দুনিয়াতে মানুষের আগমন ও জীবনের লক্ষ্য হলো আল্লাহ তাআলার বিধি-বিধানের বাস্তবায়ন তথা তাঁর ইবাদত-বন্দেগি করা। আল্লাহ তাআলা কুরআনে মানুষ সৃষ্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সুষ্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরেছেন-
‘আমি জিন ও মানবজাতিকে শুধুমাত্র আমার ইবাদত ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি। অর্থাৎ ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা যারিয়াত : আয়াত ৫৬)
মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ তাআলার ইবাদত-বন্দেগি করা। আর ইবাদত হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশিত পথে ও মতে জীবন পরিচালনা করা। আল্লাহ নির্দেশিত পথে জীবন পরিচালনাই হলো মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য আর নির্দেশ পালনের আমল হলো ইবাদত।
মানুষ যখন কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশ পালন করে ইবাদত করতে ব্যর্থ হয়; বুঝতে হবে আল্লাহর বান্দা হিসেবে দুনিয়াতে প্রতিটি মানুষের সৃষ্টির উদ্দেশ্যই তখন ব্যর্থ।
মানুষ সৃষ্টির মৌলিক ৩টি উদ্দেশ্যঃ
তাহলে মানুষের মাধ্যমে সম্পাদিত ইবাদতের মানে কি? কোন প্রক্রিয়ায় মানুষ আল্লাহ হুকুম-আহকাম পালনের মাধ্যমে ইবাদত করবে তথা মানুষ সৃষ্টির শুকরিয়া জ্ঞাপন করবে?
মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে আগমনের কারণে যে প্রক্রিয়ায় ইবাদত তথা সৃষ্টির উদ্দেশ্য সফল হবে তা হলো-
-
প্রথমত আল্লাহ তাআলাকে রব হিসেবে মেনে নেয়া এবং তাঁর দাসত্ব স্বীকার করা।
-
আল্লাহ তাআলার নির্দেশ মেনে তাঁর পরিপূর্ণ আনুগত্য স্বীকার করা।
-
সর্ব বিষয়ে আল্লাহ তাআলার সম্মান ও সম্ভ্রম রক্ষা করা অর্থাৎ আল্লাহ তাআলাকে প্রভূ বলে স্বীকার করা; অন্য কাউকে নয়।
আল্লাহ হুকুম-আহকাম তথা হালালকে হালাল আর হারামকে হারাম বলে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মেনে নেয়া।
শুধুমাত্র আল্লাহর সম্মান ও সম্ভ্রমের প্রতি লক্ষ্য রেখে শুধুমাত্র তাঁর সামনে মাথা নত করা বা সিজদা করা।