সাধারণত দুইভাবে বিষয়টি হতে পারে। কোনো কোনো লোকের হয়তো আগে থেকে কিছু কিছু লক্ষণ থাকে। যেমন : অনেকের হয়তো পরিশ্রম করতে গিয়ে বুকে ব্যথা হতো, বিশ্রাম করলে তিনি ভালো থাকতেন। এভাবে কয়েক মাস বা কয়েক বছরও চলে যেতে পারে। আবার কোনো কোনো লোকের ক্ষেত্রে হঠাৎ করেই হার্টের রগটি বন্ধ হয়ে যায়।
আসলে আগে থেকে রোগ থাকুক বা না থাকুক যদি কোনো কারণে হঠাৎ করে হার্টের রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, হার্টের রোগ হয়, একে সাধারণত হার্ট অ্যাটাক বলা হয়ে থাকে।
তবে যদি সামগ্রিকভাবে চিন্তা করি, হার্টের রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া, এই সম্পূর্ণ রোগটিকে সাধারণত বলা হয়ে থাকে, ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ। যেহেতু এই রোগের প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি এবং রোগটি ভয়াভহ, সেক্ষেত্রে সাধারণভাবে হৃদরোগ বলতে এই জিনিসকে বোঝানো হয়ে থাকে। যদিও এই জিনিসটির অন্য কারণও রয়েছে।
সাধারণত বুকে ব্যথা হওয়াটা সবচেয়ে প্রচলিত লক্ষণ। হঠাৎ করে বুকটা ভীষণ চেপে ধরে। মনে হয় বুকটি ভেঙ্গে পড়ল। অনেক ওজন চেপে গেছে। এটা হয় শুরুতে এবং এর সাথে সাথে অনেকের শরীরে ঘাম হতে থাকে। পাশাপাশি অনেক সময় মাথা ঘুরতে থাকে, বমি হতে থাকে। আবার বমি নাও হতে পারে। তবে বুকে ব্যথা হওয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তার হয়তো আগে থেকে উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য কোনো রোগ ছিল, সেখান থেকে হার্ট অ্যাটাক হলো। এগুলোই তার প্রধান উপসর্গ।
এই সময়ে আমাদের করণীয় কী? এ রকম হলে তাৎক্ষণিকভাবে কী করব? তাহলে এই ধরনের লক্ষণ যদি দেখা যায়, আপনি ৯০ ভাগ নিশ্চিত হতে পারেন এখানে হার্ট অ্যাটাকের প্রক্রিয়া চলছে। সেই সময় সঙ্গে সঙ্গে এসপিরিন ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। এটি ৩০০ মিলিগ্রামের পাওয়া যায়- এটি খেয়ে নিতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে হবে।
এর কারণ প্রাথমিক চিকিৎসার মধ্যে প্রথম চিকিৎসা হলো, ব্যথাটাকে কমানো এবং সম্ভব হলে দ্রুত ইসিজি করে রোগ নির্ণয় করা। এর আরো একটি কারণ হলো, যত তাড়াতাড়ি হাসপাতালে পৌঁছাবে তত তাড়াতাড়ি তার চিকিৎসা শুরু হবে। আর যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু হবে, তত তাড়াতাড়ি হার্টের একটি বড় অংশ বাঁচানো সম্ভব হবে। বেশি অংশ ক্ষতি হওয়া থেকে বেঁচে গেলে হার্টটি মোটামুটিভাবে কাজ করতে পারবে- এটা হলো প্রধান উদ্দেশ্য দ্রুত রোগ নির্ণয় করার। এসপিরিন সম্ভব হলে খাওয়াতে হবে, খাওয়ানো যাক বা বা না যাক তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ধন্যবাদ।