মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করতে পারে। এই স্বাধীনতা মহান আল্লাহ তায়লা আমাদের দিয়াছেন। তবে বিয়ের চারটি শর্ত পূর্ন করতে হবে। ১। কনে ও বরকে বিয়েতে নিজ ইচ্ছায় রাজী হতে হবে। ২। ছেলে মেয়ে উভয়ে বিবাহের প্রস্তাবে রাজী বা কবুল বলেছে তার দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ বা একজন পুরুষ ও একজন মহিলা সাক্ষী রাখতে হবে। ৩। কনে যতটাকা দেনমোহর চাইবে, তার পুরোটাই ছেলেকে নগদে পরিশোধ করে দিতে হবে। ( একমাত্র মেয়ের ইচ্ছাতেই বাকী রাখা যেতে পারে)। ৪। মোহরনার টাকা বাকী থাকিলে তাহা রাষ্ট্রীয় বিধান মতে কাবিন রেজিষ্টারী করিয়ে নিতে হবে এবং কাবিনেই মোহরনার বাকী টাকার উল্লেখ থাকিতে হবে। পালিয়ে বিয়ে করা বা সকলের সম্মুখে বিয়ে করা একই কথা যদি বর কনে রাজী থাকে। বিয়ের পূর্বে পুরুষ নারীকে দেখতেও পারে, কথাও বলতে পারে এতে কোন গুনাহ হবেনা। তবে নারী ও বিবাহের পূর্বেপুরুষ নিরিবিলি সময় কাটানো বা নির্ভৃতে দেখা করা কবিরা গুনাহ হবে। এটাও মনে রাখতে হবে মা বাবার মনে কষ্ট দেয়াও কবিরা গুনাহ। সেই কারনে এই বিবাহের ব্যাপারে মাবাবাকে জানানো উচিত। তদের সায় থাকিলে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে যদি মা বাবা একেবারেই রাজী নাহয়, সেই ক্ষেত্রে জীবনের চাওয়া পাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনবেন। জীবন নষ্টের চেয়ে গুনাহ উত্তম, গুনাহর চেয়ে নেক উত্তম। যদিও বিয়ে একটি উত্তম কাজ, তারপরেও মনে রাখতে হবে উত্তম কাজটি করে একটি গুনাহের কাজ ক্রে ফেলেছে। সে জন্যে মা বাবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নয়, ক্ষমা করিয়ে নিতে হবে। আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চাইতে থাকবেন, যেন আল্লাহ আপনাদের ক্ষমা করে কবুল করে নেন।
আ ক ম আজাদ আস্ক প্রশ্ন ডটকমের সাথে আছেন সমন্বয়ক হিসাবে। বর্তমানে তিনি একজন শিক্ষক। আস্ক প্রশ্ন ডটকমকে বাছাই করে নিয়েছেন জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম হিসাবে। ভবিষ্যতে একজন বক্তা ও লেখক হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই আশা পূর্ণতা পেতে সকলের নিকট দু'আপার্থী।