আসলে মানুষ যখন বড় হতে থাকে, তখন সে দেখতে পায় যে, বিভিন্ন ধর্মীয় কারনে, এটা করা নিষেধ , ওটা করা নিষেধ, ইত্যাদি ইত্যাদি…… ফলে তার হাতে দুটি পথ খোলা থাকে, এক,তাকে এগুলো মেনে নিতে হবে, দুই, সে এগুলোকে বর্জন করে নিজের মত করে নতুন কিছু তৈরি করবে, আর তখন সে কি তৈরি করবে? তখন সে বলবে, সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছু নেই, আর তখন সে নিজের ভেতর একটা মানসিক স্বাধীনতা অনুভব করে, কারন তখন তার মধ্যে কোন ধর্মীয় দায়বদ্ধতা থাকে না, যা তাকে আনন্দ দেয়। আর এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে কিছু নাস্তিকদের। আর বর্তমানে যে সকল নাস্তিকদের আমরা দেখে থাকি,তাদের বেশিরভাগই হুজুগে নাস্তিক, তারা কেন নাস্তিক তারা নিজেরাও জানে না, তাদেরকি যদি জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি কেন নাস্তিক তারা কোন যুক্তিসংগত উত্তর দিতে পারে না। তারা নাস্তিক হয় সবার চেয়ে আলাদা হওয়ার জন্য, অন্যদের বলার জন্য, যে দেখ, আমি তোমাদের চেয়ে আলাদা, তোমরা এনশিয়েন্ট, একঈশ্বরে বিশ্বাস করো, আমি দেখ কত আধুনিক আমি ইশ্বর এ মানিনা। আর এক শ্রেনীর নাস্তিক আছে,যারা বিভিন্ন বই পরে নাস্তিক হয়, তারা ঐ বইয়ের লেখককেই মনে করে সর্বজ্ঞানী, তাদের বইয়ে কিংবা তাদের মতবাদে কোন ভুল থাকতে পারে তারা এটা ভুলেও কল্পনা করতে পারেন না। তারা শুধু একটা ডাইমেনশন দিয়ে কল্পনা করেন, অন্য ডাইমেনশনগুল ভুলে যেন। তারা আগেই ধরে নেয় যে ইশ্বর নেই, কিন্তু তারা একবারো ঈশ্বর আছে- এটা বিশ্বাস করে এগোতে পারে না। অন্য দিক দিয়ে যখন কিছু মানুষ দেখল যে, শুধু মাত্র ধর্ম দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা কিংবা সমাজের সকল কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না, তখন সে হল নাস্তিক, আর দিল তার নিজের মতবাদ। এর পেছনে ছিল ধর্মের ব্যর্থতা, কিন্তু যখন ইসলাম আসল, তখন এটি নিয়ে এল এক পূর্নাঙ্গ এক ব্যবস্থা, যেখনে আপনি সমাজের সকল সমস্যা, ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে রাজনীতি-রাষ্ট্রনীতি সব সমাধান করতে পারবেন।