ইসলাম ধর্মে মুসলমানি বা খতনা করানো হয় সুন্নাত হিসেবে। এটা করলে দৈহিক & আত্মীক তথা ধর্মীয় অনেক উপকার আছে। প্রথমতঃ ধর্মীয় উপকার হল- সুন্নাত আদায়ের কারণে সওয়াব অর্জন।
আর দ্বিতীত দৈহিক উপকারঃ চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতেও এতে অনেক উপকার বিদ্যমান। লিঙ্গের অনেক রোগ-সম্ভাবনা কমে যায়। যে কারণে বর্তমানে ইহুদি খৃস্টানরাও খতনা করে।
মুসলমানরা আসলে এটাকে সুন্নাত এবং ইবাদত হিসেবেই করে থাকেন। যে কারণে কেউ খতনা না করলে তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়। পাশাপাশি খতনা ব্যাতিত যেহেতু পবিত্র হওয়া কষ্টসাধ্য, তাই বিশুদ্ধ ইবাদতের জন্যও একজন মুসলিম খতনা করে থাকেন।
এটার ইতিহাস হল- হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম সর্বপ্রথম খতনা করেন। মজার বিষয় হল, তিনি নিজেই নিজের খতনা করেন। এরপর থেকে এটা সুন্নাতে ইবরাহিমি হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। আর আমাদের ইসলামে ইবরাহিম আলাইহিস সালামের অনেক সুন্নাত পালন করা হয়। সে হিসেবে ধারাবাহিক পরম্পরায় আমাদের পর্যন্ত চলে এসেছে।
আর বনী ঈসরাইল বা খ্রিস্টানেরাও যেহেতু ইব্রাহিম আলাইহিসসালাম এর বংশধ্বর, তাই তাদের মধ্যেও খতনার এই পদ্ধতি প্রচলিত আছে।