যাদের মাথা ব্যথা, মাইগ্রেন বা এনপলেপির সমস্যা আছে তারা বাড়িতে কমপ্যাক্ট ফ্লোরোসেন্ট ল্যাম্প ব্যবহার করলে শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ দিন এ আলোতে থাকলে মাইগ্রেন রোগীর মাইগ্রেন এ্যাটাক হতে পারে। মৃগী রোগীরা হঠাৎ এপিলেপিক এ্যাটাকে আক্রান্ত হতে পারেন। এ ছাড়া সুস্থ মানুষের ছোটখাটো মাথা ব্যথা, অবসাদ, বমি বমি ভাব বা মাথা ঘুরানো বোধ হতে পারে। এমনকি লুপাস রোগীরা এই আলোতে বেশিক্ষণ থাকলে শরীরে ব্যথা অনুভব করেন বলেও শোনা গেছে। এই অসুবিধাগুলো বেশি হয় পুরনো প্রযুক্তির বাল্বগুলোতে। তবে নতুন প্রযুক্তির বাল্বগুলোতে এই সমস্যা অনেক কমে গেছে। এনার্জি সেভিং বাল্ব বা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতির পরিবেশগত কিছু অসুবিধাও আছে। ব্যবহারের পর এই বাল্ব যেখানে সেখানে ফেলা কিংবা সাধারণ পদ্ধতিতে ভাঙা উচিৎ নয়। এই বাল্বের ভেতরে যে গ্যাসীয় পদার্থ থাকে সেটি মাটিতে পড়লে তা ব্যাপক হারে মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস করে। তাই নষ্ট বাল্ব ফেলার সময় খেয়াল রাখা উচিৎ। ইউরোপ আমেরিকাতে নষ্ট বাল্ব রিসাইকেল করার ব্যবস্থা থাকলেও এ ধরনের ব্যবস্থা আমাদের দেশে আজ পর্যন্তও গড়ে ওঠেনি।