কোঁকড়া চুল নিয়ে খুশি থাকতে পারেন না অনেকেই। আর তাই কোঁকড়া চুল সোজা করার জন্য বেছে নেন আয়রনের হিট অথবা বাজারের বিভিন্ন কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী। এতে কিন্তু উপকারের থেকে ক্ষতিই হয় বেশি। তাই সোজা চুল পেতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে প্রাকৃতিক উপাদান।
কীভাবে? চলুন জেনে নিই:
● আমরা সবাই জানি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য নারিকেল তেল কতটা ভালো। নারিকেলের দুধে আছে তেলের থেকেও অনেক বেশি পুষ্টি। এটা চুলের জন্য খুবই ভালো কন্ডিশনার স্পেশালি যাদের চুল অনেক লম্বা, রুক্ষ-শুষ্ক আর ফ্রিজি। এক কাপ ফ্রেশ নারিকেলের দুধ নিন। নারিকেল পিষে বা ব্লেন্ডারে দিয়ে পিষে তারপর পেষা নারিকেল ছাঁকুনি দিয়ে ছেঁকে নিলেই পেয়ে যাবেন একদম তাজা নারিকেলের দুধ। নারিকেলের ঘন দুধ পুরো চুলে লাগান। ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিন। মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
● নারিকেলের দুধের সাথে হালকা একটু লেবুর রস মিশিয়ে রেখে দিলে পেয়ে যাবেন নারিকেলের ক্রিম। এই ক্রিম শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করলে খুবই ভালো ফল পাবেন।
● কলা আর অলিভ অয়েল দুটোই চুলে আর্দ্রতা আর পুষ্টি যোগায়। নিয়মিত ব্যবহারে এই মাস্ক কোঁকড়া চুলের কার্ল হালকা করারও ক্ষমতা রাখে। দুটো পাকা কলা ও দুই চা চামচ অলিভ অয়েল নিন। একটা বাটিতে কলা আর অলিভ অয়েল মিশিয়ে স্মুথ পেস্ট তৈরি করুন। পুরো চুলে মিশ্রণটি লাগিয়ে একটা শাওয়ার ক্যাপ পরে ফেলুন। ২-৩ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন।
● অলিভ অয়েলের সাথে দুটি ডিম মিশিয়ে চুলে মাখুন। হালকা আবরণ দিয়ে চুল ২০ মিনিট ঢেকে রাখুন অতঃপর ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের স্বাভাবিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে। কেননা অলিভ অয়েলে আছে হাইড্রক্সিটিরোসল এবং ভিটামিন ই। আর ডিমে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল এবং ফ্যাটি এসিড।
● ১ কাপ মুলতানি মাটি, ১ টি ডিম, ৫ চা চামচ চালের গুঁড়ো নিন। প্রথমে একটি পাত্রে ডিমটি খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে মুলতানি মাটি ও চালের গুড়ো দিয়ে ভালো মত মিশিয়ে একটি পেস্টের মত তৈরি করুন। চুলের জট ছাড়িয়ে নিন। এরপর চুল আঁচড়ে পেস্টটি চুলে লাগিয়ে নিন। যতটা সম্ভব চুল সোজা রাখার চেষ্টা করুন। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। প্রতি ৪ দিনে ১ বার করে এই পেস্টটি চুলে লাগান।
● দুধ, পানি ও একটি স্প্রে বোতল লাগবে। চুল যদি বেশি কোঁকড়া হয় তবে মিশ্রণে ২ টেবিল চামচ মধু দিয়ে নিন। প্রথমে দুধ ও পানি ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর তা একটি স্প্রে বোতলে ঢোকান। চুলের জট ছাড়িয়ে এই মিশ্রণটি স্প্রে করুন পুরো চুলে। ঘণ্টাখানেক রেখে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে।
● বিশুদ্ধ নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। লেবুর রসে আছে চুল পরিষ্কার করার ও সোজা রাখার শক্তি, যা চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
● তেল গরম করে চুলে প্রয়োগ করুন। গরম পানিতে একটি টাওয়েল ডুবিয়ে পানি নিংড়ে নিন এবং পাগড়ির মতো করে মাথায় বেঁধে রাখুন। এভাবে তিন থেকে চারবার টাওয়েল ভিজিয়ে পাঁচ মিনিট করে রাখুন। এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চিরুনি করুন। সপ্তাহে দুবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
Md. Mizan প্রশ্ন ডট কম এর প্রতিষ্ঠাতা। মানুষের সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যেকে লক্ষ্য করেই ২০১৭ সালে প্রশ্ন অ্যানসারস প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি একজন ডিপ্লোমা কম্পিউটার ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত আছেন।