যে ব্যক্তি কোনো মুসলিম নারী বা পুরুষকে ইসলামী শরী‘আত আঁকড়ে ধরার কারণে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে সে কাফির। চাই তা শর‘ঈ পর্দা অবলম্বন করার ক্ষেত্রে হোক বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে। কেননা আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেন, তাবুক যুদ্ধে এক মজলিশে এক ব্যক্তি বলে: আমাদের এ সমস্ত ক্বারীদের মতো পেটুক, অধিক মিথ্যাবাদী ও যুদ্ধে অধিক ভিরু দেখি নি, অতঃপর এক ব্যক্তি বলে: তুমি মিথ্যা বলেছ বরং তুমি একজন মুনাফিক, আমি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লামকে জানিয়ে দিব, অতঃপর সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানিয়ে দেয়, তারপর কুরআন অবতীর্ণ হয়। এরপর আব্দুল্লাহ ইবন উমার বলেন, আমি তাকে পাথরে ভর করে রাসূলুল্লাহর উটের বেল্টের সাথে ঝুলা অবস্থায় বলতে দেখি: হে আল্লাহর রাসূল, আমরা শুধু খেল-তামশায় ও ঠাট্টা-বিদ্রূপে প্রবৃত্ত হয়েছিলাম আর সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম (আল্লাহর বাণী) পড়ছিলেন: ﴿ ﻗُﻞۡ ﺃَﺑِﭑﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺀَﺍﻳَٰﺘِﻪِۦ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟِﻪِۦ ﻛُﻨﺘُﻢۡ ﺗَﺴۡﺘَﻬۡﺰِﺀُﻭﻥَ ٦٥ ﻟَﺎ ﺗَﻌۡﺘَﺬِﺭُﻭﺍْ ﻗَﺪۡ ﻛَﻔَﺮۡﺗُﻢ ﺑَﻌۡﺪَ ﺇِﻳﻤَٰﻨِﻜُﻢۡۚ ﺇِﻥ ﻧَّﻌۡﻒُ ﻋَﻦ ﻃَﺎٓﺋِﻔَﺔٖ ﻣِّﻨﻜُﻢۡ ﻧُﻌَﺬِّﺏۡ ﻃَﺎٓﺋِﻔَﺔَۢ ﺑِﺄَﻧَّﻬُﻢۡ ﻛَﺎﻧُﻮﺍْ ﻣُﺠۡﺮِﻣِﻴﻦَ ٦٦﴾ [ ﺍﻟﺘﻮﺑﺔ : ٦٥، ٦٦ ] “তুমি বলে দাও তবে কি তোমরা আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ এবং রাসূলের প্রতি ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেছিলে? তোমরা আর ওজর পেশ করো না তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফুরী করেছো, যদিও আমি তোমাদের মধ্য হতে কতককে ক্ষমা করে দেই কতককে শাস্তি দিবই, কারণ তারা অপরাধী।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৬৫-৬৬] সুতরাং তাদের দ্বারা মুমিনদের সাথে ঠাট্টা-বিদ্রূপকে আল্লাহ ও তাঁর আয়াতসমূহ ও রাসূলের সাথে ঠাট্টা-বিদ্রূপ ধরা হয়েছে। আর আল্লাহই হচ্ছেন তাওফীক দাতা। (ফাতাওয়া স্থায়ী কমিটি, সাউদী আরব)। এ গ্রন্থে লেখক কুরআন ও সুন্নাহ থেকে বিভিন্ন দলীল পেশ করে পর্দার বিধান বাধ্যতামূলক হওয়া সাব্যস্ত করেছেন। গ্রন্থের শেষে পর্দা ও শর‘ঈ পোষাক নিয়ে যারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে তাদের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে।
আ ক ম আজাদ আস্ক প্রশ্ন ডটকমের সাথে আছেন সমন্বয়ক হিসাবে। বর্তমানে তিনি একজন শিক্ষক। আস্ক প্রশ্ন ডটকমকে বাছাই করে নিয়েছেন জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম হিসাবে। ভবিষ্যতে একজন বক্তা ও লেখক হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই আশা পূর্ণতা পেতে সকলের নিকট দু'আপার্থী।