ইভটিজিং বলতে কোন মানুষকে বিশেষ করে কোন নারী বা কিশোরীকে তার স্বাভাবিক চলাফেরা বা কাজ কর্ম করা অবস্থায় অশালীন মন্তব্য করা, ভয় দেখানো, তার নাম ধরে ডাকা এবং চিৎকার করা, বিকৃত নামে ডাকা, কোন কিছু ছুঁড়ে দেয়া, ব্যক্তিত্বে লাগে এমন মন্তব্য করা, ধীক্কার দেয়া, তার যোগ্যতা নিয়ে টিটকারী দেয়া, তাকে নিয়ে অহেতুক হাসাহাসি করা, রাস্তায় হাটতে হাটতে ধাক্কা দেয়া, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা, ইঙ্গিতপূর্ণ ইশারা দেয়া, সিগারেটের ধোয়া গায়ে ছাড়া, উদ্দেশ্যমূলকভাবে পিছু নেয়া, উদ্দেশ্যমূলকভাবে গান, ছড়া বা কবিতা আবৃত্তি করা, চিঠি লেখা, পথরোধ করে দাঁড়ানো, প্রেমে সাড়া না দিলে হুমকি প্রদান ইত্যাদিও ইভটিজিং-এর মধ্যে পড়ে। বর্তমানে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগে মোবাইল ফোন এবং ই-মেইলের মাধ্যমেও ইভটিজিং হয়ে থাকে।
আইন অনুযায়ী ইভ টিজিং করলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। টিজিং এর ধরন ও মাত্রা অনুযায়ী শাস্তির ভিন্নতাও রয়েছে। জেনে রাখুন ইভ টিজারের শাস্তিসমূহ কি ?
-
দণ্ডবিধি অনুযায়ী শালীনতার উদ্দেশ্যে কোন মন্তব্য, অঙ্গভঙ্গি বা কোন কাজ করলে এক বছর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
-
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী অবৈধভাবে যৌন অঙ্গ বা অন্য কোন অঙ্গ স্পর্শ করে এবং শ্লীলতাহানি করা হলে অনধিক দশ বছর কিন্তু অন্যূন তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে।
-
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী- অনধিক এক বছর অথবা অনধিক দুই হাজার টাকা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
-
মোবাইল কোর্ট আইন অনুযায়ী- ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে সংঘটিত বা উদঘাটিত হয়ে থাকলে তখনই অপরাধ আমলে নিয়ে শাস্তি দিতে পারবেন। তবে দুই বছরের অধিক কারাদণ্ড এই আইনের অধীন আরোপ করা যাবে না। আইন প্রয়োগের সাথে সামাজিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক শিক্ষাদান এ অপরাধ হ্রাস করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।
-
যদি কেউ ইভটিজিং-এর শিকার হয় তবে তবে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমান আদালতের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। কেননা, একমাত্র ভ্রাম্যমান আদালতেই ইভটিজিং-এর তাৎক্ষণিকভাবে বিচার করা হয়ে থাকে।