আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
232 বার প্রদর্শিত
"ইসলাম ধর্ম" বিভাগে করেছেন (1,670 পয়েন্ট) 97 1318 1427

1 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (8,268 পয়েন্ট) 93 546 689
ইসলামিক আইন এবং মুসলিম নারীর জন্য তার নিকাহ (বিবাহের চুক্তি) পরে তার উপাধি পরিবর্তন না করাই ভালো। একজন মানুষের নাম তার বাবার সাথেই যুক্ত হওয়া উচিত। এটাই মুসলিম নামকরণের মৌলিক নীতি। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, পালক পুত্রদেরকে তাদের পিতার সাথে সম্পর্কিত করে ডাকো। এটি আল্লাহর কাছে বেশী ন্যায়সংগত কথা। আর যদি তোমরা তাদের পিতৃ পরিচয় না জানো, তাহলে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই এবং বন্ধু না জেনে যে কথা তোমরা বলো সেজন্য তোমাদের পাকড়াও করা হবে না, কিন্তু তোমরা অন্তরে যে সংকল্প কর সেজন্য অবশ্যই পাকড়াও হবে। আল্লাহ ক্ষমাকারী ও দয়াময়। (আহযাব:০৫) স্বাভাবিকভাবে এই আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, ইসলামে নাম পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। মনে চাইলেই পিতার নাম বাদ দিয়ে স্বামীর নাম ব্যবহার করা ঠিক নয়। অবশ্য কেউ যদি স্বামীর নাম ব্যবহার করতে চায় সেটাও নাজায়েজ হবে না। কেননা কখনো কখনো স্বামীর নাম ব্যবহার করাটাও প্রয়োজন হয়ে পড়ে। একজন নারী বিবাহের পরে তার আগের নাম পরিবর্তন করে স্বামীর নাম ব্যবহার করবে এটা ইসলামিক আদর্শ বা সংস্কৃতির কোন অংশ নয়। এই ঐতিহ্যের অ-মুসলিম সমাজে (বিশেষ করে ১৪ ই শতাব্দীর ইংল্যান্ডের ফরাসি পরিচিতি) প্রবণ প্রবণতাগুলির মধ্যে রয়েছে, যার মধ্যে একটি নারী এর উপাধি বিয়ের পর তার সামাজিক অবস্থান, সেইসাথে তার আইনগত সম্বন্ধকে চিত্রিত করেছে। একজন মহিলা তার স্বামীর উপাধি গ্রহণ করে দেখানোর জন্য যে এখন থেকে, সে তার স্বামীর দায়িত্ব এবং তার পরিবারের একটি অংশ ছিল। এমনকি এ সময়ে, মুসলিমদের নারীরা কিছু আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় যেগুলি নারীদেরকে উত্তরাধিকারসূত্রে ভাগ করে নেওয়ার অধিকার এবং সম্পত্তি এবং অন্যান্য সম্পদের ক্রয় ও অধিকার হিসাবে প্রদান করে। আমরা আমাদের নবীর সাহাবীগণের মধ্যে এমন কিছু সাহাবী দেখতে পাই তারা যারা পিতা মাতার নামে নয় বরং অন্য নামেই পরিচিত ছিলেন। যেমন অন্ধ সাহাবী যিনি নামাজের আজান দিতেন। তিনি ইবনে উম্মে মাকতুম। তিনি তার মায়ের নাম দ্বারাই পরিচিত ছিলেন। এমনকি তেমইয়াহ নামটি বিখ্যাত ইসলামী বিশেষজ্ঞ ইবনে তাইমিয়াহের নাম, যিনি এই নামের সাথে সুপরিচিত, মূলত একটি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যিনি তার পিতার পরিচয়ে ছিলেন না। অতএব, এটা বলা যেতে পারে যে, দেশে আইন বা প্রগতিশীল সামাজিক রীতিনীতির আইন অনুযায়ী আইনি সমস্যা বা যথেষ্ট সামাজিক চ্যালেঞ্জ রোধ করার জন্য একজন মহিলা বিয়ের পর তার উপাধি পরিবর্তন করেন, সে ক্ষেত্রে তিনি তা করতে পারেন। আমি এই উপসংহারে পৌঁছতে চাই যে এটি একটি মুসলিম নারীর জন্য তার নিকাহ (বিবাহের চুক্তি) পরে তার উপাধি পরিবর্তন না করাই ভালো এবং এটাই ইসলামী আইনের কাছাকাছি।
আ ক ম আজাদ আস্ক প্রশ্ন ডটকমের সাথে আছেন সমন্বয়ক হিসাবে। বর্তমানে তিনি একজন শিক্ষক। আস্ক প্রশ্ন ডটকমকে বাছাই করে নিয়েছেন জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম হিসাবে। ভবিষ্যতে একজন বক্তা ও লেখক হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই আশা পূর্ণতা পেতে সকলের নিকট দু'আপার্থী।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

2 টি উত্তর
0 টি উত্তর
21 মে 2018 "ইসলাম ধর্ম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন At Munna (1,670 পয়েন্ট) 97 1318 1427
1 উত্তর

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,919 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. ratna

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. আবু উবাইদাহ

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  3. Apon

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  4. সালেহ

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  5. আল-আমিন সরকার

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...